আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।

আমার স্ত্রীকে আমি তিন তালাক দিয়ে ফেলি ঝগড়া করে। পরবর্তীতে ইদ্দত শেষে আমি আমার বন্ধুর সাথে আমার স্ত্রীকে বিবাহ দেয় এবং তারা ১ বার সহবাস করে। তারপর আমার নির্দেশে আমার আমার স্ত্রী নিজের উপর তিন তালাকে দেয়। তারপর ইদ্দত শেষে আমি আবার আমার স্ত্রীকে বিবাহ করি।

প্রশ্ন: আমার বন্ধুর সাথে আমার সম্পূর্ণ কথোপকথন তুলে ধরছি।

বন্ধু আমি আমার বউকে তিন তালাক দিয়ে ফেলেছি। তুই আমার বউকে বিয়ে করতে হবে যেন ভবিষ্যতে যদি কখনো তোদের তালাক হয়ে যায় তাহলে আমি যেন আবার আমার স্ত্রীর সাথে আমার পুনরায় বিয়ে জায়েজ হয়, আমার বউকে বিয়ে করার জন্য আমি তোকে ২৫ হাজার টাকা হাদিয়া দিবো।

তখন আমার বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করে তালাক দেওয়ার শর্তে বিয়ে?

আমি তখন বলি, না বন্ধু তালাকের কোনো শর্ত নাই। তুই যতদিন ইচ্ছে তোর বউ হিসেবে রাখতে পারবি। কিন্তু মেয়েকে বিয়ের পর তালাকের স্থায়ী অধিকার দিতে হবে। যেন মেয়ের যতদিন ইচ্ছে তোকে জামাই হিসেবে রাখতে পারে।

আমি, আমার বন্ধু এবং আমার স্ত্রী আগেই তিনজন আলোচনা করে রেখেছিলাম বিয়ের পর সহবাস হবার পর ভবিষ্যতে কোনো কারণে যদি আমার বন্ধু তিন তালাক দেয় বা আমার স্ত্রী নিজের উপর তিন তালাক প্রদান করে তাহলে আমার সাথে আমার স্ত্রীর বিয়ে পুনরায় জায়েজ হবে।

আমার বন্ধু বিবাহিত ছিলো এবং তার স্ত্রী ছিলো তাই আমি বিবাহের আগে কিছু শর্তাবলী চিরকুটে লিখে আমার বন্ধুকে শর্তাবলী শুনিয়ে রাখি এবং বিবাহের পর তার থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়।

শর্তাবলী এভাবে লিখা ছিলো,

১/ বিবাহের পরে আমি আব্দুল খালিদ আমার স্ত্রী হাবিবা খানকে স্থায়ীভাবে তিন তালাকের অধিকার দিলাম।

২/ বিবাহের পরে আমি আব্দুল খালিদ আমার স্ত্রী হাবিবা খানকে সহবাসের পূর্বে তালাক প্রদান করলে আমার অপর স্ত্রী আফরিনা বেগমের উপর তিন তালাক পতিত হবে।

৪/ আমি আব্দুল খালিদ বিয়ের পূর্বে শর্তযুক্ত কোনো তালাক বাক্য উচ্চারণ করার মাধ্যমে যদি বিয়ের পর আমার স্ত্রী হাবিবা খানের উপর তালাক পতিত হয় তাহলে আমার অপর স্ত্রী আফরিনা বেগমের উপর তিন তালাক পতিত হবে।

তারপর যথারিতি উভয়কে কালিমা পড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দেয় দুজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে।

বিয়েটা এভাবে দেওয়া হয়েছিলো,

বিয়ের পর তালাক হবে এই ধরনের কোনো শর্তাবলী উল্লেখ ব্যতীত জামতলী নিবাসী আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল খালিদের সাথে দশ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে শান্তিপাড়া নিবাসী কামাল খানের মেয়ে হাবিবা খানের সাথে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হলো-

রাজি থাকলে কবুল বলুন-

তারপর তারা আমার বাসায় সহবাস করে। তারপর আমার নির্দেশে আমার বউ নিজের উপর তিন তালাক দিয়ে দেয়। সে ইদ্দত আমার বাড়িতেই সম্পূর্ণ করে লোক লজ্জার ভয়ে।

পরবর্তীতে ইদ্দত শেষে আমি তাকে পুনরায় বিয়ে করি।

এখন আমি এভাবে হালালা করার পর, বর্তমান সংসার কি চালিয়ে যাওয়াতে কোনো সমস্যা হবে? আমি সংসার চালিয়ে যেতে পারবো কিনা?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250521_132528_948.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (670,650 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে হালাল হওয়ার শর্তে বিয়ে করা হয়, তাহলে সেই পদ্ধতি নাজায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, যদি এমন বিয়ে হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে যায়, তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে  বৈধ হয়ে যাবে, কেননা এখানে কুরআনে বর্ণিত শর্ত পাওয়া গিয়েছে। তবে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন তালাক পরবর্তী প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ জায়েয হবে ।এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3462


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে মতে যেহেতু আপনি আপনার বন্ধুর সাথে তালাকের কোনো শর্তারোপ করেননি, তাই উক্ত বিয়ে নাজায়েয হবে না। তালাকের স্থায়ী অধিকার দেয়ার পর আর ফিরিয়ে নেয়া যায় না। এবং অস্থায়ীভাবে দিলে সেটা মজলিসের পর স্থায়ীও থাকে না।

লক্ষণীয় যে,
একই প্রশ্নকে একাধিকার একাধিক মুফতির নিকট জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা আমাদের ওয়েব সাইটের রুল অনুযায়ী অমার্জনীয় কাজ। সুতরাং ভবিষ্যতে আর কখনো একই প্রশ্নকে একাধিকবার করতে যাবেন না। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...