আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আ'লাইকুম।
আমরা তিন  বোন।আমি এবং আমার ছোট বোন পিঠাপিঠি।আপু আমাদের ৯ বছরের বড়।আম্মু মারা যায় ৩ বছর হলো।আম্মু জীবিত থাকতেও আপু আম্মুর সাথে ঝগড়া করতো আমাদের নিয়ে।আম্মু মারা যাওয়ার আগের দিনেও এই বিষয় নিয়ে টেনশনে ছিল যে সে মারা গেলে আমাদের দুইজনের কি হবে..!

যাই হোক,আল্লাহ ভাল রাখছেন, ইন শা আল্লাহ।ছোট বোন আগে থেকেই ইসলাম এর দিকে ছিল আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু সমস্যা বাধে যখন থেকে আমি ইস্লামের দিকে আসি তখন থেকে। আম্মু মারা যাওয়ার উসিলায় আল্লাহ আমাকে এইদিকে এনেছেন।এরপর থেকে দ্বীনের শিক্ষাতে নিজেরে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি।অনেক কিছুই চেষ্টা করি ইসলাম এর সব দিক ফলো করার।আপুকে কিছু এগুলা দিকে বলতে গেলে তখন দেখা যায় সে আমার যে দোষ ছিল বা আগে কি করছি সেই প্রসংগ তোলে।দাওয়াতের কাজ অনেক কঠিন,এগুলা মানি ও।কিনতু সমস্যা হলো সে শুধু ইসলাম রিলেটেড ব্যাপারে না, সব কিছুতে খারাপ বিহ্যাভ করে।

এমন হয়ে গেছে যে হল থেকে এক সপতাহের জন্য বাসায় গেলেও মনে হয় আপুর কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে যাই।সে ঝগড়া করার জন্য বিভিন্ন উসিলা বের করে।যেটা না,আমি করি নি,সেগুলা বলে। সে ইসলাম এর বিধি নিষেধ মেইন্টেইন করে না।সে কিছু বললে, সেটা না করলে বা সেটা ইসলাম এর পথে সমস্যা হলে যখন বলি করবো না,তখনি তার মুখ বেজার হয়ে যায়।এমন এমন সব বিষয় যে বাসায় গেলে মনে হয় জাহান্নামে আছি।ছোটবোন প্রায় সময় এইটা বলে যে, আমরা খারাপ শাশুড়ী বলতে যেমন বুঝি,আপু শাশুড়ি এর থেকেও খারাপ বিহ্যাভ করে।কোনো শান্তি নাই।

একটা সিম্পল বিষয় -হলে থাকি,বিভিন্ন কাজে কল এখন ধরতে পারি নাই।পরে কল ব্যাক দিয়েছি।কিন্তু সেটা নিয়েও কথা শুনাবে যে কল দিলে তো ধরি নাহ।কাজ আর তারা করে না,ভার্সিটিতে তারা আর পরে নাই,ইসলাম মানো এইটা জানো না।।হাজার টা কথা শুনাবে এইটা নিয়ে।।অথচ তাদের কল দিলে না পাওয়া গেলে তখন তারা ব্যস্ত।এটা কোনো সমস্যা না।

ইদের দিনেও সমস্যা হয়েছে,শুধু সমস্যা নাহ,প্রতিবার বাসায় গেলে আপু আত্মীয় স্বজনের বাসায় যায়,এইটা নিয়ে আমাদের অভিযোগ নায়,কিন্তু গিয়ে আমরা যেদিন চলে আসবো,তার আগের দিন চলে আসলেই হয়,বাট সে আসে নাহ।আম্মু মারা যাওয়ার পর কোনোবার বাসা থেকে ফিরতে আপুরে পাইছি কিনা মনে পড়ে না,,আমাদের খারাপ লাগে,বাট এইটা বল্লেও ঝামেলা করে।সে যা ইচ্ছা তাই শুনাবে,শারীরিক গঠন নিয়ে সব সময় খোটা দিবে,মানে কথার মাধ্যমে একদম কলিজা ছিড়ে দেয় এমন।এইবার ও সেইম কাজ করেছে,(৭ দিন থেকেছে তারপর ও আমি আসার সময় আসে নি।এন্ড পুরা বাসায় আমি একা ছিলাম।দিন কাল খারাপ, সব মিলিয়ে একজন শুধু বলেছিল এইটা কি ঠিক হইছে আপু,,?তাদের এখনাও বিয়ে হয় নি,,আপনি একদিন আগে আসলে তো সমস্যা ছিল না কোনো,,,!!এইটার পর তারে তো খারাপ ভাবে বলছেই,এখন এক সপ্তাহ ধরে সে আমাদের কোনো কল ধরতেছে না,মেসেজ দেখতেছে নাহ।বাকী সবার টা ঠিকি ধরতেছে।

এরকম প্রতি কদমে কদমে দোষ খুজে বেড়ায়, ভাল কাজ গুলা ও খারাপ করে শো করে,আম্মু ছাড়া আমাদের দুইজন কে যে দেখে রাখবে এমন আসলে ছিল নাহ,আব্বু এগুলা নিয়ে কখনো মাথা ঘামায়নি,এতো ডিটেইল দেখতো ও নাহ কখনো।সব আম্মু দেখতো।আবার দেখা যায় আব্বুর দিকের আত্মিয়স্বজন, আম্মুর দিকের আত্মীয়স্বজন সবাই ও এমন দোষ খুজে বেড়ায়।আরো সাহস পায় আপুর জন্য,কজ আপু যখন যায়,তখন আমাদের দোষ নিয়ে আলোচনা করে।এগুলা সব ই আমাদের কানে ঠিকি আসে যে তারা আমাদের নিয়ে কত নিচু মন মানসিকতার ব্যাপার ভাবে,অপবাদ সব ই দেয়।আপুরে বললে আপু সব এড়াইয়া উলটা আমাদের দোষ দেয়।এন্ড তাদের সাথে আমাদের প্রশংগ না থাকলেও এই দোষ তো আছেই,সাথে আরো আমরা যে বুঝাইছি,সেটাকে নেগেটিভ্লি প্রেজেন্ট করে।এগুলা সব ও জানি আমরা।

আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে কম যাই এখন, কজ এদের সাথে কথার আড্ডাতে না বসে আমি বেশিক্ষন ধরে নামায আদায় করলেও এদের অনেক সমস্যা,তাদের সাথে মিশি না এমন টাইপ কথা।আম্মুরে তো অনেক কষ্ট দিছে,এইটা তো আছেই।।সব মিলিয়ে আসলে আত্মীয়স্বজন এর কথা আসলেই মেন্টালি ট্রমাতে থাকি এমন লাগে।নামাযের মধ্যেও এদের সব কাজ কারবার মনে হয়ে কষ্ট লাগে অনেক।নামাযের মনোযোগ চলে যায়,অন্য কাজ ও ঠিক ভাবে হয় নাহ এই মেন্টালি ট্রমার জন্য।

এর থেকেও অনেক অনেক কিছু ও আছে,যার জন্য জাহান্নাম মনে হয় এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে আত্মীয়স্বজন দের সাথে কিভাবে, কতটুকু সম্পর্ক রাখবো যদি ক্লিয়ার করে বলতেন এবং আপুর সাথে ও কতটুকু রাখবো,কিভাবে রাখবো,,বলে দিলে ভাল হতো...কারণ এই টপিক মনে হলেও দেখা যায় আমার ইসলামের দিকে থাকা,মানা,নামায পড়ার সময় ব্যাঘাত ঘটে।

1 Answer

0 votes
by (612,540 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/18346/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ 
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি আপনার বোনের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারবেননা।
হ্যাঁ, প্রয়োজনে কম কথা বলতে পারেন, কম দেখা সাক্ষাৎ করতে পারেন।

দেখা সাক্ষাৎ হলে কমপক্ষে সালাম বিনিময় করতে হবে।

মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার হেদায়াতের জন্য দোয়া চালিয়ে যাবেন।

আত্মীয়স্বজন দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবেনা। সমস্যা মনে হলে তাদের বাসায় আপাতত না যেতে পারেন,তবে মাহরাম আত্মীয়দের সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন।

দেখা সাক্ষাৎ হলে কমপক্ষে সালাম বিনিময় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...