আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম
শায়খ,ইদানীং ইমানী অশান্তি নিয়ে আমি বেশি ভুগছি। মনে হচ্ছে একটু কিছু এইদিক থেকে অইদিক হলেই ইমা শেষ হয়ে যাবে। অনেকটা টেনশন এই আছি শায়খ। আপনাদের কাছে ইমান নিয়ে গত কয়েক দিন অনেক প্রশ্ন ও করেছি। কিন্তু ইমান নিয়ে সন্দেহ গুলো কিছুতেই কাটছে না৷ একটা সন্দেহ শেষ হলেই আরেকটা পিছু ধরে শায়খ। তাই চেষ্টা করছি ইমান ভংগের কারণ গুলো ভালোভাবে জানার৷
শায়খ, আমার জানা মতে মনে প্রানে ইসলাম এর কিছু অস্বীকার করলে যে কেও কাফির হয়ে যায়। কিন্তু গত কালকে আমি কালিমা তয়্যিবা শুনছিলা।। তখন অর্থ সহ শুনছিলাম। অর্থ শুনার পর পর ই মনে একটা কথা আসল যে, এটা ঠিক না / এমন কোনো কথা মনে আসল হুট করেই যেটা তে কালিমা তয়্যিবা কে অস্বীকার করা হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি ইসলাম এর সব ই বিশ্বাস করি মনে প্রানে। হুট করেই এমন কথা মনে চলে আসছিল।
১# শায়খ,এমন কথা মনে চলে আসায় কি আমার ইমান নষ্ট হয়ে  গেছে? ২

২# সবাই যেমন সাধারন ভাবে চলাচল করতে পারছে। ইমান ভাংার বিষয়টি তাদের সাথে তেমন ঘটছেও না। ইমান ভাংগা নিয়ে সন্দেহ ও হচ্ছে না। কিন্তু আমার মনে এসব আসছে খুব বেশি। শান্তি পাচ্ছি না শায়খ। মনে হয় এই না ভেংগে গেলো ইমান। ভয় ভয় থাকা লাগে প্রতিটা কথা বলার সময়। আমি এখন কি করব শায়খ?  কি করলে এমন ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে একটু বললে উপকৃত হবো শায়খ।
৩# আমি গতকাল ইস্তেখারা করেছিলাম এটা জানার জন্য যে ইমান টুকু ঠিক আছে কিনা আল্লাহ যদি একটু জানিনে দেন তাহলে আমার টেনশন কমবে। শায়খ কি স্বপ্নে দেখেছি পুরো মনে নেই। শুধু এই টুকু মনে আছে যে   ৮০ দিরহাম ছদকা করার জন্য বলা হয়েছে। স্বপ্নে মনে হচ্ছিলো ৮০ দিরহাম ছদকা করলে শিরক/ এমন কিছু হয়ে থাকলে মাফ হয়ে যাবে। এই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা যদি একটু দিতেন শায়খ।

আমার বিষয় গুলো একটু বিবেচনা করবেন শায়খ। অনেকটা মানসিক অশান্তি তে আছি এগুলো নিয়ে৷ দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(১.২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
শুধু মনে মনে চিন্তা করা,বা তা ভাবলেই ঈমান চলে যায়না।
,
সুতরাং আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
এটি ওয়াসওয়াসা।
মন থেকে এসব বিষয় একেবাড়ে ঝেড়ে ফেলুন,নিজ কাজে মনযোগ দিন।  
,
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

وفیہ أیضاً(۱۷۶/۱):عن أبی ھریرۃ رضی الله عنہ قال: قال ﷺ "إن الله تجاوز عن أمتی ماحدثت بہ أنفسھا مالم تعمل أو تتکلم" أخرجہ البخاری 

যার সারমর্ম হলো নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উপেক্ষা করেন, যতক্ষন পর্যন্ত উক্ত কাজ না করবে বা মুখে কোনো কথা না বলবে,ততক্ষন পর্যন্ত কোনো বিধান জারী হয়না।

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي عَمَّا لَمْ تَتَكَلَّمْ بِهِ، أَوْ تَعْمَلْ بِهِ، وَبِمَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا 

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন।
(আবু দাউদ ২২০৯)

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ 

উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয় বা খটকা লাগে, আল্লাহ্ তাআলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে।
(নাসায়ী শরিফ ৩৪৩৮)
,
আল্লাহ তাআলা বলেন,


إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ


এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)

ওয়াসওয়াসার নেপথ্যে থাকে শয়তান। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে– ঈমানদারদেরকে কষ্ট দেয়া।

اعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
এমন চিন্তা আসলেই এটি পড়তে হবে।

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‘‘যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’’

আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত রসূল (সাঃ) বলেছেন- বনী আদমের অন্তরে ফেরেশতার পক্ষ হতে ইলহাম হয়। শয়তানও বনী আদমের অন্তরে কুমন্ত্রনা ঢেলে দেয়। ফিরিস্তা তার সাথে কল্যাণের ওয়াদা করে, সত্যের সত্যায়ন করে এবং অন্তরে ভাল কাজের বিনিময়ে ছাওয়াবের আশা-আকাঙ্খা জাগ্রত করে। শয়তানের কুমন্ত্রনা হচ্ছে অন্যায় কাজের ওয়াদা করা, সত্যকে অস্বীকার করা এবং কল্যাণ অর্জন থেকে নিরাশ করা। সুতরাং তোমরা যখন অন্তরে ফিরিস্তার ইলহাম অনুভব কর তখন আল্লাহর প্রশংসা কর এবং আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা কর।
আর যখন শয়তানের ওয়াসওয়াসা অনুভব কর তখন আল্লাহর কাছে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
মিশকাতুল মাসাবীহ। তাহকীক আলবানী, হা/৭৪। 
,
সাহাবীগণ নাবী (সাঃ) এর কাছে অভিযোগ করলেন যে, তাদের অন্তরে এমন জিনিসের উদয় হয়, যা মুখে উচ্চারণ করার চেয়ে তার কাছে আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া অধিক প্রিয় বলে মনে হয়। নাবী (সাঃ) তখন বললেন- আল্লাহু আকবার। ঐ আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা, যিনি শয়তানের চক্রান্তকে ওয়াসওয়াসার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যার কাছে সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে ওয়াস্ওয়াসা এবং একের পর এক যদি এভাবে প্রশ্নের উদয় হয় যে, এই তো আল্লাহ্ সকল মাখলুক সৃষ্টি করেছেন, তাহলে কে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে? এমন পরিস্থিতিতে তিনি কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করার আদেশ দিয়েছেনঃ

هُوَ الأوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

‘‘তিনিই সর্বপ্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত’’। (সূরা হাদীদ-৫৭:৩) এমনিভাবে আবু যামীল ইবনে আববাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিল, এ কি জিনিস যা আমার বক্ষদেশে কিছু (ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রনা) অনুভব করছি। আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) বললেন- সেটি কী? তিনি বলেন- আমি বললামঃ আল্লাহর কসম! আমি এ ব্যাপারে কথা বলবনা। ইবনে আববাস তখন বললেন- সেটি কি কোন সন্দেহ? আমি বললামঃ হ্যাঁ। আল্লাহ্ তা‘আলা এ ব্যাপারে কুরআনের আয়াত নাযিল না করা পর্যন্ত কেউ এ থেকে রেহাই পায়নি। সুতরাং তুমি যখন তোমার অন্তরে এমন কিছু অনুভব কর তখন এই আয়াতটি পাঠ করবেঃ

