আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আস্সালামু আলাইকুম। আমি এই ২৮ রোজায় একটি স্বপ্ন দেখি, স্বপ্নটি এরকম —

আমি স্বপ্নে একটি বিদ্ধস্ত জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে আছি দেখতেছি আশেপাশে তেমন মানুষ নেই জন্মানব শূন্য এলাকা,ভাঙা চুরা বাড়িঘর , আকাশে কালো ধোয়া উড়তেছে প্রচুর বোম্মবিং হলে যেমন অবস্থা হয় সেরকম, জায়গাটা পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে তখন আমার পাশ কেউ একজন  বললো এটা হলো বর্তমানের ফালাসতিনের অবস্থা, তবে খুব শীঘ্রই ভালো অবস্থা হবে। (কে পাশে ছিল তার অবয়ব অস্পষ্ট ছিল) এরপর আমরা আরেকটু হেটে সামনে গেলে দেখি একটা পাহাড়ি এলাকা আর রাস্তা দিয়ে বড় বড় ট্যাঙ্ক ঢুকতেছে যার রং অফ - হোওয়াইট / সাদা কালার, পাশের জন বলতেছে এটা পাকিস্তান এরপর আরেকটু সামনে গেলে দেখি একটা এলাকা যেখানে বাড়ি ঘর, মসজিদ, ভাঙা পাশে বড় বড় বুলডোজার রাখা।জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বলতেছে, রাস্তার এক পাশ প্রচুর রক্তে ভেসে গেছে পুরো নালার মতো এই জায়গা দেখিয়ে বললো এটা ভারত, এখান থেকে মুসলমানরা বিতাড়িত হইছে হিন্দুরা সব কিছু দখল করে নিয়েছে। এরপর একটু হেটে সামনে গেলে দেখি একটা ঝোপ ঝাড়ের আড়ালে কিছু ছেলে ইন্ডি য়ান আর্মির সাথে ফাইট করতেছে। তবে ছেলে গুলো সংখ্যায় অল্প, আর্মিরা অনেক বেশি আর ছেলেদের গায়ে বাংলাদেশের জার্সি, আর্মিরা হালকা গেরুয়া, সাদা রঙের পোশাক পড়া। ছেলে গুলো থেকে একটা ছেলে একটু সামনে এসে আক্রমণ করতে নিলে সেই ছেলের হাত থেকে একজন আর্মি এসে বন্দু ক ছিনিয়ে নেয়। এই সময় আমার পাশের জন বলতেছে এটা বাংলাদেশের অবস্থা তবে  দুঃখ জনক হলো এরা খুব দুর্বল। এমন সময় আমার আম্মু আমাকে সেহরি খেতে ডাক দিলে আমার ঘুম ভেঙে যায়।

হুজুর এর আগেও আমি যু দ্ধ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি এবং সত্য স্বপ ও দেখেছি। আমি নিজেই খুব আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি যে, এই স্বপ্ন দেখার ঠিক কয়েকদিন পর ভারতের ওয়াকফ বিল পাশ হতে দেখে, এমন কি বর্তমানে ফিলিস্তিন এর যেই অবস্থা আমরা ভিডিও দেখতে পাই সেরকম অনেকটাই স্বপ্নে দেখছি, তবে স্বপ্নে আরো ভয়ঙ্কর লাগছিলো। হুজুর এটা কি সত্য স্বপ্ন? কোনো আগাম বার্তা? আর এখন আমার করণীয় কি ভবিষ্যত এর জন্য এ বিষয়ে?

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উল্লেখিত স্বপ্ন যিনি দেখেছেন, তার ঈমান আমলে বরকত হবে। তিনি হকের পক্ষে আওয়াজ তুলবেন।হকের পক্ষাবলম্বন করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...