ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তোমাকে আমি ছেড়ে দিব।
(২) তোমাকে ছেড়ে দিতে মন চায়।
(৩) এমন হলে তোমাকে ছেড়ে দিতাম।
এগুলো ভবিষ্যত বাচক ও কামনাবাসনা নির্ভর শব্দ। এই জাতীয় শব্দাবলী দ্বারা তালাক হবে না।
(৩) আল্লাহর কসম তোর সাথে থাকতে মন চায়না।
(৫) তোমার সাথে সংসার করব না,তোমার বাবা মাকে আনো।
এগুলো কেনায়া তালাকের শব্দাবলী। তালাকের নিয়তে এই শব্দগুলো বললে তালাক পতিত হয়ে যাবে। নতুবা তালাক হবে না।
(৬) তোমারে দেখতে মন চায় না ।
প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো সমস্যা হবে না। তালাক পতিত হবে না।
(৭) প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো সমস্যা হবে না। তালাক পতিত হবে না।
(৮) প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো সমস্যা হবে না। তালাক পতিত হবে না।
(৯) কসমের জন্য অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে।