জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
صحيح البخاري (2/ 130)
1503 – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى العَبْدِ وَالحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالكَبِيرِ مِنَ المُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ»
[تعليق مصطفى البغا] (فرض) أوجب أو قدر.
অর্থ : হযরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর রাসূলুল্লাহ (সা.) زَكَاةَ الفِطْرِ সাদকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা আবশ্যক করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুখারী-২/১৩১, হাদীস-১৫০৬।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺯَﻛَﺎﺓَ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﻃُﻬْﺮَﺓً ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻭَﺍﻟﺮَّﻓَﺚِ ﻭَﻃُﻌْﻤَﺔً ﻟِﻠْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻣَﻘْﺒُﻮﻟَﺔٌ ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕِ »
রাসূলুল্লাহ সাঃ সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন।রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করতে।এবং মিসনদকিনদের জন্য খাদ্য স্বরূপ হিসেবে।সুতরাং যারা ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা কে আদায় করে নিবে,তাদের সেই সদকাহ হলো মকবুল সদকাহ।আর যারা ঈদের নামাযের পর সেটাকে আদায় করবে,তাদের সেই সদকাহ অন্যন্য নফল সদকাহ এর মত। অর্থাৎ-আল্লাহ ইচ্ছা করলে কবুল করবেন,আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩৭১)
যেসব আত্মীয়দের যাকাত দেওয়া জায়েজ আছে,তাদেরকে যদি কেহ যাকাতের টাকা হাদীয়া বলে দেয়,তাহলে এটা জায়েজ আছে।
তবে এটা প্রদানের সময় যাকাত দাতার অন্তরে অবশ্যই যাকাতের নিয়ত থাকতে হবে।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
الفتاوى الهندية (1/ 171)
'' ومن أعطى مسكيناً دراهم وسماها هبةً أو قرضاً ونوى الزكاة فإنها تجزيه، وهو الأصح، هكذا في البحر الرائق ناقلاً عن المبتغى والقنية''
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি মিসকিনকে হিবাহ (হাদীয়া),করজ হিসেবে টাকা দেয়,দেওয়ার সময় যাকাতের নিয়ত করে,তাহলে এটার দ্বারা যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
এটাই ছহীহ কওল।
ولا يشترط علم الفقير أنها زكاة على الأصح حتى لو أعطاه شيئا وسماه هبة أو قرضا ونوى به الزكاة صحت (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الزكاة-715، الفتاوى الهندية، كتاب الزكاة، الباب الأول فى تفسيرها وصفتها وشرائطها-1/171، جديد-1/233، البحر الرائق-2/370
সারমর্মঃ
ফকিরের জানা শর্ত নয় যে এটি যাকাত।
এমনকি কেহ যদি ফকিরকে হিবাহ (হাদীয়া),করজ নামে কিছু দেয়,দেওয়ার সময় যাকাতের নিয়ত করে,তাহলে এটার দ্বারা যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যাদের ফিতরা দিব তাদেরকে জানিয়ে দিতে হবেনা যে এটা ফিতরার টাকা।
এমনটি জানানো আবশ্যক নয়।
আপনি যদি তাদেরকে এমনিতেই দান হিসেবে টাকা দেন, আর মনে মনে নিয়ত করেন যে এটা ফিতরা দিলাম, তাহলেও ফিতরা আদায় হবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।