ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সূরা মূলক সাধারণত যেকোনো সময় তেলাওয়াত করা এবং বিশেষত ঘুমানোর পূর্বে তেলাওয়াত করার অনেক ফযিলত হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। ঘুমানোর পূর্বে সূরা মূলক পড়াই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ ছিলো।তাই ঘুমানোর পূর্বে যেকোনো মূহুর্তে পড়া যাবে।ঘুমানোর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে পড়া জরুরী নয়।
https://www.ifatwa.info/1830
সূরা ওয়াকেয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/459
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূরায়ে ওয়াকেয়া এবং সূরায়ে মূলক সম্পর্কে যে সমস্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে,সবগুলো খুলাসা হল, উক্ত সূরাদ্বয়কে পড়লে তার অনেক সওয়াব রয়েছে। দিনে হোক বা রাতে হোক।তবে রাতে যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজে পড়েছেন বা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন,তাই রাতে পড়াই সুন্নাহ এবং বেশী সওয়াবের উপযোগী সময়।রাতের যেকোনো মুহূর্তে পড়া যাবে। ঠিক মাগরিবের পররবা ঘুমানোর পূর্ব মুহূর্তে পড়তে হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়। বরং রাতের যেকোনো অংশে পড়লেও সওয়াব ও ফযিলত পাওয়া যাবে। রাতের সূচনাতে সূরা ওয়াকেয়া এবং ঘুমানোর পূর্বে সূরায় মূলক পড়া উচিত।তবে আগপিছ করেও পড়া যাবে।