আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম। মাত্র জানতে পারলাম যে আল্লাহর সাথে করা ওয়াদা কসম হয়ে যায়। ছোটবেলা থেকে তো এরকম অনেক ওয়াদাই করে এসেছি, অনেকবারই ভেঙেছে, প্রতিবারই হয়ত ভেঙেছে। কিন্তু কতবার করেছি খেয়াল নাই, এখন সেগুলোও কি কসম ভাঙার গুনাহ হিসাবে কাফফারা দিতে হবে? ২/একটা কাফফারা আদায় করলে হবে? (যেহেতু খেয়াল নাই কয়টা ভাঙছি, অসংখ্য আছে হয়ত)
৩/ আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে আল্লাহর সাথে একটা ওয়াদা করেছিলাম যে আমি এতটুকু সময়ের মধ্যে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবো (যাতে নামাজ একদম আখেরি ওয়াক্তে না হয়) এখন সারাজীবন তো সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমার নামাজ পড়া সম্ভব নাও হতে পারে, যদিও কাযা হচ্ছে না কিন্তু ওয়াদায় নির্ধারিত সময়ের বাইরে পড়ার কারণে কি বারংবার কসম ভাঙার গুনাহ হবে? অলরেডি সেই সময়ের বাইরে চলে যায় আমি চেষ্টা করলেও, এখন কি যতবার নির্ধারিত সময়ের বাইরে চলে যাচ্ছে ততবারই কসম ভাঙার গুনাহ হবে? (আল্লাহর মাফ করুক) এবং এটাও উল্লেখ করেছি যে আল্লাহ কোনোদিন যদি এমনেই দেরি হয়ে যায় তাহলে মাফ করে দিয়েন। যেমন ফজরের সময় তো ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করলেও আমার আওয়াল ওয়াক্তে নির্ধারণ করার সময়ের মধ্যে হয়না। (যেমন আমার সময় নির্ধারণ করাটা এমন ছিল যে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার এতো মিনিট আগে নামাজ শেষ করবো/ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার এতো মিনিটের মধ্যে নামাজ শেষ করবো, এরকম কিছু)

৪/ এই ওয়াদা টা কি আমি ভাঙতে পারবো? কারণ হচ্ছে যাতে বারংবার কসম ভাঙার গুনাহ না হয়। নামাজের ব্যাপারে তো ইনশাআল্লাহ অবশ্যই যত্নশীল থাকবো কিন্তু ওয়াদায় তো আরেকটু কঠিন করে ফেলেছি। কসম হয়ে যাবে জানলে আমি সতর্ক হইতাম কিন্তু ওয়াদা করতাম না এভাবে।

৫/ আমি যদি কোনকিছু নিয়ত করি এভাবে যে আল্লাহ আমি নিয়ত করতেছি এতটুকু সময়ের মধ্যে অমুক আমল করবো তাহলেও কি ওয়াদা বা কসম হয়ে যাবে? এরও কাফফারা লাগবে? এরকম অনেক নিয়ত আছে যেগুলো সময় চলে গেছে এখনো আমলটা পুরোপুরি শেষ হয় নাই।

৬/ আমি কি এভাবে ওয়াদা ভাঙতে পারি যে, আল্লাহ আমি অমুক অমুক ওয়াদা ভাঙ্গতেছি, এবং ইনশাআল্লাহ আমি নামাজের প্রতি যত্নবান থাকবো (এখানে ইনশাআল্লাহ বললেও কি ওয়াদা হয়ে যাবে? জানতে চাচ্ছি শুধু) এবং ক্ষমা চাইবো আল্লাহর কাছে পূর্বের গুনাহ এবং নামাজে অবহেলার জন্য, তাহলে কি মাফ পাবো? নাকি এরপরেও কাফফারা দিতে হবে?
৭/ এটা কি ওয়াদা ভঙ্গ করা হিসাবে ধরা হবে? নাকি ওয়াদা উঠায় নেওয়া হিসাবে ধরা হবে?

জাযা-কুমুল্লাহু খাইরান এতো দীর্ঘ প্রশ্ন গুলোর উত্তর প্রদানের জন্য।

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহর সাথে ওয়াদা করা দ্বারা কসম হবে না। হ্যা, আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদাকে যথাসম্ভব পূরণ করা উচিত। প্রশ্নে যতগুলো ধারা উপধারা সংযোজন করা হয়েছে, এদ্বারা কসম হবে না।
مأخَذُ الفَتوی
قال اللہ تعالیٰ: ﴿یٰأیھا الذین اٰمنوا أوفوا بالعقود﴾ الآیۃ
کما فی الھندیۃ: ولو قال: بصفۃ اللہ لا أفعل کذا لا یکون یمینا، ولو قال: وعلم اللہ لا أفعل کذا عندنا لا یکون یمینا، ولو قال: ورحمۃ اللہ لا أفعل کذا لا یکون یمینا فی قول أبی حنیفۃ و محمد رحمھما اللہ تعالیٰ.
وفیہ ایضًا: ولو قال: شھد اللہ أنہ لا إلٰہ إلا ھو لا یکون یمینا کذا فی الخلاصة. (ج٢، ص٥٤) واللہ اعلم بالصواب


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...