১. বর্তমানে যে যুগ চলছে - প্রেম ভালোবাসা - বিয়ের আগেই সতীত্ব নষ্ট করে - ধোকা খেয়ে দ্বীনের পথে ফিরে আসা।
২. আমার পরিচিত একজন ছেলে, প্রেম করে, মেয়ে কাউকে মূখ দেখায় না। পুরোপুরি পর্দা করে, নামাজ রোজা আমলে অনেক এগিয়ে, মেয়েটি সরকারী মেডিকেলে পড়ে। এমন অসংখ্য হারাম সম্পর্ক দেখছি। নিজেকে হতাশ লাগে। দেখি সারাদিন তারা প্রেম করে। ঐ মেডিকেল মেয়েটি, দ্বীনদার ধার্মিক, এই ছেলে ছাড়া কারো সাথে কথা বলে না। মেয়েটি ছেলেটিকে তসবিহ ইসলামিক বই দিয়েছে, সারাদিন তসবি হাতে ঘুরে ছেলেটি। মেয়েটি ছেলেটিকে হাত খরচের টাকাও দেয়।
৩. ভার্সিটি লাইফে এমন অনেক ঘটনা বন্ধুদের মূখে শুনেছি, রুম ডেট করে, ছেলে ছেড়ে দিয়েছে, মেয়ে দ্বীনদার হয়ে গিয়েছে। আবার বিয়ের আগে, অনেক মেয়েরা হুজুর সেজে থাকে।
যতরকম আমল করা যায় করে যাচ্ছি, সূরা ফূরকানের - ৭৪ নম্বর আয়াত স্বয়নে-স্বপনে আমল করে যাচ্ছি। একজন তাকওয়াবান দ্বীনদার স্ত্রী পাওয়া জন্য, রোজাও রাখছি, তাহাজ্জুদও পড়ছি। ফিমেল মাইন্ড, দাম্পত্য জীবনের জন্য আরেফিন শক্তির কোর্স করেছি মন বুঝার জন্য, আরো অনেক বই পড়া আছে, কেয়ারিং হাসব্যান্ড, মুহস্বনাত, প্রেমময় দাম্পত্য জীবন, নবীজির সংসার, কুর্রাতা আইয়ুন, সহ আরো কিছু।
আমি জব এর প্রস্তুতি নিচ্ছি, যদিও হালাল ভালো ইনকাম এর ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিয়েছেন। এমতাবস্থায় বিয়েও করতে পারছিনা, ফাইনানসিয়াল কন্ডিশন খুব স্ট্রং না। এদিকে প্রচুর টেনশন হচ্ছে, এই নষ্ট সমাজে, নিজে ভালো থেকেও ভালো তাকওয়াবান স্ত্রী পাবো কি। নষ্টামি করে বেড়ানো ছেলেগুলো ভালো স্ত্রী পাচ্ছে, এগুলো দেখলেও খারাপ লাগে।
আমার প্রশ্নঃ
১। এযুগে আছে কি পবিত্র ভালো মেয়ে? যারা স্বামীর আমানত নষ্ট করেনি?
২। আর এমন কাউকে পাবো কি আমল করলে?
৩। দ্বীনদার নেক্কার খুলুকে আজিম পর্দাশীল মেয়েরা যে, গোপনে প্রেম করে, ঘন্টারপর ঘন্টা কথা বলে(উপরে উল্লেখিত), কি আমল করলে, তাদের মত ভন্ড/ফালতু মেয়ে হতে রেহাই পাবো?