আসসালামু আ'লাইকুম।
আমরা তিন বোন।আমি এবং আমার ছোট বোন পিঠাপিঠি।আপু আমাদের ৯ বছরের বড়।আম্মু মারা যায় ৩ বছর হলো।আম্মু জীবিত থাকতেও আপু আম্মুর সাথে ঝগড়া করতো আমাদের নিয়ে।আম্মু মারা যাওয়ার আগের দিনেও এই বিষয় নিয়ে টেনশনে ছিল যে সে মারা গেলে আমাদের দুইজনের কি হবে..!
যাই হোক,আল্লাহ ভাল রাখছেন, ইন শা আল্লাহ।ছোট বোন আগে থেকেই ইসলাম এর দিকে ছিল আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু সমস্যা বাধে যখন থেকে আমি ইস্লামের দিকে আসি তখন থেকে। আম্মু মারা যাওয়ার উসিলায় আল্লাহ আমাকে এইদিকে এনেছেন।এরপর থেকে দ্বীনের শিক্ষাতে নিজেরে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি।অনেক কিছুই চেষ্টা করি ইসলাম এর সব দিক ফলো করার।আপুকে কিছু এগুলা দিকে বলতে গেলে তখন দেখা যায় সে আমার যে দোষ ছিল বা আগে কি করছি সেই প্রসংগ তোলে।দাওয়াতের কাজ অনেক কঠিন,এগুলা মানি ও।কিনতু সমস্যা হলো সে শুধু ইসলাম রিলেটেড ব্যাপারে না, সব কিছুতে খারাপ বিহ্যাভ করে।
এমন হয়ে গেছে যে হল থেকে এক সপতাহের জন্য বাসায় গেলেও মনে হয় আপুর কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে যাই।সে ঝগড়া করার জন্য বিভিন্ন উসিলা বের করে।যেটা না,আমি করি নি,সেগুলা বলে। সে ইসলাম এর বিধি নিষেধ মেইন্টেইন করে না।সে কিছু বললে, সেটা না করলে বা সেটা ইসলাম এর পথে সমস্যা হলে যখন বলি করবো না,তখনি তার মুখ বেজার হয়ে যায়।এমন এমন সব বিষয় যে বাসায় গেলে মনে হয় জাহান্নামে আছি।ছোটবোন প্রায় সময় এইটা বলে যে, আমরা খারাপ শাশুড়ী বলতে যেমন বুঝি,আপু শাশুড়ি এর থেকেও খারাপ বিহ্যাভ করে।কোনো শান্তি নাই।
একটা সিম্পল বিষয় -হলে থাকি,বিভিন্ন কাজে কল এখন ধরতে পারি নাই।পরে কল ব্যাক দিয়েছি।কিন্তু সেটা নিয়েও কথা শুনাবে যে কল দিলে তো ধরি নাহ।কাজ আর তারা করে না,ভার্সিটিতে তারা আর পরে নাই,ইসলাম মানো এইটা জানো না।।হাজার টা কথা শুনাবে এইটা নিয়ে।।অথচ তাদের কল দিলে না পাওয়া গেলে তখন তারা ব্যস্ত।এটা কোনো সমস্যা না।
ইদের দিনেও সমস্যা হয়েছে,শুধু সমস্যা নাহ,প্রতিবার বাসায় গেলে আপু আত্মীয় স্বজনের বাসায় যায়,এইটা নিয়ে আমাদের অভিযোগ নায়,কিন্তু গিয়ে আমরা যেদিন চলে আসবো,তার আগের দিন চলে আসলেই হয়,বাট সে আসে নাহ।আম্মু মারা যাওয়ার পর কোনোবার বাসা থেকে ফিরতে আপুরে পাইছি কিনা মনে পড়ে না,,আমাদের খারাপ লাগে,বাট এইটা বল্লেও ঝামেলা করে।সে যা ইচ্ছা তাই শুনাবে,শারীরিক গঠন নিয়ে সব সময় খোটা দিবে,মানে কথার মাধ্যমে একদম কলিজা ছিড়ে দেয় এমন।এইবার ও সেইম কাজ করেছে,(৭ দিন থেকেছে তারপর ও আমি আসার সময় আসে নি।এন্ড পুরা বাসায় আমি একা ছিলাম।দিন কাল খারাপ, সব মিলিয়ে একজন শুধু বলেছিল এইটা কি ঠিক হইছে আপু,,?তাদের এখনাও বিয়ে হয় নি,,আপনি একদিন আগে আসলে তো সমস্যা ছিল না কোনো,,,!!এইটার পর তারে তো খারাপ ভাবে বলছেই,এখন এক সপ্তাহ ধরে সে আমাদের কোনো কল ধরতেছে না,মেসেজ দেখতেছে নাহ।বাকী সবার টা ঠিকি ধরতেছে।
এরকম প্রতি কদমে কদমে দোষ খুজে বেড়ায়, ভাল কাজ গুলা ও খারাপ করে শো করে,আম্মু ছাড়া আমাদের দুইজন কে যে দেখে রাখবে এমন আসলে ছিল নাহ,আব্বু এগুলা নিয়ে কখনো মাথা ঘামায়নি,এতো ডিটেইল দেখতো ও নাহ কখনো।সব আম্মু দেখতো।আবার দেখা যায় আব্বুর দিকের আত্মিয়স্বজন, আম্মুর দিকের আত্মীয়স্বজন সবাই ও এমন দোষ খুজে বেড়ায়।আরো সাহস পায় আপুর জন্য,কজ আপু যখন যায়,তখন আমাদের দোষ নিয়ে আলোচনা করে।এগুলা সব ই আমাদের কানে ঠিকি আসে যে তারা আমাদের নিয়ে কত নিচু মন মানসিকতার ব্যাপার ভাবে,অপবাদ সব ই দেয়।আপুরে বললে আপু সব এড়াইয়া উলটা আমাদের দোষ দেয়।এন্ড তাদের সাথে আমাদের প্রশংগ না থাকলেও এই দোষ তো আছেই,সাথে আরো আমরা যে বুঝাইছি,সেটাকে নেগেটিভ্লি প্রেজেন্ট করে।এগুলা সব ও জানি আমরা।
আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে কম যাই এখন, কজ এদের সাথে কথার আড্ডাতে না বসে আমি বেশিক্ষন ধরে নামায আদায় করলেও এদের অনেক সমস্যা,তাদের সাথে মিশি না এমন টাইপ কথা।আম্মুরে তো অনেক কষ্ট দিছে,এইটা তো আছেই।।সব মিলিয়ে আসলে আত্মীয়স্বজন এর কথা আসলেই মেন্টালি ট্রমাতে থাকি এমন লাগে।নামাযের মধ্যেও এদের সব কাজ কারবার মনে হয়ে কষ্ট লাগে অনেক।নামাযের মনোযোগ চলে যায়,অন্য কাজ ও ঠিক ভাবে হয় নাহ এই মেন্টালি ট্রমার জন্য।
এর থেকেও অনেক অনেক কিছু ও আছে,যার জন্য জাহান্নাম মনে হয় এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে আত্মীয়স্বজন দের সাথে কিভাবে, কতটুকু সম্পর্ক রাখবো যদি ক্লিয়ার করে বলতেন এবং আপুর সাথে ও কতটুকু রাখবো,কিভাবে রাখবো,,বলে দিলে ভাল হতো...কারণ এই টপিক মনে হলেও দেখা যায় আমার ইসলামের দিকে থাকা,মানা,নামায পড়ার সময় ব্যাঘাত ঘটে।