আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আস সালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব।

১/শিরক থেকে কি বড় কোন গুনাহ আছে?

২/সব গুনাহ কি তওবায় মাফ হয়?

৩/এমন কি গুনাহ আছে যে তওবায় মাফ হবে না

৪/কারো আমল নামায় যদি হাজার হাজার শিরক কুফরির গুনাহ থাকে কিন্তু ঈমান নিয়ে মারা যায় সে কি কখন ও জান্নাতে যেতে পারবে?

৫/যদি কোন বাক্তি হাজার হাজার শিরক কুফরি করে ,কুফরি গুলো যেমন আল্লাহ কে রাসূলে কে কটুক্তি বাজে কথা বলা,ইসলাম কে কুরআন কে মসজিদ কে অবমাননা করা এই রকম হাজার হাজার কুফরি করলে কি তওবার ঈমান নবায়নের সুযোগ আছে।

1 Answer

0 votes
by (633,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহর সাথে শরীক করা,কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা,এটিই সবচেয়ে বড় গুনাহ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত  আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত-

তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় (কবীরাহ) গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না?’ তিনি তিনবার একথা বললেন। আমরা বললাম, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, ‘আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতা-পিতার নাফরমানী করা, তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, তারপর উঠে বসলেন এবং বললেন, সাবধান! মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’ তিনি কথাটি বার বার বলছিলেন। এমনকি আমরা বললাম, যদি তিনি চুপ হতেন।  (বুখারী ও মুসলিম)

আরেক হাদিসে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে জানার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন। বর্ণিত হয়েছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি?

তিনি বললেন, কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা। অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।

এরপর তিনি বললেন, তারপর কোনটি?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার সঙ্গে খাবে, এ ভয়ে তোমার সন্তানকে হত্যা করা।

তিনি বললেন, তারপর কোনটি?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে জিনা (ব্যভিচার) করা। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথার সত্যতা ঘোষণা করে নাজিল হলো-‘আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডাকে না।’ (বুখারি)

(২-৩)
সবগুলো তওবা করলে মাফ হয়।

তবে শিরক করলে সেক্ষেত্রে তওবা করে পুনরায় ঈমান নবায়ন করলে তারপর তার গুনাহ মাফ হবে এবং বান্দার হক নষ্ট করলে সেক্ষেত্রে সেই বান্দার হক আদায় করা বা সেই বান্দা থেকে ক্ষমা নেওয়ার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা নিলে তবে সেটি মাফ হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে সে যদি ঈমান নবায়ন করার পর মারা যায়,তাহলে সে জান্নাতে যেতে পারবে।

(০৫)
হ্যাঁ, সুযোগ রয়েছে।

ঈমান নবায়ন সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...