আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
প্রশ্ন ১ : আমাদের এলাকায় অনেকের মধ্যে পক্স ও ভাইরাল জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। আমার পরিবারেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছে, আমি নিজেও আক্রান্ত। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমার স্বামী ঈদের ছুটিতে আমাদের জেলায় এসেছেন (তার বাবার বাড়িতে)। আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি। এবার ইদে আমাদের বাড়িতে তার আসার কথা, তার বাড়িতেও আমার যাওয়ার কথা। কিন্তু সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে এলাকার বাইরে বের হওয়া বা অন্য এলাকার মানুষ আক্রান্ত এলাকায় প্রবেশ হাদিসের ভাষ্যানুযায়ী নিষেধ বলে জানি। আমার স্বামী যদি এই ছুটিতে আমার কাছে না আসেন তাহলে হয়ত এক বছর পর আবার সুযোগ পাবেন, আবার আমিও আমার শশুড়বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পাবো না। তাছাড়া তিনি অনেক মাস অন্য জেলায় ছিলেন জরুরি কারণে। এমতাবস্থায় কি করনীয়? তিনি আমার কাছে আসা বা আমার তার বাড়িতে যাওয়াটা কি জায়েজ হবে? আর আমাদের ঘনিষ্ঠ হওয়া জায়েজ হবে? (হাঁচি কাশি বা দেহের সংস্পর্শের দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা আল্লহর অনুমতিক্রমে)

২য় প্রশ্ন :

আমি আমার মায়ের নামে কিছু টাকা সাদাকা করতে চাই, উনি জীবিত আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যদি তাকে না জানিয়ে করি, তাহলে কি তার আমলনামায় সেটার সওয়াব যুক্ত হবে? কারণ তার হয়ে আমি নিয়্যাত করেছি, তিনি জানেন না, নিয়্যাত করেননি। তিনি আমাকে কিছু টাকা দিয়েছেন যেটা তার নামে সাদাকা করে দিতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রোগ ব্যধির নিজস্ব সংক্রামক কোনো যোগ্যতা ও ক্ষমতা নাই। রোগীর পাশে কেউ গেলেই যে, রোগ ব্যধি তার কাছে চলে যাবে, বিষয়টা মূলত এমন নয়, বরং যদি আল্লাহর হুকুম হয়, তাহলে রোগ সংক্রামক হতে পারে। যদি আল্লাহর হুকুম না হয়, তাহলে ঐ রোগ সংক্রামক হতে পারবে না। তবে কিছু রোগের মাঝে আল্লাহ তা’আলা সংক্রমণের নিয়ম বেধে দিয়েছেন, এই রোগ সংক্রমণ করে বসে। তাকে আল্লাহ পূর্ব থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তবে আল্লাহর ইচ্ছা হলে সংক্রমণ নাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ সংক্রমণের এই ক্ষমতা রোগের নিজস্ব ক্ষমতা নয়, এর পশ্চাতে আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা এবং তার ইচ্ছার দখল থাকে। তবে ইসলাম প্রচলিত এসব সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোকদের নিকট যেতে নিষেধ করেছে বিশেষভাবে কুষ্ঠ রোগীর নিকট, এ কারণে যে, উক্ত রোগীর নিকটে গেলে আর তার আক্রান্ত হওয়ার খোদায়ী ফায়সালা হওয়ার কারণে সে আক্রান্ত হলে তার ধারণা হতে পারে যে, উক্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার কারণেই সে আক্রান্ত হয়েছে, এভাবে তার আক্বীদা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তা যেন হতে না পারে, এজন্যই ইসলাম এরূপ বিধান দিয়েছে। তবে কেউ মজবুত আকীদার অধিকারী হলে, সে অনুরূপ রোগীর নিকট যেতে পারে। এমনিভাবে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোককেও সুস্থ এলাকার লোকদের নিকট যেতে নিষেধ করেছে। যাতে তা অন্য কারো আক্বীদা নষ্টের কারণ না ঘটে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/13905


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পক্স ও ভাইরাল জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে এজন্য বাড়ীতে যেতে পারবেন না, বা স্বামী আপনার কাছে আসতে পারবে না, বিষয়টা এমন নয়।বরং আপনার ঘরের লোকজনকে যদি এটা বুঝাতে পারেন, এবং তারা মন থেকে বুঝে নেয় যে, রোগ আল্লাহর হুকুম ব্যতিত সংক্রামক হতে পারেনা, তাহলে আপনি অবশ্যই  বাড়ীতে যেতে পারবেন, অথবা স্বামীও আপনার কাছে আসতে পারবে, নতুবা পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...