আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)

দুঃখিত আবার প্রশ্ন করার জন্য মাফ  করবেন । এই প্রশ্নের উত্তর পেলে আমার মনে হয় অনেক বড় মাপের  পেরেশানি দুর হবে ইংশাআল্লাহ 

১।ধনী হবার বা মিসকিন হওয়ার দোয়ার বেপারে যাই মনে আসুক না কেনো পাত্তা না দেওয়াই উত্তম হবে।  কারন রিজিক তো নির্ধারিত এই দোয়া নিয়ে কয়দিন ধরে মাথা থেকে শড়ানো যায় না একটার পর আরেকটা কথা মনে আসতেই থাকে? 

২।আপনি আগের ১নং প্রশ্নের উত্তরে বলছেন যে মিসকিন হওয়ার দোয়া করা তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তর। এখন খালি মনে আসে যে কোনো আমি সর্বোচ্চ স্তরে থাকি না এই কথা মনে আসলে খারাপ লাগে মাথায় জালাপোড়া হয়,রাগ উঠে, এমন কথা মনে আসে মনে হয় মুখদিয়ে উচ্চারণ করলে ইমান চলে যাবে।  কতক্ষণ পরে পরে মনে আসে নামাজে বা অন্যন্য আমলে বেশী হয়। এই দোয়া না করলে তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তরে থাকা যাবে না? 


৩।ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি পালন করার সুন্নাতে জায়েদা বা নফল ইবাদত মন চাইলে করি নাইলে করি না। হারাম বা মাকরূহ  থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করি মাঝে মধ্যে করে ফেলি আবার তওবা করি। আমি তাকওয়ার কোন স্তরে থাকবো।

 

৪।আমি আগে খারাপ পথে চলাফেরা করতাম তারপর তওবা করে ফেরার পরে ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে মুয়াক্কাদা গুরত্বসহকারে পালনের যথেষ্ট চেষ্টা করি সুন্নাতে জায়েদা বা নফল  ছোটো খাটো বিষয় বা ঐচ্ছিক বিষয়  নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে যাই, পেরেশান হয়ে যাই খারাপ লাগে মাথা থেকে শড়ানো যায় না , মনে হয় সব কাজেই মনে হয় খারাপ করছি, একটা বিষয় নিয়ে মাথায় ঢুকলে কত ধরনের প্রশ্ন যে মনে আসে, আবার এমন কথা মনে আসে যে মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলে মনে হয়  ইমান থাকবে না। যেমন মিসকিন  হওয়ার দোয়া করা নিয়ে,নফল দান, রোজকার করার পদ্ধতি নিয়ে ইত্যাদি। আমার এলেম কম থাকার কারনে  এই সব সয়তান আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নেক সুরুতে ধোকা দিতেছে কি নাকি এমনিতেই ধোকা দিতেছে? 

 


বিঃদ্রঃ হুজুর দুঃখিত আবার এবিষয়ে  প্রশ্ন করার জন্য আপনি বলছেন যে দিনদারদের সান্নিধ্যে থাকার জন্য কিন্তু আমাদের এলাকা বিদআতি দের দখলে রয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হতাম কারন কি কারনে হয় আমি বুঝতে পারছি না। 

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়। আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা। (আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। (আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ধনী হবার বা মিসকিন হওয়ার দু'আর ব্যাপারে মনে যাই মনে আসুক না কেন, কোনো প্রকার পাত্তা না দিয়ে বরং দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায পড়বেন। 

(২) এগুলো শয়তানের পক্ষ থেকে আসা ওয়াসওয়াসা। সুতরাং এগুলোকে কোনো পাত্তাই দেয়া যাবে না।

(৩)  তাকওয়ার কোন স্তরে আছি বা থাকবো। এমন চিন্তা করে করে অযথা পেরেশান না হয়ে বরং বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করবেন। 

(৪) এইসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মনযোগ সহকারে আমল করুন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।

আপনি তাবলীগে ৪০ দিন জন্য চলে যাবেন। আপনার এলাকায় তাবলীগ প্রচলিত না থাকলে জেলা পর্যায়ে চেষ্টা করবেন। অথবা ঢাকা কাকরাইল মসজিদে চলে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...