ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَومٌ مِّن قَوْمٍ عَسَى أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ وَلَا نِسَاء مِّن نِّسَاء عَسَى أَن يَكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَن لَّمْ يَتُبْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ -
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।(সূরা হুজুরাত-১১) বিস্তারিত
https://www.ifatwa.info/5449
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো জীবনের উত্থান ও পতন থেকে আমাদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কাউকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা কখনো উচিত হবে না, এমনকি জায়েযও হবে না । বরং তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করার চেয়ে তার থেকে শিক্ষা গ্রহন করাই উচিত ও উত্তম হবে। বিশেষ করে এমন কেউ যার কাছ থেকে আপাতত ক্ষতির সম্ভাবনা প্রায় গৌণ, তার সমালোচনা করা বা তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা জায়েয হবে না। ফটো ভিডিও শেয়ার তো জাযেয হবেই না।
(২) বেশী বেশী দরুদ পাঠ করবেন।
(৩) নেককারদের সাথে চলা ফেরা করে তাদের দেখে দেখে দ্বীনের অনুশীলন করলে বেশী রপ্ত করা যাবে।
(৪) কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা উদ্দেশ্য হলে, সেটা গীবতের আওতাধীন হবে।
(৫) প্রশ্নের বিবরণমতে গীবত হবে না।
(৬) তিনবার ধৌত করে পবিত্র করতে হবে।
(৭) এক চতুর্থাংশ এর কম হলে নামায হবে। পানির ব্যবস্থা থাকলে তখন ধৌত করা মুস্তাহাব।
(৮) কেউ একজন আপনার সাথে শত্রুতা করার চেষ্টা করছে। আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুক।
(৯) কেউ একজন আপনার সাথে শত্রুতা করার চেষ্টা করছে। আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুক।