আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
edited by
আমি cubing  এ অনেক দক্ষ আমি ২০ সেকেন্ড এর ভিতরে মিলাতে পারি , ইসলামি ছাত্র সিবির এর প্রতিযগিতায় ৭ম হয়েছি cubing hobby হয়ে গেছে অনেক মানুষ এর সাথে বন্ধুত্ত হয়েছে  এটা আমার খুব ই পছন্দের  ,কিন্তু যা ই হোক না কেন আল্লাহ যেই জিনিশ নিশেদ করবে  সেটা তো ছারতে হবে ,কিন্তু আমি এটা খুজতে খুজতে জেনেছি যে ইসলাম এ এ কোন খেলা হালাল হতে হলে তার শারিরিক উপকারিতা থাকতে হয় cubing এর উপকারিতা  ১. হাতের এবং আঙুলের গতি  বাড়ায়  ২. মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়:: আর অনেক ছিল কিন্তু এই দুটো দেয়ার মত ,  cubing সত্যি ই আমার খুব খুব পছন্দের ,আমি উত্তর এর অপেক্ষায় থাকব

1 Answer

0 votes
by (618,420 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحمن

https://ifatwa.info/30049/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩) 
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(ফুরকান-৭৩)

ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে দু’শর্ত সাপেক্ষে।

যে দুই ধরণের খেলা জায়েজ-

১-শারিরীক উপকার নিহিত।যেমন দৌড়, ফুটবল ও ক্রিকেট ও হতে পারে।

২-দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা। যেমন তীরন্দাজী, ঘোড় দৌড় ইত্যাদি।

এসব খেলা জায়েজ থাকার জন্য শর্ত দু’টি। যথা-

১- ফরজ ও ওয়াজিব কোন ইবাদতে বিঘ্ন না হতে হবে।

২-এর সাথে আর কোন গোনাহের বিষয় মিলিত না হতে হবে। যেমন জুয়া, বেপর্দা ইত্যাদি।
এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় মাকরূহ বা নাজায়েজ।

যে সমস্ত কাজে দুনিয়া, আখেরাত ও স্বাস্থ্যগত কোনো উপকার নেই, ঐ সমস্ত অনর্থক কাজে সময় ব্যয় করা শরীয়তে নিষেধ। ক্যারাম বোর্ড খেলায় কোনো ধরণের উপকারিতা না থাকায় তা নাজায়েজ। (আল বাহরুর রায়েক-৮/১৮৯, ফাতাওয়া শামী-৬/৩৯৫)

বিস্তারিত জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রুবিক্স কিউব বা এ ধরনের খেলার ক্ষেত্রে যেহেতু দুনিয়া, আখেরাত ও স্বাস্থ্যগত কোনো উপকার নেই, তাই এধরনের খেলার অনুমতি শরীয়ত দেয়না। 
এহেন খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত। 

https://ifatwa.info/1083/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
লুডু/কেরাম খেলা যদি সময় কে অতিবাহিত করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে -যেমন অধিকাংশ সময় এটাই উদ্দেশ্য হয়- তাহলে এটাও নাজায়েয খেলার আওতাধীন হবে। কিন্তু শরীর ও মনকে সতেজ করার নিয়ত থাকলে এবং এক ইবাদত করার পর আরেক ইবাদত করার জন্য নিজ মন ও শরীরকে তৈরী করার স্বার্থে যদি কেউ লডু খেলে এবং উক্ত লডুতে হারাম কোনো ছবি না থাকে, এবং তাতে জুয়া ইত্যাদি না থাকে, তাহলে উক্ত খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। 

উলামায়ে কেরামদের উক্ত মত অনুসারে শরীর ও মনকে সতেজ করার নিয়ত থাকলে এবং এক ইবাদত করার পর আরেক ইবাদত করার জন্য নিজ মন ও শরীরকে তৈরী করার স্বার্থে যদি কেউ রুবিক্স কিউব বা এ ধরনের খেলা
খেলে এবং উক্ত খেলায় জুয়া ও শরীয়াহ বিরোধী কিছু না থাকে, সেক্ষেত্রে উপরোক্ত লিংকে দেয়া ফতোয়ার ভিত্তিতে কিছু ফুকাহায়ে কেরামদের মত অনুসারে উক্ত খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...