শরয়ী সফরের দূরত্ব অতিক্রম করার নিয়তে ১৫ দিনের কম দিন থাকার নিয়তে সফর করলে আপনি আপনার শহরের শেষ সীমানা অতিক্রম করার পর কসর শুরু করবেন।
অর্থাৎ নিজের শহর বা গ্রামের শেষ সীমানা পার হওয়ার পর আপনি মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।
ইমাম বুখারী রহঃ বুখারী শরীফের ১ম খন্ডের ১৪৭ নং পৃষ্ঠায় একটি বাব কায়েম করেছেন। যার শিরোনাম হল, بَابٌ: فِي كَمْ يَقْصُرُ الصَّلاَةَতথা কতটুকু দূরত্বে কসর করা উচিত? এর অধ্যায়।
এ বাবের অধীনে ইমাম বুখারী রহঃ উল্লেখ করেনঃ
وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَوْمًا وَلَيْلَةً سَفَرًا» وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، يَقْصُرَانِ، وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهِيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا
আর রাসূল সাঃ এক দিন আর এক রাতের দূরত্বকেও সফর বলেছেন। হযরত ইবনে ওমর রাঃ এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চার বারীদ সফরের সময় কসর পড়া রোযা ভাঙ্গার কথা বলেছেন। আর সেটি হল, ১৬ ফরসখ তথা ৪৮ মাইল হয়।
সফরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবার পর যে শহরে বসবাস করছেন,বা যে গ্রামে বসবাস করছেন, সে শহর বা গ্রামের সিমানা অতিক্রম করার দ্বারাই আপনি মুসাফির বলে সাব্যস্ত হয়ে যাবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির বলেই গণ্য হবেন যতক্ষণ আবার স্বীয় শহর বা গ্রামের সীমানা প্রবেশ না করেন।
,
কোনো মানুষ মুসাফির হওয়ার জন্য যে কয়টি শর্ত রয়েছে,তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ
নিজ এলাকাকে অতিক্রম করা।তথা নিজের শহর বা গ্রামের শেষ সীমানা পার হওয়ার পর কেউ মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।
(রদ্দুল মুহতার ২/১২৮)।
قال في الدر (مع الرد، کتاب الصلاة باب صلاة المسافر: ۲/۵۹۹، ۶۰۰، ط: زکریا دیوبند): من خرج من عمارة موضع إقامتہ من جانب خروجہ وإن لم یخرج من الجانب الآخر.. قاصدًا... إھ
সারমর্মঃ যেই দিক থেকে সে বাহির হবে,সেই দিক থেকে শহরের সীমা অতিক্রম করতে হবে,,,,
আরো জানুনঃ