শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জিহাদ যখন ফরজে আইন হয়,তখন মুসলিম নারীদের উপরেও জিহাদ ফরজ হয়।
সেক্ষেত্রে নারীরা জিহাদে গিয়ে পুরোপুরি পর্দা মেনে মুসলিম যোদ্ধাদের সেবা,সহযোগিতার কাজ করেন।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উম্মে সুলাইম ও তার সাথী আনছার মহিলাদের একটি দল যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের পানি পান করিয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা করেছে’।
মুসলিম হা/১৮১০ ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ৪৭ অনুচ্ছেদ।
,
রুবাই‘ বিনতে মু‘আউভিয (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে যুদ্ধে যেতাম এবং লোকদের পানি পান করাতাম ও তাদের খেদমত করতাম। আহত ও নিহতদের মদীনায় নিয়ে আসতাম’। ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, এতে প্রমাণিত হয় যে, যরূরী প্রয়োজনে মহিলাগণ বেগানা পুরুষের চিকিৎসা করতে পারেন।
বুখারী, ফাৎহুল বারী হা/২৮৮৩-এর ব্যাখ্যা, ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ৬৮ অনুচ্ছেদ।
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ওহোদ বিপর্যয়ের দিন আমি আয়েশা (রাঃ) ও (আমার মা) উম্মে সুলাইম (রাঃ)-কে পানির মশক পিঠে করে আহতদের নিকট গিয়ে গিয়ে পানি পান করাতে দেখেছি।
(বুখারী,ফাৎহুল বারী হা/২৮৮০ ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ৬৫ অনুচ্ছেদ।)
যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু’র হাতে তীর বিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে অবহিত হোন, তখন তাকে মসজিদে নববীতে স্থাপিত রুফায়দার চিকিৎসা-শিবিরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মসজিদে নববীতে যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি শিবির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। এলাম গোত্রের রুফায়দা নামের এই মহিলা সেই শিবিরের একজন সেবিকা। তিনি আহতদের সেবা ও চিকিৎসা করতেন। সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এই তাঁবুতেই থাকতেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন এসে তার খোঁজখবর নিতেন।
উসদুল গাবাহ – ২/২৯৭
,
উক্ত ঘটনা গুলো পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পরের।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা নারী নার্সের জন্য পুরুষ রোগীর সেবা করা সাধারণভাবে হালাল নয়।
,
আরো জানুনঃ