আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
উস্তাদ,

# যদি ২রাকাত বিশিষ্ট নফল নামাজে তাশাহুদ বৈঠকে বসে সন্দেহ হয় যে, ১রাকাত হলো কিনা। তাহলে হুকুম কি? নামাজী কিভাবে নামাজ শেষ করবেন।

# কোন মসজিদে জামাত হয়ে যাবার পর যদি কয়েকজন একত্রে হাজির হয়। জামাত আকারে আদায় করতে চায়, তবে একামত দিবে কিনা।

# কোন লোক যদি টাকা কর্জে হাসানা নিয়ে আর না দেয়। ফেরত দেবার কোন আলামত না পাওয়া যায়, তবে হুকুম কি? দাতার সওয়াব জানতেএ চাই। আর, নিয়াত বদলে যাকাত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে কিনা।

# মসজিদে নামাজ শেষে পেছনের কাতারে কেউ নামাজ আদায় করলে, অনেকে দীর্ঘ অপেক্ষা করে। এমনও দেখা যায়, খুটি/লাটি দাড় করানোর জন্য এমন কসরত করে, যে নামাজীর মনোযোগ যতটা নষ্ট হয়, তাতে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেও হতোনা। এমতাবস্থায় বিধান কি।

ক) যদি সিজদাহবত থাকে, তবে ঠিক সামনের কাতার হতে পাশ কাটিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া যাবে কিনা।

খ) যদি নামাজীর এক কাতার ফাকে সামনে কারও নামাজ শেষ হয়, তবে তিনি খুটি ছাড়া বেড়িয়ে যেতে পারবে কিনা। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে নিরাপদ/ক্লিয়ারেন্স ডিসট্যান্স কতটুকু?
by (18 points)
উত্তর কামনা করছি। 

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে নামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1797

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যদি ২রাকাত বিশিষ্ট নফল নামাজে তাশাহুদ বৈঠকে বসে সন্দেহ হয় যে, ১রাকাত হলো কিনা। তাহলে উপরের বিধানমতে নামায সমাপ্ত করতে হবে।

(২) কোন মসজিদে জামাত হয়ে যাবার পর যদি কয়েকজন একত্রে হাজির হয়। জামাত আকারে আদায় করতে চায়, তবে একামত দিবে কি না? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/16637

(৩) কোন লোক যদি টাকা কর্জে হাসানা নিয়ে আর না দেয়। দাতা যাকাত হিসেবে এই টাকাকে বিবেচনা করতে পারবে না।

(৪) বিশেষ কোনো কাজ থাকলে কাতারের শেষে দাড়াতে পারেন।তখন তাড়াতাড়ি নামায সমাপ্ত করা যাবে।নতুবা প্রথম কাতারে দাড়ানোই উত্তম।

(৫) যদি সিজদাহবত থাকে, তবে ঠিক সামনের কাতার হতে পাশ কাটিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া যাবে।

(৭) যদি নামাজীর এক কাতার ফাকে সামনে কারও নামাজ শেষ হয়, তাহলে পিছনের মুসল্লীর নামায সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...