বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) রাসুলুল্লাহ সাঃ মিসকিন হওয়ার দোয়া করছেন, সেই দু'আ না করে, ধনী হওয়ার দোয়া করার দরুণ আল্লাহ আপনার প্রতি নারাজ হবেন না।। মিসকিন হওয়ার দু'আ করাটা সর্বোচ্চ তাকওয়ার স্থর। এটা সবার জন্য সম্ভবপর না। তাছাড়া মালের হক আদায় করে থাকলে ধনী হওয়ার দু'আ করাটাও নিষেধ নয়।
(২) ফরজ,ওয়াজিব, সুন্নতে মু'আক্কাদা ছাড়া বাকি সব ইবাদতই নফল। ফরজ ওয়াজিব এবং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পর্যন্ত পালন করার চেষ্টা করার পর সুন্নাতে জায়েদা বা নফল পালন করারও চেষ্টা করতে হবে। তবেই কেউ ওলী বা নৈকট্য প্রাপ্ত ব্যক্তি হতে পারবে। তবে আল্লাহ চাইলে যে কাউকে ওলী বানিয়ে দিতে পারেন।চায় নফল ইবাদত করুক বা না করুক।
(৩) মিসকিন হওয়ার দুআ এবং নফল পড়লেই যে কেউ ওলী হয়ে যাবে এমন না। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করবেন, তাকেই ওলী বানাবেন।
(৪) হায়াত-মউত, রিজিক, বিবাহ সবই নির্ধারিত বিষয়। এগুলো নিয়ে পেরেশানি লাগলে, আল্লাহর কাছে পেরেশানি থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে।
বিঃদ্রঃ
এইসব বিষয় মূলত ফাতাওয়া বিষয়ক নয়। দ্বীনি জ্ঞান কম থাকার কারণে এইসব আজগুবী প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘোর পাক খাচ্ছে। আপনার জন্য অতীব জরুরী হল, কোনো নেককার ব্যক্তির সংস্পর্শ ও সান্নিধ্য এখনই
গ্রহণ করা।