ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে বান্দার আমল সংক্রান্ত প্রদত্ত বিধানসমূহ আট প্রকার।
(১) ফরয, (২) ওয়াজিব, (৩) সুন্নত, (৪) মোস্তাহাব, (৫) হারাম, (৬) মাকরূহে তাহরীমী, (৭) মকরূহে তানযিহী, (৮) মোবাহ বা জায়েয।
ফরযের সংজ্ঞা ও হুকুম: যে কাজ আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে সুনিশ্চিতরূপে করার আদেশ করা হয়েছে তাকে ফরয বলে। যেমন: কালিমা, নামায, রোযা, যাকাত, হজ্জ্ব ইত্যাদি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, এই সব ভিন্ন শ্রেণীর বিধিবিধানের অর্থ হল, পালনে বাধ্যতা ও পরিহারে বাধ্যতার শ্রেণী বিভাগ বর্ণনা করা। এই শ্রেণী বিভাজন মূলত কুরআন হাদীসের অকাট্যতা ও মজবুতি এবং প্রমাণ্যতার উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে। সুতরাং সবচেয়ে মজবুত দলীল প্রমাণ দ্বারা যা সাব্যস্ত হবে, সেটা ফরয বিধান হিসেবে বিবেচিত হবে। তার চেয়ে কিছুটা কম শক্তিশালী দলীল দ্বারা যা প্রমাণিত হবে, সেটা ওয়াজিব হিসেবে বিবেচিত হবে। এর চেয়ে কম হলে সুন্নতে মু'আক্কাদা ও এর চেয়ে কম হলে সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা বা নফল হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঠিকতেমনি প্রথমে হারাম,তারপর মাকরুহে তাহরিমী, তারপর মাকরুহে তানযিহি, ইত্যাদি।
কুরআন পড়ার আগে আউযুবিল্লাহ পড়া নিয়ে ইখতিলাফ? একথা দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? আমাদের জানামতে তো সাধারণ কুরআন তিলাওয়াতের পূর্বে আউযুবিল্লাহ পড়া নিয়ে কোনো ইখতেলাফ নেই।
ওয়াজিব, মু'আক্কাদা এবং মুস্তাহাব, এসব বিধিবিধান ও তার কারণ জানতে উসূলে ফিকহের কিতাবাদি অধ্যয়ন করতে হবে।