আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,
উস্তায ইমদাদুল হক্ব এর নিকট উত্তর আশা করছি, আশা করি একটু বিস্তারিত উত্তর দিবেন, চিন্তা হচ্ছে উস্তায.....
আমি আমার বোনের হয়ে বলছি, তার সমস্যা হচ্ছে, তাকে তার প্রতিবেশি বিভিন্ন হুমকি দিতো যে তাকে বিয়ে করতে দিবেনা, ইত্যাদি । তো তার আম্মু ভয়ে এক কবিরাজ থেকে বান কাটার সিদ্ধান্ত নেন । কবিরাজ নিজে বলেছে সে নাকি কুরআন দ্বারা চিকিৎসা করে - তাই সে চিকিৎসা করতে সম্মত হয় । (এক ফাতওয়া ওয়েবসাইট থেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবিজ লেখা হলে এই চিকিৎসা গ্রহণ করা যাবে) ।
কবিরাজ তাকে কিছু পানি পড়া, তেল, ১টা ফুল, আর ১টা তাবিজ কোমরে বাঁধার জন্য, আর ১টা উঠোনে গাছে রাখার জন্য দেয় । তার কিছুটা সন্দেহ লাগে এসব কুফরি চিকিৎসা কিনা - তারপরও কুরআন দ্বারা তাবিজ লিখা হয়েছে বলে বিশ্বাস করে চিকিৎসা নেয় ।
এরমধ্যে সে কবিরাজের ভন্ডামি সংক্রান্ত কিছু লেখা পায় রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপে, সে তা না পড়ে ইচ্ছে করেই এড়িয়ে যায় নিজের চিকিৎসার প্রতি বিশ্বাস রেখে । (অথচ সেটা পড়লে কবিরাজ যে প্রতারণা করেছে তার সাথে তা সে বুঝতে পারতো)
তারপর প্রতিবেশির আচরণ আরো বেশি ক্ষিপ্র হয়ে উঠলে ওই কবিরাজ টাকা কামানোর জন্য আমার বোনের মাকে নাজুক অবস্থায় থাকার কারণে কিছু চিনি পড়া ও পানি দেয় যেকোনো পাত্র পক্ষকে খাওয়াতে, বলেছে এটা জাদু হবেনা, প্রতিবেশির কুমন্ত্রণা কাজ না করার জন্য, সম্বন্ধ বসার জন্য এসব দেয়া হয়েছে । (আমার বোন পরে পড়াশোনা করে বুঝতে পেরেছে এসব কবিরাজের ভন্ডামি, এবং এসব শিরক, তাবিজ খুলে দেখেছিলো সব শয়তানের সিম্বল আঁকা । যদিও তার মন বারবার বলছিলো এসব কুফরি চিকিৎসা হয়তো, চিকিৎসার মাঝপথ থেকে ফিরে আসতেও ভয় পাচ্ছিলো হিতে বিপরীত হবে কিনা) ।
তো এর কয়েকমাস পর তার বিয়ে হয়,
আমার প্রশ্ন হলো,
১) ওই চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় বোনের বিয়ে সম্পন্ন হয়, যেহেতু শিরকে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তার বিয়ে হয়েছে, এক্ষেত্রে বিয়ে কি সহিহ হয়েছে? (যেহেতু তার মন বারবার বলছিলো এসব কুফরি চিকিৎসা হয়তো, সে ইচ্ছে করেই কবিরাজের ভন্ডামি লিখাটা না পড়ে এড়িয়ে গিয়েছিলো অন্ধবিশ্বাস করে)
২) সে এখন ১মাসের প্রেগন্যান্ট, বাবু কি জারজ হতে পারে?
৩) যদি বিয়ে নবায়ন করতে হয় তাহলে একটু কি করতে হবে বিস্তারিত জানালে উপকার হয় উস্তায ।
৪) আর তাওবাহ'র বিষয়ে, রব কি তার এই শিরকি গুনাহ ক্ষমা করবেন? (সে বারবার আফসোস করছে কেন সেদিন কবিরাজের ভন্ডামি বিষয়ক লিখাটি পড়লাম না, পড়লে আজ এতকিছু হতোনা) ।
শত্রুর কুমন্ত্রণা কাজে না দিতে এবং সম্বন্ধ স্থায়ী হতে কবিরাজ যে চিনি পড়া যেকোনো পাত্রপক্ষ কে খাওয়াতে দিয়েছিলো, তাতে বোনের মনে হয়েছিলো এসব জাদু হয়তো, কিন্তু কিভাবে যেন কবিরাজের কথায় প্রভাবিত হয়ে গিয়েছিলো জানেনা । কবিরাজটা মহিলা ছিলো । আমার বোনের এখন বারবার ওয়াসওয়াসা আসছে যে, সে ইচ্ছে করে ই বিয়ে না হওয়ার ভয়ে এসব চিকিৎসা করেছে, অথচ কোনো বিষয়েই সে সিউর ছিলোনা । ভীষণ চিন্তায় আছে....