আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পবিত্রতা (Purity) by (15 points)
আসসালামু আ'লাইকুম।
আমার গত কয়েকমাস ধরে পিরিয়ডের আগে কয়েকদিন তুলাতে সাদা রংটা হালকা বদলাতে দেখতাম। এবার পেটব্যথা করায় তুলা দিয়ে অনেকদিন আগেই চেক করে ফেলি প্রায় রং ছাড়া সাদার কাছাকাছি রং। নরমালি এমন রং দেখা গেলে ৪-৫ দিন পরেই পিরিয়ড শুরু হয়৷ এবার দেখার পরে শুরু হয়না৷ পরে অষুধ খেতে থাকি। কিন্তু এগুলোর একদিনও সাদা ছাড়া অন্য কোনো রংয়ের রক্ত বাইরে বের হয়নি। শুধু রাতের দিকে তুলা দিয়ে ভিতরে ঢুকালে সাদা স্রাব লেগে থাকত। পরে আরো ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে জোরে ঘষা দিলে মনে হত সাদাটার সাথে হালকা লালচের মত মিশে আছে৷ নিশ্চিত না, কিছুটা নিশ্চিত। কিন্তু একবারও বাইরে অন্য রংয়ের কিছু বের হতে দেখিনি এই কয়দিনে। এই সমস্যার জন্য এই দশদিনের মাঝেই পিরিয়ড শুরু করার জন্য নিয়মিত অষুধ খাই কিন্তু কাজ হয়নি বরং পেটব্যথা সমস্যা সব বাড়তে থাকে। এর মাঝে দুই একদিন যায় যখন আমি তুলা দিয়ে রাতে চেক করিনি যে ওইদিনের তুলাতেও লালচে লাগে কীনা৷ এভাবে দশদিন যায়, আজ দশদিন শেষ হলো আর সত্যিকার পিরিয়ড শুরু হয়েছে। এখন খুব বেশি স্রাব যাবে সবসময়ের মত সম্ভবত৷ এখন কি এটাকে ইস্তেহাজা ধরেই নামাজ পড়ব, নাকী ফাঁকফোকর দিয়ে কোনো সুযোগ আছে? আসলে প্রথমদিন এত বেশি পেট ব্যথা আর স্রাব যায় যে কিছু করতে পারিনা। কিন্তু এগুলো নিয়ে বাসজার্নি করতে হবে। জানি এটার ইস্তেহাজা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি কিন্তু এরপরেও কোনো সুযোগ কি নেই?
by (15 points)
এই দশদিন যে স্রাবগুলো গেছে সেগুলো সাদার বাইরে অন্যকোনো রং দেখিনি, তুলা দিয়ে খুব ভিতরে ঘষলে হালকা সাদা রংটা বদলেছে এমন লাগত৷ অনেকটা হালকা রংয়ের হোমিও অষুধের মত
by
রংটা স্বচ্ছ৷ সাদার মতই কিন্তু অনেক কাছ থেকে খেয়াল করলে মনে হত হালকা লালচে ভাবও আছে
by (15 points)
আরেকটা ব্যাপার হল আমার ধারণা পুরো মাসই আমার এমন লালচে দেখা যায়। যদিও আমি এই দশদিন ছাড়া আর চেক করিনি। 

1 Answer

0 votes
ago by (624,300 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু এখন আপনাদ ব্লিডিং শুরু হয়েছে,এর আগে ব্লিডিং হয়নি,বরং সাদা স্রাব এসেছিলো।

তাই আপনি এখন (ব্লিডিং শুরু হওয়ার দিন) থেকে হায়েজ ধরে নামাজ বন্ধ রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...