আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)

আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

ওস্তায  নিচে যতগুলো হাদিস দেওয়া এগুলো সব কি সহিহ??

 

          শাসক বিদ্রোহীদেরক

সকল যুক্তির খন্ডন

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

(১) শাসক জালেম হলে আমরা কিভাবে তার থেকে রেহাই পাব? 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

"যে তার শাসকের কাছে থেকে অপছন্দনীয় কিছু দেখে সে যেন ধৈর্য ধরে।" (বুখারী/৩৮৭০)

(২) কিন্তু সে তো শরীয়ত মোতাবেক শাসন করে না! 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

"আমার পরে এমন কিছু শাসক হবে যারা না আমার হেদায়াত মানবে আর না আমার সুন্নাত। আর তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক থাকবে যারা মানবদেহে শয়তানের অন্তর লালন করবে।"

আমি বললাম:

হে আল্লাহর রাসূল, এরকম সময়ে আমি কি করব ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

তুমি শাসকের কথা শুনবে ও মানবে, যদিও সে তোমাকে মেরে তোমার সম্পদ দখল করে নেয়। তথাপিও তুমি তার আনুগত্য করবে।"

(মুসলিম/১৮৪৭)

(৩) শাসক তো আমার সবকিছু নিয়ে নিল ! আমাকে সে কষ্ট দিচ্ছে !

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

তুমি শাসকের কথা শুনবে ও মানবে, যদিও সে তোমাকে মেরে তোমার সম্পদ দখল করে নেয়। তথাপিও তুমি তার আনুগত্য করবে।"

(মুসলিম/১৮৪৭)

(৪) কিন্তু সে তো আমাদের সবকিছু নিয়ে জুলুম করছে, আমাদের বঞ্চিত করছে ?!

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

"তাদের হক তোমরা ঠিক ঠিক দাও আর তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও!"

(বুখারী/৩৬০৩)

(৫) আচ্ছা সে যদি আমাকে আল্লাহর অবাধ্যতামূলক কোনো কাজ করার কথা বলে ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"আল্লাহর আনুগত্য মূলক বিষয়েই কেবল অনুসরণ।"

(বুখারী/৭২৫৭)

(৬) আমি যদি তাকে উপদেশ দিতে চাই ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"যে শাসককে উপদেশ দিতে চায়, সে যেন প্রকাশ্যে না বলে বরং তার হাত ধরে গোপনে বলে। গ্রহণ করলে তো হলোই, না হলে সে তার দায়িত্ব পালন করেছে।"

(কিতাবুস সুন্নাহ/১০৯৭; ছহীহ)

(৭) গোপনে উপদেশ দেয়ার সময় সে যদি আমাকে হত্যা করে ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"শ্রেষ্ঠ শহীদ হলো: হামযা বিন আব্দুল মুত্তালিব এবং ঐ ব্যক্তি যে শাসককে ভালো-মন্দের উপদেশ দিল আর শাসক তাকে হত্যা করে দিল।"

(হাকেম, ৩/২১৫;সিলসিলাহ ছহীহাহ/৩৭৪)

(৮) আর আমাকে যদি হত্যা না করে ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"সর্বোত্তম জিহাদ হলো, জালেম শাসকের সামনে হক কথা বলা।"

(আবূ দাঊদ/৪৩৪৪; ছহীহ)

(৯) আমি প্রকাশ্যে বললে সমস্যা কি, সে তো আমাকে জুলুম করেছে ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

"যে জামাত থেকে বিঘত পরিমাণ বের হয়ে যাবে, সে যেন ইসলাম থেকেই বেরিয়ে গেল।"

(তিরমিযী/২৮৬৩; ছহীহ)

(১০)আমি মিছিল করার সময় সরকার যদি আমাকে হত্যা করে ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"এই অবস্থায় যারা মারা যায়, তারাই তো নিকৃষ্ট নিহত।"

(ইবনু মাজাহ/১৭৬; হাসান ছহীহ)

(১১) তাহলে শেষমেশ কি দাঁড়ালো ?

এটাই কি তাহলে(حسن الخاتم) উত্তম সমাপ্তি ?

(কণ্ঠে অসন্তুষ্টির ছাপ)

তিনি বললেন:

"খারিজীরা (বিদ্রোহিরা) তো জাহান্নামের কুত্তা।"

(ইবনু মাজাহ/১৭৩; ছহীহ)

(১২) এখন তাহলে আমাদের করণীয় কি ?

তিনি জবাবে বললেন:

"নিশ্চয়ই তোমরা আমার পরে (অন্যায়) প্রাধান্য দেখতে পাবে। তো তখন তোমরা আমার সাথে হাউযে কাউছারে দেখা হওয়ার আগ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরবে।"

(বুখারী/৩৭৯২)

(১৩) ঠিক আছে, আমি মিটিং মিছিল করলাম না, কিন্তু আমি যে তাকে গালি দিতে পছন্দ করি !

তিনি উত্তর দিলেন:

"যে শাসককে অপমান করল, আল্লাহ তাকে অপদস্থ করবেন।"

(তিরমিযী/২২২৪; হাসান)

(১৪) ঠিক আছে, আমি মিছিলও করব না, গালিও দিব না। তবে সে যে আমার নেতা তাও আমি স্বীকার করব না !

