আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আমার পরিচিত একজনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন:
তিনি একজন বিবাহিতা মেয়ে। তার বাচ্চার বয়স এক বছর। আবার তার আপন ভাইয়ের একটি ছোট বাচ্চা আছে। তারও বয়স এক বছর মত। কিন্তু তার ভাবীর পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ নেই। যার কারণে তার ভাইয়ের ছেলের খুবই কষ্ট হয়।
এখন প্রশ্ন হল: তিনি কি তার ভাইয়ের ছেলেকে দুধ পান করাতে পারবেন? এতে কোন সমস্যা আছে কি না? এখানে আপন ফুফু দুধ মাতা হয়ে যাচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহিলার উপর ওয়াজিব যে, সে বিনা প্রয়োজনে অন্যর সন্তানকে দুধ পান করাবে না। হ্যা, যদি কোনো সন্তানের দুধের কমতির দরুণ ক্ষতির আশংকা থাকে, তাহলে সেই সন্তানকে দুধ পান করানো যাবে । 

البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري (3/ 238):
"وفي الولوالجية: والواجب على النساء أن لايرضعن كل صبي من غير ضرورة، فإذا فعلن فليحفظن أو ليكتبن اهـ.
وفي الخانية من الحظر والإباحة: امرأة ترضع صبيًّا من غير إذن زوجها يكره لها ذلك، إلا إذا خافت هلاك الرضيع فحينئذ لا بأس به اهـ.
وينبغي أن يكون واجبًا عليها عند خوف الهلاك إحياء للنفس، وفي المحيط: ولاينبغي للرجل أن يدخل ولده إلى الحمقاء لترضعه لأن النبي صلى الله عليه وسلم «نهى عن لبن الحمقاء»، وقال: «اللبن يعدي» وإنما نهى؛ لأن الدفع إلى الحمقاء يعرض ولده للهلاك بسبب قلة حفظها له وتعهدها أو لسوء الأدب فإنها لاتحسن تأديبه فينشأ الولد سيئ الأدب."

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি বিনা প্রয়োজনে ভাইয়ের সন্তানকে দুধ পান করাতে পারবেন না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে দুধ পান করাতে পারবেন। দুধ পান করানো হয়ে গেলে সে আপনার সন্তানের সমতুল্য হয়ে যাবে। তার সাথে আপনার ঔরসজাত সন্তানের বিয়ে শাদি জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...