بسم الله الرحمن الرحمن
কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,(মু'মিনুন-৩)
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(ফুরকান-৭৩)
ইসলামে দু’ ধরণের খেলাধুলাকে বৈধ রেখেছে দু’শর্ত সাপেক্ষে।
যে দুই ধরণের খেলা জায়েজ-
১-শারিরীক উপকার নিহিত।যেমন দৌড়, ফুটবল ও ক্রিকেট ও হতে পারে।
২-দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা। যেমন তীরন্দাজী, ঘোড় দৌড় ইত্যাদি।
এসব খেলা জায়েজ থাকার জন্য শর্ত দু’টি। যথা-
১- ফরজ ও ওয়াজিব কোন ইবাদতে বিঘ্ন না হতে হবে।
২-এর সাথে আর কোন গোনাহের বিষয় মিলিত না হতে হবে। যেমন জুয়া, বেপর্দা ইত্যাদি।
এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় মাকরূহ বা নাজায়েজ।
যে সমস্ত কাজে দুনিয়া, আখেরাত ও স্বাস্থ্যগত কোনো উপকার নেই, ঐ সমস্ত অনর্থক কাজে সময় ব্যয় করা শরীয়তে নিষেধ। ক্যারাম বোর্ড খেলায় কোনো ধরণের উপকারিতা না থাকায় তা নাজায়েজ। (আল বাহরুর রায়েক-৮/১৮৯, ফাতাওয়া শামী-৬/৩৯৫)
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রুবিক্স কিউব বা এ ধরনের খেলার ক্ষেত্রে যেহেতু দুনিয়া, আখেরাত ও স্বাস্থ্যগত কোনো উপকার নেই, তাই এধরনের খেলার অনুমতি শরীয়ত দেয়না।
এহেন খেলা থেকে বিরত থাকা উচিত।
লুডু/কেরাম খেলা যদি সময় কে অতিবাহিত করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে -যেমন অধিকাংশ সময় এটাই উদ্দেশ্য হয়- তাহলে এটাও নাজায়েয খেলার আওতাধীন হবে। কিন্তু শরীর ও মনকে সতেজ করার নিয়ত থাকলে এবং এক ইবাদত করার পর আরেক ইবাদত করার জন্য নিজ মন ও শরীরকে তৈরী করার স্বার্থে যদি কেউ লডু খেলে এবং উক্ত লডুতে হারাম কোনো ছবি না থাকে, এবং তাতে জুয়া ইত্যাদি না থাকে, তাহলে উক্ত খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।
উলামায়ে কেরামদের উক্ত মত অনুসারে শরীর ও মনকে সতেজ করার নিয়ত থাকলে এবং এক ইবাদত করার পর আরেক ইবাদত করার জন্য নিজ মন ও শরীরকে তৈরী করার স্বার্থে যদি কেউ রুবিক্স কিউব বা এ ধরনের খেলা
খেলে এবং উক্ত খেলায় জুয়া ও শরীয়াহ বিরোধী কিছু না থাকে, সেক্ষেত্রে উপরোক্ত লিংকে দেয়া ফতোয়ার ভিত্তিতে কিছু ফুকাহায়ে কেরামদের মত অনুসারে উক্ত খেলার অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।