আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,
১. প্রথমবার ঝগড়ায় কাটাকাটিতে স্বামী স্ত্রীকে 'গইরে মাহরামের সাথে কোনো কথা নাই',  কাগজ পাঠিয়ে দিবো
এই বাক্যগুলো বলেছিলেন।

২. দ্বিতীয়বার স্বাভাবিক কথাতেই কথায় কথায় বলেছিলেন 'তাহলে তো তোমাকেই ছেড়ে দেওয়া লাগে আগে'। স্ত্রী বলেছিলো- ' ছেড়ে দিন'। আর উনিও বলেছিলেন 'যাও দিলাম'।
৩. তৃতীয়বার স্বামী বলেছিলেন 'স্ত্রী যদি বাসা থেকে বের হই তাহলে এই সম্পর্ক শেষ। সবকিছু শেষ করে দিয়ে এখান থেকে বের হবা।'  স্ত্রী বের হয়ে চলে এসেছে

এখন এই বিবাহ কি বহাল আছে নাকি ভেঙ্গে গেছে।  আর ২ ও ৩ নাম্বারের কথাগুলোতে কি নিয়তের কোনো বিষয় আছে? নাকি তালাক পতিত হয়েছে।  ২ নাম্বারের সময় এক আলেমের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো উনি বলেছিলেন কোনো সমস্যা হবেনা এতে।
৪. তৃতীয়বারের বের হয়ে আসার সময় স্ত্রীরও আর নিয়ত ছিলোনা ফেরার।  আর স্বামীও স্ত্রীকে একবারও বলেননি থেকে যাওয়ার কথা।  শুধু হুমকি ধমকিই দিয়েছেন।  যেহেতু স্ত্রীও চাচ্ছিলো না আর থাকতে এক্ষেত্রে কি স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য?  স্ত্রী শহরের মেয়ে গ্রামে গিয়ে থাকতে হয়েছে গ্রামের সব কাজই তার কাছে নতুন এবং কিছুটা কষ্টেরও ছিলো । স্ত্রীর সব কাজেই স্বামী দোষ বের করত বদনাম করত বিশ্রী ভাষা ব্যবহার করত আর সবসময় বলতো 'তুমি আমার অবাধ্য'।  স্বামী তার কোনো কাজেই খুশি ছিলেন না। এতে কি আল্লাহ সুব. উক্ত মহিলার উপর রাগান্বিত?

1 Answer

0 votes
by (615,930 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত বাক্য দ্বারা তালাক পতিত হবেনা। 

(০২)
স্ত্রী যদি স্বামিকে বলে ' ছেড়ে দিন'।
স্বামি যদি তার স্ত্রীর উত্তরে বলে 'যাও দিলাম'।

এক্ষেত্রে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে। 

الفتاوى الهندية (1 / 356):

"وَفِي الْمُنْتَقَى امْرَأَةٌ قَالَتْ لِزَوْجِهَا طَلِّقْنِي فَقَالَ الزَّوْجُ قَدْ فَعَلْت طَلُقَتْ فَإِنْ قَالَتْ زِدْنِي فَقَالَ فَعَلْت طَلُقَتْ أَيْضًا رَوَى إبْرَاهِيمُ عَنْ مُحَمَّدٍ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - قِيلَ لِرَجُلٍ أَطَلَّقْت امْرَأَتَك ثَلَاثًا قَالَ نَعَمْ وَاحِدَةً قَالَ الْقِيَاسُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَلَكِنَّا نَسْتَحْسِنُ وَنَجْعَلُهَا وَاحِدَةً وَفِيهِ إذَا قَالَتْ الْمَرْأَةُ طَلِّقْنِي ثَلَاثًا فَقَالَ الزَّوْجُ قَدْ أَبَنْتُك فَهَذَا جَوَابٌ وَهِيَ ثَلَاثٌ كَذَا فِي الْمُحِيطِ."
সারমর্মঃ-
স্ত্রী তার স্বামীকে বলেছে,আমাকে তালাক দাও,স্বামী বললো আমি দিলাম,তাহলে তালাক হয়ে যাবে। স্ত্রী যদি বলে আরো বাড়িয়ে দাও,স্বামী বলে দিলাম,তাহলে আবারো তালাক হয়ে যাবে।

(০৩)
স্বামী তালাকের নিয়তে উক্ত বাক্য বলে থাকলে সেক্ষেত্রে তালাকে বায়েন পতিত হবে। আগের তালাক সহ সব মিলে ২ তালাকে বায়েন পতিত হবে। 

(০৪)
স্ত্রী যদি পরিপূর্ণ পর্দা সহ শরীয়তের বিধানাবলী মেনে চলে থাকে এবং স্বামীকে বৈধ আদেশ গুলো মেনে থাকে, সেক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হবে না, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা সেই স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট হবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...