আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
410 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
রেইনড্রপস মিডিয়ার "সীরাহ" তে পড়লাম,খন্দক্বের যুদ্ধে আহত সাদ ইবনে মুআযকে দেখাশোনা করার জন্য রসুলুল্লহ সল্লল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুফাইদাহ আল ইসলামিয়্যাহ নামের এক আনসারী নারীকে দায়িত্ব দেন।

এই ঘটনা পর্দার আয়াত নাযিলের আগের নাকি পরের?এই ঘটনার আলোকে কি বলা যায় যে,নারী নার্সের জন্য পুরুষ রোগীর সেবা করা সাধারণভাবে হালাল??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জিহাদ যখন ফরজে আইন হয়,তখন মুসলিম নারীদের উপরেও জিহাদ ফরজ হয়।
সেক্ষেত্রে নারীরা জিহাদে গিয়ে পুরোপুরি  পর্দা মেনে মুসলিম যোদ্ধাদের সেবা,সহযোগিতার কাজ করেন।
সম্পূর্ণ শরয়ী সীমারেখার ভিতর থেকে।
,   
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উম্মে সুলাইম ও তার সাথী আনছার মহিলাদের একটি দল যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের পানি পান করিয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা করেছে’।
মুসলিম হা/১৮১০ ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ৪৭ অনুচ্ছেদ।
,
রুবাই‘ বিনতে মু‘আউভিয (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে যুদ্ধে যেতাম এবং লোকদের পানি পান করাতাম ও তাদের খেদমত করতাম। আহত ও নিহতদের মদীনায় নিয়ে আসতাম’। ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, এতে প্রমাণিত হয় যে, যরূরী প্রয়োজনে মহিলাগণ বেগানা পুরুষের চিকিৎসা করতে পারেন।

বুখারী, ফাৎহুল বারী হা/২৮৮৩-এর ব্যাখ্যা, ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ৬৮ অনুচ্ছেদ।

হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ওহোদ বিপর্যয়ের দিন আমি আয়েশা (রাঃ) ও (আমার মা) উম্মে সুলাইম (রাঃ)-কে পানির মশক পিঠে করে আহতদের নিকট গিয়ে গিয়ে পানি পান করাতে দেখেছি।
(বুখারী,ফাৎহুল বারী হা/২৮৮০ ‘জিহাদ’ অধ্যায়, ৬৫ অনুচ্ছেদ।)

যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু’র হাতে তীর বিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে অবহিত হোন, তখন তাকে মসজিদে নববীতে স্থাপিত রুফায়দার চিকিৎসা-শিবিরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মসজিদে নববীতে যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি শিবির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। এলাম গোত্রের রুফায়দা নামের এই মহিলা সেই শিবিরের একজন সেবিকা। তিনি আহতদের সেবা ও চিকিৎসা করতেন। সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এই তাঁবুতেই থাকতেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন এসে তার খোঁজখবর নিতেন।
উসদুল গাবাহ – ২/২৯৭
,
উক্ত ঘটনা গুলো পর্দার আয়াত নাযিল হওয়ার পরের।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা নারী নার্সের জন্য পুরুষ রোগীর সেবা করা সাধারণভাবে হালাল নয়।
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 205 views
...