আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (11 points)
আমার চাকুরী বেতন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে আমাকে ৩%  টাকা দিয়ে দিতে হবে,যে টাকা জমা হবে তার ৫% সুদ প্রতিবছর দিবে কিন্তু চাকরি না ছাড়লে এই টাকা আমি কখনো তুলতে পারবো না।

১.আমার জন‍্য এই চাকরি করা কি হালাল হবে?

২. চাকরি থেকে যদি বের হয়ে যাই তখন এই টাকা পাবো।তখন কি এই টাকা আমি নিতে পারবো? নাকি শুধু আমার ৩% টাকা আমি নিবো?আমি সুদ নিতে চাই না,কিন্তু আমার বেতন থেকে এই টাকা বাধ‍্য হয়ে আমাকে দিতে হবে।আমি যদি আমার টাকা নিয়ে বাড়তি টাকা গরীব দের দিয়ে দেই তাহলে আমার জন্য এই চাকরি করা উচিত হবে?

৩. আমি যদি এই জব ৩০ বছর করি তাহলে চাকরি থেকে অবসর নেই আমি তখন মাসিক পেনশন পাবো ।কত টাকা মাসে পাবো সেটা নির্ভর করবে আমি যা বেতন পাই আর কত বছর চাকরি করেছি তার ১.৪ শতাংশ।তখন আর আমার ৩% আর কম্পানি ৫% সুদ এর টাকা যেটা ৩০ বছর জমা হয়েছে সেটা আর হিসাব হবেনা। এই মাসিক পেনশনের টাকা কি আমি নিতে পারব অবসর নেওয়ার পর?

৪.সর্বপরি এই জব টা করা জায়েজ হবে ।আমার বেতন থেকে এই ৩% টাকা জোর করে নেওয়া হবে, আমি না চাইলেও এই টাকা নিয়ে চলে যাবে।

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চাকুরী পরবর্তি বোনাস সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে।যথা-
(১)প্রভিডেন্ট ফান্ড
(২)পেনশন ফান্ড
প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিস্তারিত বিধি-বিধান।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের উৎস দু ধরণের হয়ে থাকে। যথা- 
(ক)বাধ্যতামূলক ইনকাম ট্যাক্স
অর্থাৎ  ইনকাম ট্যাক্স কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমার আওতাধীন হয়,যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড রূপে উক্ত চাকুরজীবিকে দেয়া হবে।তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভূক্ত হবে না।কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ  ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকুরজীবি এখন উসূল করতে পারবে।আর কবজা বা হস্তগ্রত করার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না।যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি,তখন সে কিভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে।তাই কর্তনকৃত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না।বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে,বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলাই এখন তার হস্তগ্রত হচ্ছে। এখানে সবগুলাকেই তার বেতন রূপে গণ্য করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1246

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু বেতন থেকে কেটে নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। তাই এই পদ্ধতি ফিকহের মূলনীতির আলোকে নাজায়েয বলা যাচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু আপনার বর্ণিত পদ্ধতিটি সুদের সাথে কিছুটা সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে, তাই এরকম চাকুরীতে জয়েন না হওয়াই উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...