জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চার্জার পিনের উপর শিল বা ভারী কিছু রাখা জায়েয হবে মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য।
তবে এতে দুর্ঘটনা হয়ে গেলে বা কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে গুনাহ আপনার হবে।
তাই মোবাইলের দোকানে গিয়ে বিষয়টি বলে স্বাভাবিল ভাবে সমাধানের পথ বের করার পরামর্শ রইলো।
(০২)
পোশাক আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত।
কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-
يا بني آدم قد انزلنا عليكم لباسا يوارى سوآتكم وريشا ولباس التقوى ذلك خير ذلك من آيت الله لعلهم يذكرون.
হে আদমের সন্তান সন্ততি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দুষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্য্যেরও উপকরণ। বস'ত তাকওয়ার যে পোষাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।-সূরা আরাফ : ২৬
,
পোশাক নিয়ে শরীয়তের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যাহা মুসলমানদেরকে মেনে চলতে হবে।
তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ
নারী-পুরুষ একে অন্যের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে অত্যন্ত কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারণকারী পুরুষের উপর আর পুরুষের বেশধারণকারিনী নারীর উপর লানত করেছেন।-বুখারী, হাদীস : ৩৮৮৫
বেশ ধারণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পোষাক। অতএব নারীর জন্য পুরুষের পোষাক পরিধান করা আর পুরুষের জন্য নারীর পোষাক পরিধান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, নারীর পোষাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোষাক পরিধানকারী নারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।-আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৯২
পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের নীতিমালা বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এটা যদি ছেলেদের জন্যই বানানো হয়ে থাকে এবং সমাজে ছেলেরাই উক্ত পোশাক পরিধান করে থাকে এবং নারীদের সালোয়ার কামিজের সাথে যদি কোন সাদৃশ্যতা না থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত পোশাক পরিধান করা যাবে।
(০৩)
হ্যাঁ, জায়েজ।
(০৪)
সেখানে যদি নুন সাকিন বা তানবিন বা মীম সাকিন না আসে, সেক্ষেত্রে গুন্নাহ করার তো কোন অপশন নেই।
এমতাবস্থায় গুন্নাহ করলে অর্থ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হ্যাঁ, যদি নুন সাকিন বা তানবিন বা মীম সাকিন এর উপর গুন্নাহ করা হয়,সেক্ষেত্রে অর্থ পরিবর্তন হবেনা।
তবে জেনেশুনে নিয়মের খেলাফ তিলাওয়াত করা যাবেনা।
(০৫)
উক্ত আঠালো পানি যদি গোসলের মধ্যে আপনার লিঙ্গ থেকে বের হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে পুনরায় শুরু থেকে ফরজ গোসল করা লাগতো।
এমতাবস্থায় আপনার নামাজ হয়নি ফরজ গোসলও আদায় হয়নি।
পুনরায় ফরজ গোসল করে ওই গোসলের পর থেকে পুনরায় ফরজ গোসল করার আগ পর্যন্ত যতগুলো নামাজ আদায় করেছেন সবগুলো নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
আর যদি উক্ত আঠালো পানি গোসলের আগেই আপনার লিঙ্গ থেকে বের হয়ে থাকে,আর আপনি গোসলের মাঝে তাহা ধুয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়েছে,নামাজ গুলিও আদায় হয়েছে।
(০৬)
হ্যাঁ, ফরজ।
তবে পায়ুপথের ছিদ্রের ভিতর ধোয়া আবশ্যক নয়। সেখানে বির্য লেগে থাকলে সেই স্থান ভালোকরে ডলে ধোয়া লাগবে।
(০৭)
হ্যাঁ, বলতে হবে।
এটি সুন্নাত।
(০৮)
হ্যাঁ, নামাজ হবে।
(০৯)
যার থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে তার কাছে এ টাকা ফেরত দিতে হবে।
যদি তার কাছে ফেরত দেওয়া মুশকিল হয়, সেক্ষেত্রে তার মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করে দিবেন অথবা তার বিকাশ বা ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিবেন।
(১০)
এক্ষেত্রে গালি দাতার গুনাহ হবে।
এতে তার হক নষ্টের গুনাহ হবে।
তবে হাসি দাতার গুনাহ হবেনা।
হ্যাঁ যদি সে ঠাট্রাচ্ছলে হাসে,সেক্ষেত্রে তার ঠাট্রা করার গুনাহ হবে।
এতে তার হক নষ্টের গুনাহ হবেনা।