আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
29 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (11 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

নিচের লেখাটি দয়া করে পড়ে জানাবেন যে এভাবে ইনভেস্ট করে আর্নিং করা কি বৈধ হবে?

প্রজেক্ট নং-১০:ডিজিটাল কারেন্সি

ব্যাবসা- ই- কমার্স

পদ্ধতি: শরীয়াহ্ সম্মত

প্রয়োজনীয় মূলধন: ২,৮০,০০০ টাকা (দুই লক্ষ আশি হাজার)

মুলধন কোথায় খরচ করা হবে:- অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য ডলার কেনা হবে। বিনিয়োগকারী চাইলে নিজে আমাদের ডলার কিনে দিতে পারবেন।

>একজন বিনিয়োগকারী ৭০০০ (সাত হাজার) টাকা থেকে শুরু যে কোনো এমাউন্ট ইনভেস্ট করতে পারবেন।

>৩ মাসের চুক্তি করলে-৭% প্রফিট,

>৬ মাসের চুক্তি করলে ১৭% প্রফিট,
>১ বছরের চুক্তি করলে ৪০% প্রফিট )

>৩ বছরের জন্য চুক্তি করলে ১৩৮% প্রফিট

>৫ বছরের জন্য চুক্তি করলে ২১০% প্রফিট

>১০ বছরের জন্য চুক্তি করলে ৩৩০% প্রফিট

>লাভের টাকা প্রতি মাসে ও মূলধন সমপরিমাণ টাকা মেয়াদ শেষে নেয়ার সুযোগ আছে
ইনভেস্ট করলে যেসব ডকুমেন্টস দেয়ার সুযোগ আছে:

★১,০০,০০০ টাকার বেশী পরিমান ইনভেস্টে সমমুল্যের ব্যাংক চেক।

★যে কোনো পরিমাণের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্র।

★মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি

★চলমান ব্যবসা প্রমানের প্রয়োজনীয় যা যা দরকার হয় সবকিছু দেওয়া হবে

★ট্রেড লাইসেন্সের ছবি।

এখানে ডিজিটাল কারেন্সি কেনার কথা বলা হচ্ছে এটা সম্পর্কে আমার খুব বেশী ধারণা নেই।
দয়া করে জানাবেন এখানে ইনভেস্ট করে ইনকাম করা অর্থ কি বৈধ/হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (628,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো ক্রিপ্টো কারেন্সি তথা বিটকয়েন মাইনিং করে আয়কৃত টাকা জায়েজ নয়।
অন্যতম কারন হলো এখানে জুয়া আছে,পাশাপাশি এতে সরকারী অনুমোদনও নেই। 
,
আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ. إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ ۖ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ

“হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ -এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক -যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, এখনও কি তোমরা নিবৃত্ত হবে?” 
(সূরা মায়েদা ৯০-৯১)

হাদীস শরীফে এসেছে   

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهُ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَدْرِي كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَمِنَ الْحَلاَلِ هِيَ أَمْ مِنَ الْحَرَامِ فَمَنْ تَرَكَهَا اسْتِبْرَاءً لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَمَنْ وَاقَعَ شَيْئًا مِنْهَا يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَ الْحَرَامَ كَمَا أَنَّهُ مَنْ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ " . حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ .

নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ হালালও সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট এবং এ দুটির মাঝে অনেক সন্দেহজনক বিষয় আছে। তা হালাল হবে না হারাম হবে সেটা অনেকেই জানে না। যে লোক এই সন্দেহজনক বিষয়গুলো নিজের দ্বীন এবং মান-ইজ্জাতের হিফাযাতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেবে সে নিরাপদ হল। যে লোক এর কিছুতে লিপ্ত হল তার হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ারও সংশয় থেকে গেল। (উদাহরণস্বরূপ) নিষিদ্ধ এলাকার আশেপাশে যে লোক পশু চড়ায়, তার এতে প্রবেশের ভয় আছে। জেনে রাখ! প্রতিটি সরকারেরই কিছু সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহ্ তা'আলার সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারাম করা বিষয়গুলো'।
(সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৮৪),বুখারী, মুসলিম)

সরকারীভাবে এর লেনদেন আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। শরীয়তের মাসয়ালা হল, বৈধ বিষয়ে রাষ্ট্রের আনুগত্য করা ওয়াজিব। এর জন্য রাষ্ট্র ইসলামী হওয়া জরুরী নয়।  এছাড়া দেশের প্রতিটি নাগরিকই বক্তব্য বা কর্মে একথার স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, সে বৈধ বিষয়ে সরকারের আইন  মানবে।
.
★সুতরাং উল্লেখিত পদ্ধতিতে উপার্জন করা জায়েজ নেই।  

বিস্তারিত  জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে আপনি কিভাবে টাকা ইনভেস্ট করবেন কিভাবে আপনি লাভ পাবেন কত টাকা ইনভেস্ট করলে কত পারসেন্ট লাভ পাবেন সব আপনি স্পষ্ট করেছেন।

এক্ষেত্রে আপনার লাভটা কিভাবে হবে? আপনার ব্যবসা কিভাবে পরিচালিত হবে? এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করেননি। 

এটা যদি ক্রিপ্টো কারেন্সি তথা বিটকয়েন মাইনিং করে আয় হয়,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ নয়।

তবে আপনি যেখানে টাকা ইনভেস্ট করছেন,তাদের কার্যক্রম যদি আমাদের দেশের সরকার অনুমোদিত হয়,পাশাপাশি এতে যদি জুয়া বা অন্য কোনো হারাম কিছু না থাকে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি সেখানে ইনভেস্ট করতে পারবেন।

তবে এক্ষেত্রে চুক্তিতে লিখতে হবে যে লোকসান হলে সেই লোকসানে আপনিও শরিক থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...