আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in ওয়াসওয়াসা by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।                                                                             প্রশ্ন (১) হুজুর আমার স্ত্রী একদিন আমাকে বলল যে আমি ঈদের পর ১৫ দিনের জন্য আমার বাবার বাসায় যাব আমি তখন আমার স্ত্রীকে বলি যে তোমার যা খুশি তাই করো। তো হুজুর এটা বলে আমি ভয় পেয়ে যাই যে এটা কি আমি তালাকের উদ্যেশ্য করে বললাম তো হুজুর আমার তো সবসময় তালাক নিয়ে জল্পনা কল্পনা হয় তাই হয়তো এমন ভাবনা এসেছে এতে কি তালাক হবে।                                                প্রশ্ন (২) হুজুর একদিন একটা বিষয়ে আমার তালাক নিয়ে সন্দেহ হয় এমন মনে হলো যে আমি কোনো বিষয়ে শর্ত তালাক আর সেটা করতে পারছি না। কিন্তু আমি পেরাই নিশ্চিৎ যে আমি ওই বিষয়ে কোনো শর্ত তালাক রাখিনি। তো এটা নিয়ে আমি আমার কাছে বলছি যে আমি কি কোনো শর্ত রেখেছি। তখন আমি মুখে উচ্চারণ ব্যতিত ভুল করে মাথা নেড়ে হ্যাঁ পক্ষে সমর্থন করে ফেলেছি। তো হুজুর আমি অনেক নিশ্চিৎ যে আমি শর্ত রাখিনি কিন্তু মাথা নেড়ে হ্যাঁ পক্ষে সমর্থন করার জন্য কি ওই বিষয়ের উপর শর্ত পতিত হবে।                                              প্রশ্ন (৩) হুজুর আমি ঘুমের মধ্যে ছিলাম। নাকি আমি স্বপ্নর মধ্যে ছিলাম মনে করতে পারছি না এমন যেনো মনে সকালে উঠে এমন যেনো মনে হলো যে আমি যেনো আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি কি শর্ত তালাক দিয়েছি আমি মনে করতে পারছি না। তো সকালে উঠে আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে আমি কি কাল রাতে ঘুমের মধ্যে তোমাকে ওই জাতীয় কিছু বলেছি। আমার স্ত্রী বললো যে না তো হুজুর সত্যি যদি আমি আমার স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যে তালাক প্রদান করে থাকি কিন্ত আমি এখন মনে করতে পারছি না তাহলে কি হবে। এবং ঘুমটা তখন কতটা গভীর ছিল সেটা ও মনে করতে পারছি কি করবো।                                                                                                                             প্রশ্ন (৪) হুজুর একদিন একটি বাক্সতে কিছু লেখা ছিল তো আমার এমন মনে হলো যে আমি যদি লেখাটা না পড়ি তাহলে আমার কিন্তু আমি মুখে উচ্চারণ করে বলিনি তবু সন্দেহ কাটাবার জন্য আমি লেখাটা পড়ি এবং পড়তে ও পেরেছি তো এতে কি তালাক হবে।                                                                                   প্রশ্ন (৫) হুজুর অজ্ঞাত অবস্তায় আমি এমন বলে ফেলেছি যে তালাক বিষয় এটা কিন্ত আমি তালাক দেবার উদ্দেশ্য বলিনি এতে কি তালাক হবে।এবং প্রশ্ন লিখতে লিখতে তালাক পরিস্কার শব্ধ না করে বোলেফেলেছি এবং সেই সময় আমার স্ত্রীর কথা আমার মনে পড়ে। এতে কি তালাক হবে। আমার তো তালাক দেবার কোনো নিয়ত নেই প্রশ্ন করতে করতে বলে ফেলেছি।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 59 views
...