বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/86139/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ
রয়েছে যে,
ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিধান কি? ওয়াজিব না
মুস্তাহাব? এবং ওয়াদাকে ভঙ্গ করা
হারাম না মাকরুহ?
,
সে সম্পর্কে ইমাম নববী রাহ বলেন,
উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে, যদি কোনো
মানুষ কারো সাথে এমন কোনো বিষয়ের ওয়াদা করে যা নিষিদ্ধ নয়, তাহলে তার
জন্য উচিৎ হল সেই ওয়াদাকে পূর্ণ করা। ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এ সম্পর্কে
অবশ্যই মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম শা'ফেয়ী ও ইমাম আবু হানিফা এবং জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে
ওয়াদাকে পূর্ণ করা মুস্তাহাব। যদি সে ওয়াদাকে ভঙ্গ করে ফেলে তাহলে যেন সে
উত্তমতাকে পরিত্যাগ করল,এবং শক্ত মাকরুহে তানযিহি সম্ভলিত কাজে লিপ্ত হল। কিন্তু সে
আবার গোনাহগার হবে না।
,
অন্যদিকে এক দল উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা
ওয়াজিব। ইমাম আবু বকর ইবনুল আরাবি মালিকি রাহ বলেন,যারা উক্ত মাযহাবের
প্রবক্তা তাদের মধ্যে এটা উমর ইবনে আব্দুল আযিয রাহ শীর্ষে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন,মালিকি
মাযহাবের উলামাগণ তৃতীয় আরেকটি মাযহাবকে বর্ণনা করেছেন। সেটা হল যে,যদি কেউ
কাউকে বলে, তুমি বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করো তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া
হবে। অথবা তুমি ওয়াদা করো আমাকে গালি দেবে না তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে
ইত্যাদি বাক্য। তাহলে এমতাবস্থায় ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে। আর যদি স্বাভাবিক
ওয়াদা হয়ে থাকে তাহলে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না। যারা ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব
বলেন না তারা বলেন, যে ওয়াদা হলো হেবার সমার্থক। আর জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে
হেবা কবজা ব্যতীত পরিপূর্ণ হয় না। তবে ইমাম মালিক রাহ এর মতে ওয়াদা কবজার পূর্বেও
ওয়াজিব হয়ে যায়। (আল-আযকার-৩১৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/663
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
ওয়াদা করার পর ঈমানদারের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, ওয়াদাকে
পূর্ণ করা। বিশেষ কোনো জরুরত ব্যতিত ওয়াদাকে ভঙ্গ না করা।
তবে উক্ত ওয়াদা ভঙ্গ করার
কারণে তার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। এর কারণে এক্সট্রা টাকা গ্রহণ করা যাবে না।