ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
«اللَّهُمَّ أَحْيِنِى مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِى وَتَوَفَّنِى إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِى»
‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনি ঐ সময় পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখুন, যে পর্যন্ত আমার জন্য আমার যিন্দেগী কল্যাণকর হয়। আর আপনি আমাকে ঐ সময়ে মৃত্যু দান করুন, যখন মারা গেলে মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়’।(মুসলিমঃ ২৬৮০, ‘দোআ এবং যিকর’ অধ্যায়, ‘বিপদাপদে মৃত্যু কামনা করা নিন্দনীয়’ অনুচ্ছেদ)
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে,আল্লাহ সাক্ষাৎ লাভের আশায় মৃত্যুকে কামনা করা জায়েয।
আর আল্লাহর নৈকট্যলাভ তখনই সম্ভব যখন ঈমানি হালতে কারো মৃত্যু হবে। সুতরাং ঈমানি হালতে মৃত্যুকে কামনা করা জায়েয। নাজায়েজ তো হবেই না বরং তা সালাফে সালেহীনদের অনুসরণ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4071
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্মৃতি বিজরিত স্থানে মৃত্যু কামনা করা যাবে। তবে দিন তারিখ ও সময় উল্লেখ করে মৃত্যু কামনা করা যাবে না। সুতরাং এবারের উমরাহতেই যেন মৃত্যু হয়, এমনটা না বলে, বরং বলা যাবে, আল্লাহ আপনার রাসূলের শহরেই আমাকে মৃত্যু দিবেন যখন মৃত্যুর সময় আসবে।
হযরত উমর রাযি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শহরে মৃত্যু কামনা করতেন।
’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
عَنْ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي شَهَادَةً فِي سَبِيلِكَ، وَاجْعَلْ مَوْتِي فِي بَلَدِ رَسُولِكَ صلى الله عليه وسلم.
তিনি এ বলে দু’আ করতেন, হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত বরন করার সুযোগ দান কর এবং আমার মৃত্যু তোমার রাসূলের শহরে দাও।(সহীহ বোখারী-১৭৬৯)