আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
reopened by
।আগের ১নং প্রশ্নের বেপারে আমার জানার ছিলো যে যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ মিসকিন হওয়ার দোয়া করছেন সেটা না করে ধনী হবার দোয়া করছি একারনে মনে আসে আমি আল্লাহ পাক এর ওলি হতে পারবো না ওনি আমার প্রতি নারাজ থাকবেন। এটা আসলে পেরেশানি লাগে খুবই খারাপ লাগে  কি কারনে হয় ?
২।ফরজ ওয়াজিব ছাড়া আর বাকি সব ইবাদাতই কি নফল। আমি যদি ফরজ ওয়াজিব সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পর্যন্ত পালন করার জন্য চেষ্টা করি   সুন্নাতে জায়েদা বা নফল মন চাইলে পালন করি না হয় করিনা এখন খালি মনে আসে আল্লাহ পাক এর ওলি হতে পারবো না এবং আল্লাহ পাক নারাজ থাকবেন খুবই খারাপ কাজ করতেছি প্রায় সারাদিন যতক্ষণ সজাগ থাকি  খুবই খারাপ লাগে পেরেশানি হয় ঠিকমত নামাজ পড়তে পারিনা। এগুলো কি কারনে হয়? আমি যেভাবে আমল করি আল্লাহ পাক এর ওলি হতে পারবো কি না?
৩।মিসকিন হওয়ার দোয়াটা আমি সম্মান রেখে করতে চাইনা অন্যন্য নফল ইবাদত যদি বেশি বেশী করি আল্লাহ পাক এর ওলি বা নৈকট্য লাভ করতে পারবো কি না?
৪।হায়াত-মউত, রিজিক, বিবাহ কি নির্ধারিত বিষয়। যদি নির্ধারিত বিষয় হয় এগুলো নিয়ে পেরেশানি লাগে কেনো লাগলে কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) রাসুলুল্লাহ সাঃ মিসকিন হওয়ার দোয়া করছেন, সেই দু'আ না করে, ধনী হওয়ার দোয়া করার দরুণ আল্লাহ আপনার প্রতি নারাজ হবেন না।। মিসকিন হওয়ার দু'আ করাটা সর্বোচ্চ তাকওয়ার স্থর। এটা সবার জন্য সম্ভবপর না। তাছাড়া মালের হক আদায় করে থাকলে ধনী হওয়ার দু'আ করাটাও নিষেধ নয়।

(২) ফরজ,ওয়াজিব, সুন্নতে মু'আক্কাদা ছাড়া বাকি সব ইবাদতই নফল।  ফরজ ওয়াজিব এবং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পর্যন্ত পালন করার চেষ্টা করার পর সুন্নাতে জায়েদা বা নফল পালন করারও চেষ্টা করতে হবে। তবেই কেউ ওলী বা নৈকট্য প্রাপ্ত ব্যক্তি হতে পারবে। তবে আল্লাহ চাইলে যে কাউকে ওলী বানিয়ে দিতে পারেন।চায় নফল ইবাদত করুক বা না করুক।

(৩) মিসকিন হওয়ার দুআ এবং নফল পড়লেই যে কেউ ওলী হয়ে যাবে এমন না। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করবেন, তাকেই ওলী বানাবেন।

(৪) হায়াত-মউত, রিজিক, বিবাহ সবই নির্ধারিত বিষয়।  এগুলো নিয়ে পেরেশানি লাগলে, আল্লাহর কাছে পেরেশানি থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে। 

বিঃদ্রঃ
এইসব বিষয় মূলত ফাতাওয়া বিষয়ক নয়। দ্বীনি জ্ঞান কম থাকার কারণে এইসব আজগুবী প্রশ্ন আপনার মাথায় ঘোর পাক খাচ্ছে। আপনার জন্য অতীব জরুরী হল, কোনো নেককার ব্যক্তির সংস্পর্শ ও সান্নিধ্য এখনই 
গ্রহণ করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...