ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ’আবদুর রহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত।
عَن يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: إِنَّ عُمَرَ بن الْخطاب خَرَجَ فِي رَكْبٍ فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ حَتَّى وَرَدُوا حَوْضًا فَقَالَ عَمْرُو: يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ هَلْ تَرِدُ حَوْضَكَ السِّبَاعُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ لَا تُخْبِرْنَا فَإِنَّا نَرِدُ عَلَى السِّبَاعِ وَتَرِدُ عَلَيْنَا. رَوَاهُ مَالك
তিনি বলেন, ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) এক কাফিলার সাথে বের হলেন। এদের মধ্যে ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ)-ও ছিলেন। পথ চলতে চলতে তারা একটি হাওযের কাছে পৌঁছলেন। তখন ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) বললেন, হে হাওযের মালিক! তোমার হাওযে হিংস্র জন্তুরাও কি পানি পান করতে আসে? ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, হে হাওযের মালিক! আমাদেরকে এ সংবাদ দিও না। এ পানির ঘাটে কখনো আমরা আসি আর কখনো আসে জন্তু জানোয়ার (তাতে অসুবিধা কী?)। (মুয়াত্ত্বা মালিক ৪৫,মিশকাত-৪৮৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পরিবারের মধ্যে যিনি পাক নাপাক সম্পর্কে অবগত নন অথবা যিনি পাক নাপাকি নিয়ে তেমন কোনো তোয়াক্কা করেননা, উনাকে ভালোমতো বুঝানো উচিত। তারপরও কেউ না বুঝলে, যতক্ষণ না ঘরের আসবাবপত্রে দৃশ্যমান কোনো নাপাকি পরিলক্ষিত হবে, ততক্ষণ ঘরের আসবাপত্রকে পাক সাব্যস্ত করা হবে।
(২) বিছানায় যদি নাপাকি দূশ্যমান হয় বা পরিলক্ষিত হয়, তাহলে এতেকরে ঐ বিছানা নাপাক বলেই সাব্যস্ত হবে।
(৩) দেয়ালে নাপাকি লেগে শুকিয়ে গেলে ওখানে ভেজা কাপড় লাগলে কাপড়টা নাপাক হবে না। বাথরুম শেষ করে শুধু পানি দিয়ে হাত ধৌত করার পর যদি হাতে কোনো গন্ধ পাওয়া যায় তবে দৃশ্যমান কিছু না থাকে, তাহলে হাতকে পাক মনে করা হবে।