আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। 

আমার ইরেগুলার পিরিয়ডের সমস্যা আছে। গত ৪মাস ধরে পিরিয়ড অফ ছিলো। কিন্তু ২৪ রমাদানের দিন টিস্যুতে লাল একটু বিন্দুর মতো দাগ দেখতে পাই। সাথে কোনো লালস্রাব ছিলো না। এমনি টিস্যু ইউজ করা ছাড়াও টিস্যুতে এমন লাল/ কালো/নীল দাগ থাকে। জাস্ট একটা বিন্দুর মতো কেবল। কলম দিয়ে একটা বিন্দু দিলে যেমন তেমনি। ব্লিডিং হলেও এমন শুধু একটা বিন্দুর মতো লাগার তো কথা না। আল্লাহু আলাম৷ দাগটা দেখার পর এরপর আর কিছুই দেখিনি। সাদাস্রাবই ছিলো। তাই শুধু একটা দাগই মনে হয়েছে এটা আমার। কারন টিস্যু ইউজ করা ছাড়াও টিস্যুতে এমন অন্য রঙের দাগ দেখা যায় বিন্দু বিন্দু। এই ব্যাপারে আমি তাই কনফিউজড৷

 

 আবার ২৬ রামাদানের রাতে মানে ২৭ রমাদানে স্রাবের সাথে সামান্য পরিমাণ ব্লাড যায়। একবারই যায়। এরপরেও আর কিছুই দেখিনি। পরিষ্কার স্রাব ছিলো। তাই আমি এটাকে পিরিয়ড না ধরেই স্বাভাবিকভাবে নামায রোযা কন্টিনিউ করি এবং আমি নফল ইতিকাফও করি। কারন ৪মাস আগে লাস্ট যখন পিরিয়ড হয় তখন পিরিয়ড হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে কেবল একবার সামান্য এমন ব্লাড গিয়েছিলো। আর এমনি সাদাস্রাব ছিলো পরিষ্কার। রোযার মধ্যে যেমন হয়েছে তেমন।

 

২৭ রমাদানের রাতে মানে ২৮ তারিখে ব্লাড দেখার পর এর ঠিক ১০দিন পর ১১তম দিনে মানে ৮তারিখে স্রাবের সাথে ব্লাড যায়। এবং ৪দিন পর্যন্ত থাকে। থেমে থেমে শুধু ব্লিডিং হয়েছে। আর পরে আবার সাদা স্রাবই যায় এর সাথে কোনো ব্লাড যায়নি। পিরিয়ডের ব্লিডিং বা স্মেলের সাথে মিলে যায় তাই আমি এটাকেই পিরিয়ড ধরি। ৫ম দিন থেকে ব্লিডিং আর না হলে নামাযও আদায় করি কিন্তু আবার ৯ম দিন স্রাবের সাথে হাল্কা ব্লিডিং হচ্ছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো- 

১. আসলে কোনটা পিরিয়ড ধরে নিবো? ১ম বার রোযারটা নাকি রোযার পরে যখন ৪দিনের জন্যে হলো তখনেরটা? ১ম বার রোযারটা আমার কাছে যদিও ইস্তিহাযাই মনে হয়েছে। কারণ প্রথমবার টিস্যু ইউজ করার পর টিস্যুতে সেটা ব্লাড ছিলো নাকি কেবল দাগ ছিলো সেটা নিয়ে আমি শিউর নই।

 ২. প্রথমবারের ঘটনায় মানে, রোযার মধ্যে যখন ব্লাড দেখেছি সেটাকে যদি পিরিয়ড ধরি তাহলে কি নফল ইতিকাফের কাযা আদায় করতে হবে? করলে কিভাবে করবো? আমি একদিনের জন্যে নফল ইতিকাফরত অবস্থায় ছিলাম।

 ৩. কোন হিসাব অনুযায়ী নামায পড়বো আমি? এখন যে ৯ম দিন থেকে আবার স্রাবের সাথে ব্লাড যাচ্ছে এরপরে আবার কতদিন পর্যন্ত ব্লাড গেলে নামায অফ রাখতে হবে? এর মাঝে এতদিন যে সুস্থ হয়ে গিয়েছি ভেবে নফল নামায আদায় করেছি তা সব আবার কাযা আদায় করতে হবে?

৪। আমি খুবই কনফিউশনে আছি নামায রোযা নিয়ে। শাওয়ালের রোযা রাখার সময়ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজ মানে ৯ম দিন রোযা রাখার পর আবার ব্লিডিং দেখতে পেয়েছি। এই রোযার কাযা আমি যদি শাওয়াল মাস শেষ হওয়ার পর আদায় করি তাহলে কি শাওয়ালের ৬ রোযার সাওয়াবটা পাবো? প্লিজ জানাবেন দয়া করে।

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্ন অগোছালো। আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলছি, 
রক্তস্রাব আসার পর যদি তিন দিন তিনরাত স্থায়ী হয়, তাহলে সেটা হায়েয। ধারবাহিক রক্তস্রাব বের হওয়া শর্ত নয়। এবং এক হায়েযের পর ১৫ দিন পর্যন্ত পবিত্রতার সময 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...