আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
আমার স্ত্রীকে আমি তিন তালাক দিয়ে ফেলি ঝগড়া করে। পরবর্তীতে ইদ্দত শেষে আমি আমার বন্ধুর সাথে আমার স্ত্রীকে বিবাহ দেয় এবং তারা ১ বার সহবাস করে। তারপর আমার নির্দেশে আমার আমার স্ত্রী নিজের উপর তিন তালাকে দেয়। তারপর ইদ্দত শেষে আমি আবার আমার স্ত্রীকে বিবাহ করি।
প্রশ্ন: আমার বন্ধুর সাথে আমার সম্পূর্ণ কথোপকথন তুলে ধরছি।
বন্ধু আমি আমার বউকে তিন তালাক দিয়ে ফেলেছি। তুই আমার বউকে বিয়ে করতে হবে যেন ভবিষ্যতে যদি কখনো তোদের তালাক হয়ে যায় তাহলে আমি যেন আবার আমার স্ত্রীর সাথে আমার পুনরায় বিয়ে জায়েজ হয়, আমার বউকে বিয়ে করার জন্য আমি তোকে ২৫ হাজার টাকা হাদিয়া দিবো।
তখন আমার বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করে তালাক দেওয়ার শর্তে বিয়ে?
আমি তখন বলি, না বন্ধু তালাকের কোনো শর্ত নাই। তুই যতদিন ইচ্ছে তোর বউ হিসেবে রাখতে পারবি। কিন্তু মেয়েকে বিয়ের পর তালাকের স্থায়ী অধিকার দিতে হবে। যেন মেয়ের যতদিন ইচ্ছে তোকে জামাই হিসেবে রাখতে পারে।
আমি, আমার বন্ধু এবং আমার স্ত্রী আগেই তিনজন আলোচনা করে রেখেছিলাম বিয়ের পর সহবাস হবার পর ভবিষ্যতে কোনো কারণে যদি আমার বন্ধু তিন তালাক দেয় বা আমার স্ত্রী নিজের উপর তিন তালাক প্রদান করে তাহলে আমার সাথে আমার স্ত্রীর বিয়ে পুনরায় জায়েজ হবে।
আমার বন্ধু বিবাহিত ছিলো এবং তার স্ত্রী ছিলো তাই আমি বিবাহের আগে কিছু শর্তাবলী চিরকুটে লিখে আমার বন্ধুকে শর্তাবলী শুনিয়ে রাখি এবং বিবাহের পর তার থেকে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়।
শর্তাবলী এভাবে লিখা ছিলো,
১/ বিবাহের পরে আমি আব্দুল খালিদ আমার স্ত্রী হাবিবা খানকে স্থায়ীভাবে তিন তালাকের অধিকার দিলাম।
২/ বিবাহের পরে আমি আব্দুল খালিদ আমার স্ত্রী হাবিবা খানকে সহবাসের পূর্বে তালাক প্রদান করলে আমার অপর স্ত্রী আফরিনা বেগমের উপর তিন তালাক পতিত হবে।
৪/ আমি আব্দুল খালিদ বিয়ের পূর্বে শর্তযুক্ত কোনো তালাক বাক্য উচ্চারণ করার মাধ্যমে যদি বিয়ের পর আমার স্ত্রী হাবিবা খানের উপর তালাক পতিত হয় তাহলে আমার অপর স্ত্রী আফরিনা বেগমের উপর তিন তালাক পতিত হবে।
তারপর যথারিতি উভয়কে কালিমা পড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দেয় দুজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে।
বিয়েটা এভাবে দেওয়া হয়েছিলো,
বিয়ের পর তালাক হবে এই ধরনের কোনো শর্তাবলী উল্লেখ ব্যতীত জামতলী নিবাসী আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল খালিদের সাথে দশ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে শান্তিপাড়া নিবাসী কামাল খানের মেয়ে হাবিবা খানের সাথে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হলো-
রাজি থাকলে কবুল বলুন-
তারপর তারা আমার বাসায় সহবাস করে। তারপর আমার নির্দেশে আমার বউ নিজের উপর তিন তালাক দিয়ে দেয়। সে ইদ্দত আমার বাড়িতেই সম্পূর্ণ করে লোক লজ্জার ভয়ে।
পরবর্তীতে ইদ্দত শেষে আমি তাকে পুনরায় বিয়ে করি।
এখন আমি এভাবে হালালা করার পর, বর্তমান সংসার কি চালিয়ে যাওয়াতে কোনো সমস্যা হবে? আমি সংসার চালিয়ে যেতে পারবো কিনা?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250521_132528_948.sdocx-->