আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্ উস্তাজ।
একজন মেয়েকে তার স্বামী কি বাধ্য করতে পারে কোনো কাজে?মেয়েটি প্রেগন্যান্ট সে বরিশালে স্বামীর সাথে।মেয়েটির তো প্রসবকালীন সময়ে বাড়িতে যাওয়া লাগবে,মেয়েটির স্বামী জোর করে মেয়েটিকে শশুর বাড়ি রেখে আসবে সেখানে পর্দার পরিবেশ নেই।একজন মেয়ে এই কঠিন সময় টার মায়ের কাছে থাকতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক আর মেয়েটি শশুর বাড়ি থেকে এমন ব্যবহার পেয়েছে যে ঐ বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করেনা,তার পর্দা নিয়ে নানা সমস্যা(অন্যান্য ক্ষেত্রে ভালো অনেক কিছুও আছে, আলহামদুলিল্লাহ।) মেয়েটি বাবার বাড়ি যাবে আর তার স্বামী জোর করে তাকে শশুর বাড়ি দিয়ে আসবে এটা নিয়ে সমস্যা হয়, অনেক সময় মেয়েটি বাড়ির লোক ফোন দিলে ফোন ধরতে দেয়না মোটকথা অনেকটা জিম্মির মতো।( হতে পারে কোনো বৈধ কারন থাকতে পারে)অনেক বুঝানো হয়েছে তাকে কোনো লাভ হয়নি।
১.এক্ষেত্রে মেয়েটির করনীয় কি?
আর মেয়েটিকে তার ননদের জামাই খারাপ বলেছে আর
তিনি থাকাকালীন তাদের বাসায় যেতে নিষেধ করেছে ননদ কথা বলতোনা পর্দার বিষয় নিয়ে সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যা ছিল।এখন মেয়েটিকে তার স্বামী ঐ বাষায় যেতে বলছে কিন্তু মেয়েটি যেতে চাইছে না,মেয়েটিকে কি ঐ বাসায় যেতেই হবে?
ঐ বাসায় যাওয়ার কথা বলার সময় স্বামী উদাহরন দিয়েছে যে তোমার বোন আর বোনার জামাই এরকম করতো তাহলে কি করতে মেয়েটি বলেছে আমার বোনোর জামাই আমার সাথে এরকম করলে ঠাস করে থাপ্পড় দিতাম এতে কি গীবত হয়েছে?(লেখা উনিশ বিশ হতে পারে)
মেয়েটি স্বামীর সাথে ভালো আচরন ও আনুগত্য করার চেষ্টা করে করে কিন্তু অনেক সময় পরিস্থতির কারনে কথা বলতে বাধ্য হয় বেয়াদবি না করে সুন্দর ভাবে কথা বলার চেষ্টা করে মেয়েটির এই সময় যেহেতু শারীরিক মানসিক অনেক পরিবর্তন হয়েছে অনেক সময় রেগে যায় বিরক্ত হয়ে যায় মেয়েটি ওয়াসওয়াসার রোগী ভয়ে থাকে যদি স্বামীর সাথে খারাপ ব্যবহার হয়ে যায় যদি গুনাহ হয়ে আদেশ পালন করতে না পারলে,একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এক্ষেতে করনীয় কি?
অনেকটা মানসিক ডিপ্রেশন,উস্তাজের কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইলো। জাঝাকাল্লহু খইর।