মেহেদী ও কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাই

Question

السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

শাইখ, আমি অনলাইনে মেহেদীর এবং মেয়েদের পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছি স্বল্প পরিসরে।
এক্ষেত্রে কেবল মেয়েদের জন্য একটা প্রাইভেট পেইজ খোলার চিন্তা করছি যেখানে মেয়েদের মেহেদী দেওয়া হাতের ছবি আপলোড করা হবে। কিছু শর্তের ব্যবস্থা রাখবো এবং আল্লাহর নামে ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে যাতে বোনেরা তাদের মেহেদী দেয়া হাতের ছবি নন-মাহরাম কাউকে না দেখান ।

 কিন্তু তারপরও যদি কোন বোন মেহেদী দেওয়ার হাত এবং সুন্দর পোশাক নন মাহরাম কাউকে দেখান, তবে কি তার হাতে মেহেদী দেওয়া কারণে আমিও গুনাহগার হবো? এই ব্যবসা টা কি হালাল হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/242 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়,তা তিন অবস্থা থেকে খালি নয়ঃ-

প্রথম অবস্থাঃ-

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয।এতে কোনো অসুবিধা নেই।

দ্বিতীয় অবস্থা

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে।তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সুন্দর্য্য প্রদর্শন করবে।তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,তোমরা গোনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যকে সাহায্য করো না।সূরা মায়েদা-০২

অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয।গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে।বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি কে দিয়েছিলেন,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত পেশা হারাম হবে না।