তিনি বললেন:

"যে ব্যক্তি কোনো প্রকার আনুগত্যের শপথ (বায়আত) ছাড়াই মারা গেল, সে যেন জাহিলী মৃত্যু বরণ করল।"

(মুসলিম/১৮৫১)

(১৫) কিন্তু সে তো জোর করে ক্ষমতা হাতিয়ে নিয়েছে ?

তো তিনি বললেন:

"আমি তোমাদের তাকওয়া এবং নেতার আনুগত্যের ওছিয়্যাত করছি। সে নেতা যদিওবা হাবশী দাস হয়।"

(আবু দাঊদ/৪৬০৭; ছহীহ)

[নোট: ইসলামী বিধান মতে দাস কখনো স্বাধীনদের উপর কর্তৃত্ব করতে পারে না। তাই এই হাদীসে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, কোনো দাসও যদি ক্ষমতা দখল করে তাকেও অনুসরণ করতে হবে। -অনুবাদক]

(১৬) কিন্তু এটা তো নির্ঘাত জুলুম !

আর সে তো ক্ষমতা পাওয়ার হকদার না !

আল্লাহ তাআলা বলেন:

"বল, হে আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দাও, আবার যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা ছিনিয়ে নাও।"

(সূরা আলে ইমরান:২৬)

(১৭) কিন্তু অনেক শায়খ তো শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলে!

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"তারা জাহান্নামের দরজায় দাঁড়িয়ে ডাকতে থাকবে। যে তাদের ডাকে সাড়া দিবে, তাকেই তারা জাহান্নামে ফেলে দিবে।"

(বুখারী/৩৬০৬)

(১৮) তাহলে এসব শায়খদের যারা অনুসরণ করে ও এরকম সংগঠনের যারা সদস্য, তারা কি করবে ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"তুমি সব দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাও। একটি গাছের শিকড় আঁকড়ে ধরে মরতে পারলে তাও ভালো।"

(বুখারী/৩৬০৬)

(১৯) ঠিক আছে,আমি সব দল‌ থেকে আলাদা হয়ে যাব,

কিন্তু আমার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনকে আমি সরকারের বিরুদ্ধে লাগাব বা তাদের পক্ষে সরকারের বিরোধিতা করব !

তিনি উত্তরে বললেন:

"তুমি বাড়িতে থেকে নিজের জিহ্বা সংযত রাখ। তুমি যা (শরীয়ত) জান, সে অনুযায়ী আমল কর। আর না জানা বিষয় ছেড়ে দাও। নিজেকে নিয়ে চিন্তা কর, জনগণের ব্যাপারটা ছেড়ে দাও।"

(আবু দাঊদ/৪৩৪৩; ছহীহ)

(২০) তা এইসব ফিতনা থেকে দূরে থাকার ছওয়াব কি ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"ফিতনার সময় ইবাদত করা আমার কাছে হিজরত করার মতই।"

(মুসলিম/২৯৪৮)

(২১) কিন্তু পরিবর্তনটা আসবে তাহলে কিভাবে ?

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

"কোনো জাতি নিজে নিজে পরিবর্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাদের পরিবর্তন করেন না।"

(সূরা আর-রা'দ:১১)

(২২) এতসব দলীল-আদিল্লা থেকে যে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার কি হবে ?

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

"আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হলো, সে তো স্পষ্টই বিভ্রান্ত।"

(সূরা আহযাব:৩৬)

(২৩) এখন আপনি আমাকে কিসের উপদেশ দেন ?

আল্লাহ তাআলা বলেন:

"বিচার-ফয়সালার জন্য যখন মুমিনদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন তো তারা এটাই বলবে যে, আমরা শুনলাম ও মানলাম। আর এরাই তো সফলকাম।"

(সূরা নূর:৫১)

(২৪) দোয়া করেন আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করেন !

(কণ্ঠে অনুশোচনার সুর)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

"বান্দা যখন অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ফিরে যায়, আল্লাহ তখন তাকে ক্ষমা করেন।"

(বুখারী/২৬৬১)

[মক্কার মুফতি শাইখ বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ এর পেজ থেকে অনূদিত]

লেখক-ড. মুহাম্মাদ ইবন উমার ইবন সালিম বাযমূল

অনুবাদক-ইয়াকুব বিন আবুল কালাম

সংগ্রাহক-আব্দুর রউফ মাদানী

সৌজন্যে-সাফি ও মাফি

টেলিগ্রাম গ্রুপ-

Islamic World Of Nisa

1 Answer

0 votes
ago by (614,190 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ حَدَّثَنِي أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ رَأَى مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَصْبِرْ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَمَاتَ إِلاَّ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক নিজ আমীরের কাছ থেকে অপছন্দনীয় কিছু দেখবে সে যেন তাতে ধৈর্য ধারণ করে। কেননা, যে লোক জামাআত থেকে এক বিঘতও বিচ্ছিন্ন হবে তার মৃত্যু হবে অবশ্যই জাহিলী মৃত্যুর মত। [বুখারী ৭০৫৩; মুসলিম ৩৩/১৩, হাঃ ১৮৪৯, আহমাদ ২৪৮৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৭)

আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:


على المرءِ المسلمِ السمْعُ والطاعةُ . فيما أحبّ وكَرِهَ . إلا أن يُؤْمَرَ بمعصيةٍ . فإن أُمِرَ بمعصيةٍ ، فلا سَمْع ولا طاعَةَ

‘‘মুসলিমের দায়িত্ব রাষ্ট্রের আনুগত্য করা, তার পছন্দনীয়-অপছন্দনীয় সকল বিষয়ে, যতক্ষণ না কোনো পাপের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদি কোনো পাপের নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সে বিষয়ে কোনো আনুগত্য নেই।’’
(মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৬৯।)

হাদীসের মানঃ সহীহ।

অন্য হাদীসে উবাদা ইবনুস সামিত বলেন:

على المرء المسلم

بايعْنا رسولَ اللهِ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ على السمعِ والطاعةِ . في العُسرِ واليُسرِ . والمَنشطِ والمَكرهِ . وعلى أَثَرةٍ علينا . وعلى أن لا ننازعَ الأمرَ أهلَه . وعلى أن نقولَ بالحقِّ أينما كنّا . لا نخافُ في اللهِ لومةَ لائمٍ (في لفظ: وأن لا تنازع الأمر أهله قال الا أن تروا كفراً بواحاً عندكم من الله برهان)


‘‘আমরা রাসুলুল্লাহ (ﷺ)এর বাইয়াত করলাম যে, আমরা কষ্টে ও আরামে, উদ্দীপনায় ও আপত্তিতে এবং আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হলেও রাষ্ট্রের আনুগত্য করব, রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব না এবং আল্লাহর বিষয়ে কারো নিন্দা-আপত্তির ভয়-তোয়াক্কা না করে যেখানেই থাকি না কেন হক্ক কথা বলব। অন্য বর্ণনায়: আমরা ক্ষমতাপ্রাপ্তদের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করব না, তবে তিনি বলেন: তোমরা যদি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাতীত কুফর দেখতে পাও, যে বিষয়ে তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে (তবে সেক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্তরা তাদের এ অধিকার হারাবে)।’’

(বুখারী, আস-সহীহ ৬/২৫৮৮, ২৬৩৩; মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৭০।)

হাদীসের মানঃ সহীহ।

হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান বলেন,

قلتُ : يا رسولَ اللهِ ! إنا كنا بشرٌ . فجاء اللهُ بخيرٍ . فنحن فيه . فهل من وراءِ هذا الخيرِ شرٌّ ؟ قال ( نعم ) قلتُ : هل من وراءِ ذلك الشرِّ خيرٌ ؟ قال ( نعم ) قلتُ : فهل من وراءِ ذلك الخيرِ شرٌّ ؟ قال ( نعم ) قلتُ : كيف ؟ قال ( يكون بعدي أئمةٌ لا يهتدون بهدايَ ، ولا يستنُّون بسُنَّتي . وسيقوم فيهم رجالٌ قلوبُهم قلوبُ الشياطينِ في جُثمانِ إنسٍ ) قال قلتُ : كيف أصنعُ ؟ يا رسولَ اللهِ ! إن أدركت ُذلك ؟ قال تسمعُ وتطيع للأميرِ . وإن ضَرَب ظهرَك . وأخذ مالَك . فاسمعْ وأطعْ

‘‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা মন্দ অবস্থায় ছিলাম, এরপর আল্লাহ ভাল অবস্থা প্রদান করলেন, যার মধ্যে আমরা এখন রয়েছি। এরপর কি আবার মন্দ রয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, সে মন্দের পরে কি আবার ভাল রয়েছে? তিনি বললেন: হ্যাঁ। আমি বললাম, সে ভালর পরে কি আবার মন্দ রয়েছে? তিনি বলেন: হ্যাঁ। আমি বললাম, তা কেমন? তিনি বলেন, আমার পরে এমন অনেক শাসক হবে যারা আমার আদর্শ গ্রহণ করবে না এবং আমার রীতি পালন করবে না। তাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ থাকবে যাদের অন্তর হলো মানব দেহের মধ্যে শয়তানের অন্তর। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি এরূপ অবস্থায় পড়ি তাহলে কী করব? তিনি বলেন: তুমি শাসকের কথা শুনবে ও আনুগত্য করবে, যদিও তোমার পৃষ্ঠদেশে আঘাত করা হয় এবং তোমার সম্পদ কেড়ে নেয়া হয় তবুও তুমি কথা শুনবে ও আনুগত্য করবে।’’
(মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৭৬।)

হাদীসের মানঃ সহীহ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত অধিকাংশ হাদীসই সহীহ।

কিছু হাদিস আছে হাসান পর্যায়ের, তবে সব হাদীসই আমলযোগ্য।

উল্লেখ,  এক্ষেত্রে শাসক দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্রের শাসক বুঝানো হয়েছে, যে শাসক তার রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা শরীয়তের সমস্ত আইন অনুযায়ী  পরিচালনা করে থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...