আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ ।
গত জানুয়ারিতে আমার জাওজ দাম্পত্য বিচ্ছেদ  বিষয়ে মেসেজ দিয়েছেন। সারমর্ম ছিল এমন__
আমি নাকি ওনার জীবনের সুন্দর উপভোগ্য সময়গুলো নষ্ট করছি এবং আমার নিজের সময়ও.. (ডিভোর্স করছিনা সেজন্য ) । আমি নাকি মিউচুয়াল বিচ্ছেদ এজন্য চাইনা যে, ওনার পক্ষ থেকে তালাক দিক যাতে  সমস্ত "দায়ভার" ওনার  উপর পড়ে। (রবের কাছে জবাবদিহিতার দায়ভার)

রাগে-দুঃখে আমি সিদ্ধান্ত নিই ওনাকে দাম্পত্য থেকে দায়মুক্ত করব।।

মিউচুয়াল বিচ্ছেদ এবং খোলা তালাক__ ২টার-ই প্রস্তাব দিই ওনাকে।

২/৩ মাস আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়__ তিনি  আগামী জুলাইয়ে পূর্ণ দেনমোহরসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে ডিভোর্স লেটার পাঠাবেন।
পাশাপাশি এটাও বলেন,
যদি এখনই মৌখিক তালাক চাই সেটাও দিবেন যাতে দ্রুত ইদ্দত শুরু করতে পারি।।

আমি বলেছি,
মেসেজে/ভয়েস রেকর্ডে/ নিজে নিজে তালাক উচ্চারণ করে আমাকে/ আমার ভাইকে জানিয়ে দিতে।।
ওইদিনই তিনি প্রস্তাব করেন__
কিছু শর্তসাপেক্ষে ( কিছু হক ছাড় দিয়ে) আমি দাম্পত্য কন্টিনিউ করতে চাই কিনা। কারণ তিনি কনফিউজড! ( সম্পর্কটা রাখবে নাকি ভাঙবে)।

আমি ওনার শর্তগুলো মানতে অপারগ তাই বলেছি " ২দিনের মধ্যে মৌখিক তালাক দিবেন, এবং জুলাইয়ে রাষ্ট্রীয় ডিভোর্স লেটার পাঠাবেন"।।
[উল্লেখ্য যে,
প্রায় ৫বছরের দাম্পত্যে আমি/আমার পরিবার কখনোই তালাক চাইনি। বরং  তিনিই বারবার বিচ্ছেদ চেয়েছেন,আমাকে শর্তযুক্ত তালাকও দিয়ে রেখেছেন!]

আমার জিজ্ঞাসা___
১. যেহেতু তিনি শেষমূহুর্তে সম্পর্ক  কন্টিনিউ করার প্রস্তাব দিয়েছেন কিন্তু শর্ত মেনে কন্টিনিউ করতে আমিই রাজি হলাম না এবং এখনি মৌখিক তালাক দিয়ে দিতে বললাম; তাহলে এটা কি আমার পক্ষ থেকে তালাক চাওয়া হয়ে গেলো?
অর্থাৎ, তিনি যদি ২ দিনের মধ্যে মৌখিক তালাক দেন সেটা " খুলা তালাক" গণ্য হবে কিনা?

[যেহেতু,  খোলা তালাকে মোহরানা নেয়া যায়না; জুলাইয়ে মোহরসহ ডিভোর্স লেটার পাঠালে মোহরানা নেয়া জায়েজ হবে কিনা___জানাবেন মিন ফাদ্বলিকুম ]

1 Answer

0 votes
by (618,420 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

স্বামীর পক্ষ থেকে যে তালাক দেয়া হয় সেটাকে তালাক বলা হয়।

আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে কাযী সাহেব বা উনার স্থলাভিষিক্ত কারো নিকট তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়, তাকে খোলা বলে।
,
যদি এক তালাকের উপর খোলা হয়ে থাকে,তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
যদি কোনো সংখ্যা লেখা না থাকে, তাহলেও এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
এক্ষেত্রে ঐ স্ত্রীকে নিতে চাইলে,নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 
,
যদি তিন তালাকের উপর খোলা করে থাকে, তাহলে প্রথম স্বামীর জন্য ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেও বিবাহ করা জায়েজ হবে না।
এক্ষেত্রে তিন তালাকই পতিত হবে।
,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «جَعَلَ الْخُلْعَ تَطْلِيقَةً بَائِنَةً»

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ খোলাকে এক তালাকে বাইন সাব্যস্ত করেছেন। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪০২৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৮৪৪৮, মুজামে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-২৩০, আসসুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৪৮৬৫}
,
وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَن يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ [٢:٢٢٩]

আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে।
কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে,তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে,তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়,তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে,তারাই জালেম। [সূরা বাকারা-২২৯]

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তালাজ চাওয়া হয়।
তবে খোলা তালাক নয়,বরং সাধারণ তালাক চাওয়া বুঝাচ্ছে।

তাই তিনি যদি ২ দিনের মধ্যে মৌখিক তালাক দেন সেটা " খোলা তালাক" বলে গণ্য হবেনা।

সুতরাং জুলাইয়ে মোহরসহ ডিভোর্স লেটার পাঠালে মোহরানা নেয়া জায়েজ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...