 هو الأوَّلُ وَالآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

‘‘তিনিই সর্বপ্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত’’। (সূরা হাদীদ-৫৭:৩) এই আয়াতের মাধ্যমে নাবী (সাঃ) মুসলিমদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, স্বচ্ছ বিবেক তাসালসুল তথা আদি-অন্তহীন সৃষ্টির অসিত্মত্বকে বাতিল সাব্যস্ত করে। সৃষ্টির প্রারম্ভ এমন এক প্রথম সত্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়, যার পূর্বে আর কোন সৃষ্টি নেই। এমনিভাবে এমন এক শেষ সত্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়, যার পরে আর কোন সৃষ্টি নেই। অর্থাৎ যখন কোন মাখলুকের (সৃষ্টির) অসিত্মত্ব ছিল না তখন আল্লাহ্ ছিলেন আবার যখন কোন কিছুই থাকবেনা, সব কিছুই ধ্বংস হবে তখনও একমাত্র আল্লাহই অবশিষ্ট থাকবেন। তিনিই ‘যাহের’ এ কথার তাৎপর্য হচ্ছে, আল্লাহর উপরে অন্য কোন বস্ত্ত বা সৃষ্টি নেই। তিনি জ্ঞান ও শক্তির মাধ্যমে উর্ধ্ব জগতের সবকিছু বেষ্টন করে আছেন। আর তিনিই বাতেন, এ কথার তাৎপর্য হচেছ তিনি নিম্নজগতের সকল মাখলুককে (সৃষ্টিকে) এমনভাবে বেষ্টন করে আছেন, যার বাইরে অন্য কিছু নেই। এক কথায় ظاهر বলতে উর্ধ্বজগতের (আসমান ও তার মধ্যকার) সকল সৃষ্টির উপর আল্লাহর কর্তৃত্বকে বুঝানো হয়েছে আর باطن বলতে নিম্নজগতের (যমীন ও তার মধ্যকার) সকল বস্ত্তর উপর তাঁর কর্তৃত্বকে বুঝানো হয়েছে। তাঁর পূর্বে যদি কোন বস্ত্ত থাকত, তাহলে তা স্রষ্টার উপর প্রভাব বিস্তারকারী হয়ে যেত এবং সেই বস্ত্তই হত মহান সৃষ্টিকর্তা ও পরিচালক।
সুতরাং তিনিই সর্বপ্রথম, যার পূর্বে আর কেউ নেই, তিনিই শেষ, যার পরে আর কেউ নেই। সৃষ্টির ধারাবাহিকতা ও ক্রমবিকাশ এমন এক সৃষ্টিকর্তা পর্যন্ত গিয়ে অবশ্যই শেষ হবে, যিনি অন্যের প্রতি মুখাপেক্ষী নন, কিন্তু সবকিছুই তাঁর দিকে মুখাপেক্ষী, যিনি স্বনির্ভর, সকল বস্ত্ত তাঁর উপর নির্ভরকারী, তিনি নিজেই অসত্মীত্বশীল, কিন্তু অন্যসব বস্ত্ত তাঁর কারণেই অসত্মীত্বশীল। তিনি আদি থেকেই আছেন এবং তাঁর কোন শুরু নেই। তিনি ব্যতীত বাকী সবই অসত্মীত্বহীন থেকে অসত্মীত্বে এসেছে। তাঁর সত্তা স্থায়ী থাকবে এবং প্রত্যেক বস্ত্তর স্থায়িত্ব তাঁর কারণেই। সুতরাং তিনিই প্রথম, তাঁর পূর্বে আর কেউ নেই। তিনিই শেষ, তাঁর পরে আর কেউ নেই। তিনিই সবার উপরে, তাঁর উপরে আর কেউ নেই। তিনি আকাশের উপর আরশে সমুন্নত। তিনিই সকলের নিকটে, তার চেয়ে অধিক নিকটে আর কেউ নেই।

(সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সালাম।)
,

ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন যে, 
এই আমল গুলো করলে ইনশাআল্লাহ মনের সাহস বৃদ্ধি পাবে—

ক) (لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ) (অর্থ- কোন উপায়-সামর্থ্য নেই, কোন শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া)  বেশি করে পড়তে পারেন। এ বাক্যটির সওয়াব জান্নাতের জন্য সঞ্চিত অমূল্য রত্ন; যেমনটি বর্ণিত হয়েছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে। একই ভাবে এটি কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বহন ও কঠিন কাজসমূহ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে এক মহৌষধ।

খ) ইয়া-মুহাইমিনু :(হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী) মাশায়েখগণ বলেন, যে ব্যক্তি গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই নামটি পড়বে আল্লাহ তালা তার মনের ভিতর থেকে সকল প্রকার ভয় দূর করে দিবেন। মনে সাহস বৃদ্ধি পাবে।

গ) আবু দাউদে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম আবু উমামাকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি কালেমা শিক্ষা দেব, তুমি যখন তা বলবে, আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করে দেবেন এবং তোমাকে ঋণ মুক্ত করে দেবেন। 

তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বল,

اللهم إني أعوذ بك من الجُبن والبخل، وأعوذ بك من غلبة الدين وقهر الرجال

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের কথার ওপর আমল করেছি, আল্লাহ তাআলা আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন এবং আমাকে ঋণ মুক্ত করে দিয়েছেন।

ঘ) তদ্রূপ আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করলে মনের সাহস ও  আত্মবিশ্বাস বৃৃদ্ধি পায়।

 আল্লাহ তাআলা বলেন,
أَلا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

‘জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।’ ( সূরা রাদ : ২৮)

তিনি আরো বলেন,

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

‘মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের ওপর তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের রবের ওপরই ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল : ২)
,
(০৩)
৮০ দিরহাম ছদকাহ সংক্রান্ত যে স্বপ্ন আপনি দেখেছিলেন,এটি আপনার মনের অস্থিরতা থেকেই দেখেছেন।
আপনার উপর এ সদকাহ আবশ্যকীয় নয়।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...