আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ,

আমি অতীতে দ্বীনের জ্ঞান কম থাকার কারনে কখনো কখনো ফরজ রোজা রাখা অবস্থায় একটু দুর্বল লাগলেই রোজা ভেঙে ফেলতাম । আবার কখনো বন্ধুদের সাথে বসেও অযথা রোজা ভেঙেছি।আল্লাহ আমায় মাফ করুক। আমার এমন সমস্ত রোজার জন্য কী একটা কাফফারাই যথেষ্ট ?

https://ifatwa.info/87157/

 এমন কত রোজা ভেঙেছি, তা খুব বেশি না হলেও, তার ইয়ত্তা নেই । এখন গুনে গুনে সঠিক কাজা হবে কিনা বুঝতে পারছি না।

আমি একটানা ৩০ দিন রোজা রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়, এমন অবস্থায় কি কাফফারা আবশ্যক নাকি ফিদিয়া দেয়া জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (633,180 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাহে রমজানে শুরু থেকেই রোযার নিয়ত না করা এবং রোযা না রাখা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।গোনাহের কাজ।এর জন্য অবশ্যই আল্লাহর নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে।এবং একটার পরিবর্তে একটা রোযাকে কা'যা করতে হবে।এক্ষেত্রে কাফফারা আসবে না।তবে যদি কেউ রোযার নিয়ত করার পর রোযাকে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে এক্ষেত্রে কা'যা র সাথে সাথে কাফফারাও আদায় করতে হবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৪১০)

ছুটে যাওয়া রোযার পূর্ণ হিসাব থাকলে সেই হিসাব অনুযায়ী রোযার কা'যা আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ হিসেবে আদায় করা যাবে।হ্যা পূর্ণ হিসাব জানা না থাকলে,এক্ষেত্রে  অনুমানের উপর ভিত্তি করে কাযা হয়ে যাওয়া রোযা সমূহকে আদায় করে নিতে হবে। দেখুন- https://www.ifatwa.info/147

কা'যা রোযা সমূহ কে আদায় করার সময় নিয়ত করতে হবে।কেননা নিয়ত ব্যতীত কোনো ইবাদতই গ্রহণযোগ্য হয় না। কিভাবে নিয়ত করবেন?সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1056

একটানা ৩০ দিন রোজা রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হলেও আপনি প্রথমে রোযা রাখার চেষ্টা করুন। এবং বিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। যদি শেষ পর্যন্ত রোযা রাখতে অপারগ হয়ে যান, এবং অসুস্থতা দিনদিন বাড়তেই থাকে, তাহলে তখন আবার আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন। তখন অবশ্যই এই প্রশ্নর লিংক বা নাম্বার মেনশন করে দিবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...