আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে। যাকাত একটি ফরজ ইবাদত, এটা আমরা জানি। কিন্তু এর বাইরে, সাধারণ অবস্থায় ইসলামের হেফাজত, প্রচার এবং দাওয়াতের কাজে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা কি শরিয়তের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ? বাংলাদেশের একটি জেলার একজন সম্মানিত পীর সাহেব দাবি করেন যে, প্রত্যেক মুসলমানের উপর তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ইসলামের হেফাজত এবং দাওয়াতের কাজে আর্থিকভাবে অংশগ্রহণ করা ফরজ। তিনি এই দাবির প্রমাণস্বরূপ সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৬৭ উপস্থাপন করেন। আমরা সাধারণ মানুষ এই ব্যাখ্যা শুনে কিছুটা দ্বিধায় পড়েছি। তাই জানতে চাই: শরিয়তের মূল উৎস – কুরআন ও সহীহ হাদীস – এর আলোকে কি সত্যিই এই দাবির ভিত্তি আছে? যদি এমন কোনো ফরজ দায়িত্ব থেকে থাকে, তাহলে তা কোন পর্যায়ে বাধ্যতামূলক এবং কার জন্য? সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৬৭ এর ব্যাখ্যা কি এই দাবিকে সমর্থন করে? আশা করি আপনি কুরআন, সহীহ হাদীস ও ফিকহি দৃষ্টিকোণ থেকে একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
ago by (612,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡفِقُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا کَسَبۡتُمۡ وَ مِمَّاۤ اَخۡرَجۡنَا لَکُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ ۪ وَ لَا تَیَمَّمُوا الۡخَبِیۡثَ مِنۡہُ تُنۡفِقُوۡنَ وَ لَسۡتُمۡ بِاٰخِذِیۡہِ اِلَّاۤ اَنۡ تُغۡمِضُوۡا فِیۡہِ ؕ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ حَمِیۡدٌ ﴿۲۶۷﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমরা যা যমীন থেকে তোমাদের জন্য উৎপাদন করি তা থেকে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর; এবং নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প করো না, অথচ তোমরা তা গ্রহণ করবে না, যদি না তোমরা চোখ বন্ধ করে থাক। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
(সুরা বাকারা ২৬৭)

 أَخْرَجْنَا শব্দ দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ওশরী জমিতে (যে জমিনের উৎপন্ন শষ্যের এক-দশমাংশ ইসলামী বিধান অনুযায়ী সরকারী তহবিলে জমা দিতে হয়) যে ফসল উৎপন্ন হয়, তার এক-দশমাংশ দান করা ওয়াজিব। ‘ওশর’ ও ‘খারাজ’ ইসলামী শরীআতের দুটি পারিভাষিক শব্দ। এ দুয়ের মধ্যে একটি বিষয় অভিন্ন। উভয়টিই ইসলামী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভূমির উপর আরোপিত কর। পার্থক্য এই যে, ‘ওশর’ শুধু কর নয়, এতে আর্থিক ইবাদাতের দিকটিই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ; যেমন- যাকাত। এ কারণেই ওশরকে যাকাতুল-আরদ বা ‘ভূমির যাকাত’ও বলা হয়। পক্ষান্তরে খারাজ শুধু করকে বোঝায়। এতে ইবাদাতের কোন দিক নেই। মুসলিমরা ইবাদাতের যোগ্য ও অনুসারী।

তাই তাদের কাছ থেকে ভূমির উৎপন্ন ফসলের যে অংশ নেয়া হয়, তাকে ‘ওশর’ বলা হয়। অমুসলিমরা ইবাদাতের যোগ্য নয়। তাই তাদের ভূমির উপর যে কর ধাৰ্য্য করা হয়, তাকে ‘খারাজ’ বলা হয়। যাকাত ও ওশরের মধ্যে আরও পার্থক্য এই যে, স্বর্ণ, রৌপ্য ও পণ্য সামগ্রীর উপর বছরান্তে যাকাত ওয়াজিব হয়, কিন্তু ওশর জমিতে উৎপাদনের সাথে সাথেই ওশর ওয়াজিব হয়ে যায়। দ্বিতীয় পার্থক্য এই যে, জমিনে ফসল উৎপন্ন না হলে ওশর দিতে হয় না। কিন্তু পণ্য দ্রব্যে ও স্বর্ণ-রৌপ্যে মুনাফা না হলেও বছরান্তে যাকাত ফরয হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সুরা বাকারার ২৬৭ নং আয়াত থেকে এটি প্রমানিত হয় যে ওশরী জমিতে বছরান্তে ফসলের ওশর আদায় করা ফরজ।

এখানে ওশর আদায়ের বিধান এসেছে।
তবে উক্ত আয়াত দ্বারা "দাওয়াতের কাজে আর্থিকভাবে অংশগ্রহণ করা ফরজ" সাব্যস্ত হয়না।

ওশর এর বিধান সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (612,870 points)
সাধারণ অবস্থায় ইসলামের হেফাজত, প্রচার এবং দাওয়াতের কাজে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা শরিয়তের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ,এখানে আর্থিক সহায়তাই করতে হবে,অন্যভাবে সহায়তা করলে তাহা আদায় হবেনা। 

এ কথা গুলি সহীহ নয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...