আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
288 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
রিচার্জ এর ব্যবসার ক্ষেত্রে যদি মুল্য নির্দিষ্ট হয় কিন্তু মিনিট,এম্বি ইত্যাদি যদি নির্দিষ্ট না হয়,যেমন-৫০০টাকা রিচার্জে ৩৫-৪৫জিবি পাওয়া যাবে কিন্তু এক্ষেত্রে এম্বির পরিমাণ নির্দিষ্ট নয়।কারণ গ্রাহক নিশ্চিত ৩৫জিবি পাবে।তবে কেউ কেউ এর চেয়ে বেশিও পেতে পারে,আবার নাও পেতে পারে)এক্ষেত্রে এই জাতীয় রিচার্জ এর ব্যবসা করা হালাল হবে কি?অথবা সম্পূর্ণ নিয়ম অর্থাৎ গ্রাহক বেশি পেতেও পারেন নাও পেতে পারেন এসব গ্রাহককে বলা সাপেক্ষে কি উক্ত ব্যবসা করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ব্যবসা বানিজ্যবৈধ। আল্লাহ তা'আলা বলেন,

( وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا )

আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করোছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা বাকারা-২৭৫)

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا

হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

★ব্যবসা বানিজ্যে কোনো ধোকা দেওয়া জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى صُبْرَةِ طَعَامٍ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيهَا، فَنَالَتْ أَصَابِعُهُ بَلَلًا فَقَالَ: «مَا هَذَا يَا صَاحِبَ الطَّعَامِ؟» قَالَ أَصَابَتْهُ السَّمَاءُ يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: «أَفَلَا جَعَلْتَهُ فَوْقَ الطَّعَامِ كَيْ يَرَاهُ النَّاسُ، مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي»

রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার  খাদ্যর একটি স্তুপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন।তখন তিনি স্তুপের ভিতরে হাত ঢোকালেন। উনার হাত পানি দ্বারা ভিজে গেল।তখন তিনি খাদ্যর মালিককে জিজ্ঞেস করলেন কারণ কি? ঐ ব্যক্তি বলল,ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাতে বৃষ্টির পানি পড়ে গেছে।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে বললেন,তুমি কেন এই ভিজে যাওয়া খাদ্যকে উপরে রাখলেনা, যাতেকরে লোকজন সেটাকে দেখতে পারে।তোমরা সবাই জেনে রাখো! যে ব্যক্তি অন্যকে ধোকা দিবে সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★পন্যের যাবতীয় সমস্যা দোষ ইত্যাদি স্পষ্ট করে দিতে হবে।
,    
আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ লিখেন,

لَا يَحِلُّ كِتْمَانُ الْعَيْبِ فِي مَبِيعٍ أَوْ ثَمَنٍ؛ لِأَنَّ الْغِشَّ حَرَامٌ

পণ্যে অথবা মূল্যে দোষ গোপন করে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয হবে না।কেননা ইসলামে ধোকা হারাম।(আদ্দুর্রুল মুখতার-৫/৪৭)


আরো জানুনঃ

★পন্যের পরিমান নির্দিষ্ট হতে হবে,মাজহুল তথা অনির্দিষ্ট হওয়া যাবেনা।

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع (5/ 156):
"(ومنها) أن يكون المبيع معلوماً وثمنه معلوماً علماً يمنع من المنازعة.
فإن كان أحدهما مجهولاً جهالةً مفضيةً إلى المنازعة فسد البيع، وإن كان مجهولاً جهالةً لا تفضي إلى المنازعة لا يفسد؛ لأن الجهالة إذا كانت مفضيةً إلى المنازعة كانت مانعةً من التسليم والتسلم، فلايحصل مقصود البيع، وإذا لم تكن مفضيةً إلى المنازعة لا تمنع من ذلك؛ فيحصل المقصود وبيانه في مسائل: إذا قال: بعتك شاةً من هذا القطيع أو ثوباً من هذا العدل فالبيع فاسد؛ لأن الشاة من القطيع والثوب من العدل مجهول جهالةً مفضيةً إلى المنازعة لتفاحش التفاوت بين شاة وشاة، وثوب وثوب، فيوجب فساد البيع، فإن عين البائع شاةً أو ثوباً وسلمه إليه ورضي به جاز، ويكون ذلك ابتداء بيع بالمراضاة؛ ولأن البياعات للتوسل إلى استيفاء النفوس إلى انقضاء آجالها والتنازع يفضي إلى التفاني فيتناقض؛ ولأن الرضا شرط البيع والرضا لا يتعلق إلا بالمعلوم".
সারমর্মঃ
ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হলো পন্য ও তার মূল্য নির্দিষ্ট হওয়া।
এটি এমন ভাবে উভয়েই জেনে নিবে,যাতে পরবর্তীতে কোনো ঝগড়াঝাটি না হয়।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  এই জাতীয় রিচার্জ এর ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাহককে এই কথা বলতে হবে,যে ""আমি আপনার কাছে ৩৫ জিবি বিক্রয় করছি।
আপনি এর বেশিও পেতে পারেন।
বেশি যাহা পাবেন,সেটি অফার হিসেবে ধর্তব্য হবে।""
তাহলে জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...