আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

কার্টুন দেখলে কি গুনাহ হয়?
১। মটু-পাতলু, ডরিমোন, রুদ্রা এসব কার্টুন দেখলে কি গুনাহ হয়? এগুলোতে মূর্তি পূজা জাতীয় কোন কিছু দেখানো হয় না, জাস্ট বিনোদনের জন্য সাধারণ কার্টুন।
২। কার্টুনের মধ্যে হালকা বাজনা থাকলে কি গুনাহ হবে?
৩। কোন কার্টুনে যদি কোন গান-বাজনা না থাকে বা বাজনা জাতীয় কোন শব্দ না থাকে তাহলে ওইগুলো দেখলে কি গুনাহ হবে?
৪। ইসলামিক কার্টুন গুলো দেখলে কি গুনাহ হবে?
৫। আমি ইউটিউবে অনেক আলেমের ভিডিও দেখেছি কিন্তু কেউই স্পষ্টভাবে বলেনি কার্টুন দেখলে গুনাহ হয় কিনা।অনুগ্রহ করে একটি স্পষ্ট ভাবে বলবেন কার্টুন দেখলে কি গুনাহ হবে? আর গুনাহ হলে এর শাস্তি কি হবে? মানে কবিরা গুনাহ নাকি সগিরা গুনাহ হবে। আর এগুলো কি দোয়া কবুলের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে?

১। বাজারে অনেক টিউব মেহেদী পাওয়া যায় যেগুলোর গায়ে লেখা থাকে হালাল মেহেদী ওই মেহেদী গুলোকে ব্যবহার করা যাবে?  এই ওয়েবসাইটের অনেক প্রশ্নগুলোর মধ্যে দেখেছি আপনারা বলেছেন ত্বক বিশেষজ্ঞদের থেকে জেনে নিতে, কিন্তু ত্বক বিশেষজ্ঞদের তো খুঁজে পাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না আর তাদেরকে আমি চিনিও না। মেহেদির গায়ে যদি লেখা থাকে হালাল মেহেদী তাহলে কি ওইটা ব্যবহার করা যাবে আর গেলে কি ওযু হবে?
২। যদি মেহেদী গুলো ব্যবহার করে ওযু না হয়, আমি ঈদে কিছু মেহেদী দিয়েছিলাম ওইগুলো কি এখনো রয়েছে সেগুলো চলে যায়নি, অনেক চেষ্টা করেও সরাতে পারিনি। এমতাবস্থায় নামাজ পড়লে কি নামাজগুলো হবে?

1 Answer

0 votes
by (643,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ব্যতীত এবং অন্যন্য হারাম জিনিষ থেকে মুক্ত ইসলামিক ইতিহাস নিয়ে রচিত কোনো কার্টুন থাকলে শিক্ষার প্রয়োজনে শিশুদের জন্য অনুমোদন কিছুসংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।এমন কার্টুন প্রয়োজনে বড়রাও মাঝেমধ্যে দেখতে পারবে।তবে সব সময় আবার দেখতে পারবে না।কেননা এতে সময়ের অপচয় হবে।
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)
তবে অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম সকল প্রকার কার্টুনকেই নিষিদ্ধতার অন্তর্ভুক্ত করেন।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2152


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মটু-পাতলু, ডরিমোন, রুদ্রা এসব কার্টুন দেখলে অবশ্যই গোনাহ হবে। নাবালক সন্তানদের দেখতে দিলে অভিভাবকের গুনাহ হবে।   
(২) কার্টুনের মধ্যে হালকা বাজনা থাকলে তো অবশ্যই  গুনাহ হবে।
(৩) কোন কার্টুনে যদি কোন গান-বাজনা না থাকে  তাহলেও ঐগুলো দেখা যাবে না। কেননা তাতে ফ্রিমিক্সিং তো অবশ্যই থাকবে।  
(৪) ইসলামিক কার্টুন গুলো দেখলে গুনাহ হবে না, তবে নারী দৃশ্য বা মিউজিক থাকলে অবশ্যই গোনাহ হবে।চচছ
(৫)  কার্টুন দেখলে গুনাহ হবে। এটা কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত ।  
(৬) বাজারে বিক্রি হওয়া মেহেদি আমাদের জানামতে ব্যবহার করা যাবে। গাছের মেহেদো ব্যবহার করাই নিরাপদ।

(৭) আমাদের জানামতে বাজারে বিক্রিত মেহেদি পানি প্রতিবন্ধক নয়, তাই অজু হবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1024


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 190 views
...