আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।

৮-৯ বছর পূর্বে ইন্টারে থাকাকালীন আমি দ্বীন থেকে অনেক দূরে ছিলাম। তখন আমি বাহিরে ব্যাচে বেশ কিছু প্রাইভেট পড়তাম। এখন লিখতে লজ্জা লাগছে যদিও কিন্তু অন্যের হক্ব জড়িত এখানে।
যাহোক, ওইসময় আমি দুইভাবে কিছু টাকা অন্যায়ভাবে খেয়ে ফেলছি।

১. বাসা থেকে টাকা নিয়েছি কিন্তু প্রাইভেট পড়িনি। ঠিক কত টাকা মনে নেই। ৫০০-১০০০ হতে পারে।
২. বাসা থেকে টাকা নিয়েছি, প্রাইভেটও পড়েছি কিন্তু টিচারকে বেতন দেই নি। কত জন টিচারের কত মাসের টাকা তা সঠিক মনে নেই। আনুমানিক ধারণা আসে একটা কিন্তু শিউর হতে পারছি না।

এই দুইভাবে সর্বমোট ২৫০০-৩০০০ টাকা হবে আমি খেয়ে ফেলছি। আমি এই হক্ব আদায় করতে চাই কিভাবে করবো?

১। ১ম ক্ষেত্রে, বাসায় এই কথা বলে ওই টাকা ফেরত দিলে সম্পর্কে ছাপ পরতে পারে। সারাজীবন কথা শুনতে হবে। আমি কি না বলে ওই টাকা ফেরত দিতে পারবো? এতে কি হক্ব আদায় হবে?
২। ২য় ক্ষেত্রে, কিভাবে আদায় করবো হক্ব? কোন টিচার, কত মাস বুঝতে পারছি না। মাথায় ২-৩ জন টিচারের কথা আসে কিন্তু কারটার ক্ষেত্রে কত টাকা সেটা শিউর হতে পারছি না। তাছাড়া ওনাদের ফোন নম্বরও নেই আমার কাছে। ওনাদের পক্ষ থেকে সাদকা করে দিলে হবে?
৩। এরমধ্যে একজন হিন্দু টিচার আছে যার কাছে অর্ধেক মাস প্রাইভেট পড়ে আর পড়িনি, টাকাও দেই নি। সেক্ষেত্রে কি করনীয়?

1 Answer

0 votes
ago by (615,990 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
হ্যাঁ, আপনি না বলে সেই টাকা আপনার বাবাকে দিতে পারবেন।
এতে তার হক আদায় হবে।

(০২)
যেভাবেই হোক উনাদের সাথে কাহারো মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের সাথে আলোচনা করে  টাকা দিবেন,অন্যথায় ক্ষমা চেয়ে নিবেন। 

চেষ্টার পরেও তাদের খোজ না পেলে সেক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে টাকা গুলি সদকাহ করে দিবেন।

(০৩)
সেই টিচারের সাথে আলোচনা করা সমাধানে আসতে হবে।

তার যদি এমন নিয়ম হয় যে অর্ধেক মাস প্রাইভেট পড়লেও পূর্ণ বেতন দিতে হয়,সেক্ষেত্রে পূর্ণ এক মাসের বেতন দিবেন।

অন্যথায় অর্ধেক মাসের বেতন দিবেন।

তিনি টাকা না নিয়ে ক্ষমা করে দিলে সেক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...