আসসালামু 'আলাইকুম,
১. পরিবারের মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষ এবং আলেম বিদ্ধেষ আছে। এমন কি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন গুলো নিয়ে বা বিভিন্ন সহীহ হাদিস কেও অস্বীকার করার প্রবণতা আছে। এমতাবস্থায়,ধৈর্য ধরে থাকলেও অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। ১০ দিন ভদ্রভাবে পরিহার করলেও ১ দিন খুব রাগ লাগে, মাঝে মাঝে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে উঁচু গলায় কথা বলে ফেলি। আমি তো চেষ্টা করি, যথেষ্ট চেষ্টা করি নিজেকে সামলে রাখার কিন্তু মাঝে মাঝে পারি না। আমি কি এতো চেষ্টার পর ও গুনাহগার হয়ে যাব? উল্লেখ্য যে, এমন এমন কথা সহ্য করতে হয় যা যেকোন মুমিন নিতে পারবে না।
২. সালাত, রোজা নিয়ে নানা উদ্ভট কথা বাসার সবাই বলে। যেমন নামাজ না পড়লেও নামাজ মাফ হয়, আজানের অনেক পরেও তারা সাহরি খেতে থাকে, খেলে নাকি কিছু হয় না। আমি যখন বলি এসব এর বিপরীতে ভালোভাবে বলার চেষ্টা করি, কিন্তু আমাকে উল্টা boka দেয়, আর ভাবে এখনকার আলেম রা নতুন নতুন হাদিস বলে। আমার কি করা উচিত? এসব নিয়ে বলতে গেলে দেখা যায় আমারও ফিটনায় পড়ার চান্স থাকে, খুব রাগ লাগে। পরামর্শ চাই, আমার কি করা উচিত! আল্লাহ বলেছেন ভদ্রভাবে পরিহার করতে, আবার প্রকাশ করে দিতে, অসৎ কাজের নিষেধ করতে, কি করা উচিত কিভাবে করা উচিত জানি না। ইল্ম খুব কম আমার! বুঝি না কি করতে হবে।
৩. পারিবারিক সমস্যা বা কেউ কষ্ট দিলে, সে কষ্ট যদি স্বামীর সাথে শেয়ার করা হয়, সেটা কি গীবত! উদ্দেশ্য কাউকে ছোট করা না, নিজের কষ্ট এর কথা বলে হালকা হওয়া। উল্লেখ যে, গীবত পরিহার করার খুব চেষ্টা করি, অন্য কারুর সম্পর্কে কিছু বলি না, কিন্তু কোনো কষ্ট স্বামী কে না বলে থাকতে পারি না। মাঝে মাঝে ভাবি, এটা গীবত কিনা।