সামিআল্লাহ বলার সময় রুকুতে যাওয়া

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

আজ এশার নামাজের সময় ইমামসাহেবকে তৃতীয় রাকাআতের রুকু করা অবস্থায় পেয়েছিলাম । আমার তাকবীরে তাহরিমা বলা শেষ হতেই ইমাম সামিআল্লাহ লিমান হামিদাহ বলে রুকু থেকে উঠতে থাকেন। এসময় আমি ইমামের সামিআল্লাহ বলা অবস্থায় রুকুতে চলে যাই এবং বলা শেষ হলে রুকু থেকে উঠি.।পরে সালাম ফিরানোর পরে ছুটে যাওয়া ৩ রাকাআত আদায় করি। এখন ইমামের সামিআল্লাহ বলার সময় রুকুতে যাওয়ার কারনে কি আমার নামাজ ভঙ্গ হয়ে গেছে?

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।

নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।

এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়। 

, 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

 

عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 

{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

 "ومن أدرك إمامه راكعا فكبر ووقف حتى رفع الإمام رأسه" من الركوع أو لم يقف بل انحط بمجرد إحرامه فرفع الإمام رأسه قبل ركوع المؤتم "لم يدرك الركعة" كما ورد عن ابن عمر رضي الله عنهما

যে ব্যক্তি ইমামকে রুকু অবস্থায় পাবে,অতঃপর সে তাকবীর বলে দাড়াবে,এমতাস্থায় যদি ইমাম সাহেব রুকু থেকর মাথাকে তুলে নেয়,অথবা মুক্তাদি তাকবীর বলে না দাড়ায় বরং রুকু যাওয়ার জন্য ঝুকে,এবং ইমাম সাহেব মুক্তাদির রু'কুর পূর্বেই মাথাকে তুলে নেন,তাহলে বুঝা যাবে যে,মুক্তাদি রু'কুই পায়নি।যেমন ইবনে উমর রাযির আসর থেকে বুঝা যায়।(মারিকল ফালাহ-১/৪৫৫)

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://ifatwa.info/9978/

https://www.ifatwa.info/6167

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু সালাম ফিরানোর পরে ছুটে যাওয়া ৩ রাকাআত আদায় করেছেন,সুতরাং আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।

ইমাম সাহেবের সামিআল্লাহ বলার সময় রুকুতে যাওয়ার কারনে আপনার নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়নি।