আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in পবিত্রতা (Purity) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
আমার ইস্তেহাজার সমস্যা রয়েছে।তাই আমি ১৫ দিন হিসেব করে করে হায়েযের দিন নির্ধারণ করি।সেই হিসেবে গত মাসের ২৩/২/২০২৫ তারিখ রাত ১২ টায় আমার হায়েয ধরার কথা।কিন্তু ব্লেডিং সব সময় চলমান থাকেনা।সাদাস্রাবের সাথে এক সুঁইয়ের আগা পরিমাণ ব্লাড  দেখা গেলে কয়েক ঘন্টা বা ১,২,কিংবা ৩ দিনের জন্য আর দেখা যায় না।পরে আবার হালকা একটু দেখা যায়।২৩ তারিখ রাতের আগে সম্ভবত ঐ দিন দিনেও একটু ব্লাড দেখেছি।কিন্তু ২৩ তারিখ রাতে ব্লেডিং হয়েছে কিনা সেটা তো চেক করিনি।কিন্তু ২৪ তারিখ দিনেও একটু ব্লাড দেখেছি।কিন্তু সেটা কখন দেখেছি তা মনে নেই।শুধু ২৫ তারিখ যোহরের সময় একটু ব্লাড দেখেছি সেটা সিউর মনে আছে।এখন আমি বুঝতেছিনা আমার হায়েযের দিন কোনদিন কয়টা থেকে হিসেব করবো?যেহেতু ২৫ তারিখ ছাড়া আর কখন কখন আমি ব্লাড দেখেছি সেটার সময় আমার মনে নেই।এবং ২৩ তারিখ রাত ১২ টায় আমার ব্লাড বের হয়েছে কিনা সেটাও আমি চেক করিনি।এখন আমি হায়েযের দিন এবং কয়টা বাজে হায়েয হয়েছে এই সময় টা কিভাবে নির্ধারণ করবো??

1 Answer

0 votes
by (656,190 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দুই হায়েযের মাঝখানে পাক থাকার মুদ্দৎ কমের পক্ষে পনের দিন, আর বেশীর কোন সীমা নাই। অতএব, যদি কোন মেয়েলোকের কোন কারণবশতঃ কয়েক মাস যাবৎ হায়েয বন্ধ থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঋতুস্রাব না হইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাক থাকিবে।

(১৩) মাসআলাঃ 
যদি কোন মেয়েলোকের তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখা যায়, তারপর ১৫ দিন পাক থাকে; আবার তিন দিন তিন রাত রক্ত দেখে, তবে আগেকার তিন দিন তিন রাত এবং পনের দিনের পর তিন দিন তিন রাত হায়েয ধরিবে। আর মধ্যকার দিন পাক থাকার সময়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
২৩/২/২৫ তারিখ যেহেতু রক্তস্রাব দেখেননি, তাই আপনি পবিত্র। এর পর ২৪ তারিখ রক্তস্রাব দেখার পর তিন দিন তিন রাতের ভিতর আর কোনো রক্তস্রাব দেখা না গেলে, সেটাও ইস্তেহাযা। মোটকথা, রক্তস্রাব দেখার পর তিনদিন তিনরাতের মধ্যে আবার দেখা দিলে, এবং পূর্বের হায়েয থেকে ১৫ দিন পরে, এমনটা হলে, তখন সেটাকে হায়েয বিবেচনা করা হবে। নতুবা সেটাকে হায়েয বিবেচনা করা যাবে না।বরং তা ইস্তেহাযা হিসেবেই বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
...