শরীয়তের বিধান হলো অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে যদি সেই ক্রীম,প্রসাধনী সামগ্রী শরীর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর না হয়,এবং তাতে কোনো হারামের মিশ্রণ যদি না থাকে।
এবং তাতে কোনোপ্রকার নেশাজাত দ্রব্যাদি সংযুক্ত করা না হয় তাহলে ফর্সা হওয়ার জন্য তা ব্যবহার করা জায়েয হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বামীর সামনে সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন শুধু বৈধই নয় বরং করণীয়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ-رضي الله عنه- عَنِ النَّبِيِّ –ﷺ-، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: مَا اسْتَفَادَ الْمُؤْمِنُ بَعْدَ تَقْوَى اللَّهِ خَيْرًا لَهُ مِنْ زَوْجَةٍ صَالِحَةٍ، إِنْ أَمَرَهَا أَطَاعَتْهُ، وَإِنْ نَظَرَ إِلَيْهَا سَرَّتْهُ، وَإِنْ أَقْسَمَ عَلَيْهَا أَبَرَّتْهُ، وَإِنْ غَابَ عَنْهَا نَصَحَتْهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهِ
আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন, কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ্ভীতির পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে; সে তার দিকে তাকালে (তার বাহ্যিক সাজসজ্জা ও চরিত্রের মাধুর্যতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (সুনান ইবন মাজাহ ১৮৫৭)
কোনো সাজসজ্জা হারাম হওয়ার ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত দলিল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ। আর হারাম হওয়ার দলিল পাওয়া গেলে তা অবৈধ। কেননা, বস্তুর মূল হচ্ছে, বৈধতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللّهِ الَّتِيَ أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالْطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ
আপনি বলুন, আল্লাহর সাজসজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে কে হারাম করেছে? (সূরা আ’রাফ ৩২)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজ স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য উক্ত ক্রীম ব্যবহার করা যদি হারামের মিশ্রন সম্পর্ক জানা না গেলে,এবং ত্বক ও শরীরের জন্য তাহা ক্ষতিকর না হলে সেগুলো ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা নেই।
জায়েজ আছে।
কোনো গুনাহ নেই।
,
এক্ষেত্রে আপনি নিয়ত করবেন স্বামীর সামনে সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য প্রদর্শন।
আরো জানুনঃ
আরো জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হালাল ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করে দাগ দূর করতে পারেন,এবং হালাল কিছু ব্যবহার করে শরীরের রং ফর্সা করাও জায়েজ আছে।