জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হযরত আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত-
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় (কবীরাহ) গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না?’ তিনি তিনবার একথা বললেন। আমরা বললাম, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, ‘আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতা-পিতার নাফরমানী করা, তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, তারপর উঠে বসলেন এবং বললেন, সাবধান! মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’ তিনি কথাটি বার বার বলছিলেন। এমনকি আমরা বললাম, যদি তিনি চুপ হতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে জানার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন। বর্ণিত হয়েছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি?
তিনি বললেন, কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা। অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।
এরপর তিনি বললেন, তারপর কোনটি?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার সঙ্গে খাবে, এ ভয়ে তোমার সন্তানকে হত্যা করা।
তিনি বললেন, তারপর কোনটি?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে জিনা (ব্যভিচার) করা। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথার সত্যতা ঘোষণা করে নাজিল হলো-‘আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডাকে না।’ (বুখারি)
তবে শিরক করলে সেক্ষেত্রে তওবা করে পুনরায় ঈমান নবায়ন করলে তারপর তার গুনাহ মাফ হবে এবং বান্দার হক নষ্ট করলে সেক্ষেত্রে সেই বান্দার হক আদায় করা বা সেই বান্দা থেকে ক্ষমা নেওয়ার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা নিলে তবে সেটি মাফ হবে।