আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)

আসসালামু আলাইকুম।
আমি যখন আমার মায়ের গর্ভে ছিলাম তখন আমার মাকে আমার বাবা রেখে আসে এবং তালাক দিয়ে দেয় আমি হবার পর। আমার মা আমাকে রাখতোনা অন্য কাউকে দিয়ে দিতে চেয়েছিলো আমার বাবা ও আমাকে রাখতে চায়নি অন্য কারো কাছে দিয়ে দিতে চেয়েছিলো। আমার বাবার বড় ভাইয়ের কোনো সন্তান নেই তাই আমার চাচী বললেন বাচ্চাটাকে আমি নিয়ে নেই। তো, তারা আমাকে নিয়ে নেয় এবং তাদের সন্তানের পরিচয়ে আমাকে বড় করে।আমার বড় চাচা শহরে থাকে।গ্রাম থেকে অনেক দূরে।তারা আমাকে কখনো জানায়নি যে আমি তাদের সন্তান না। আমি তাদের ষড়যন্ত্র টা বুঝি পরে।আমার যখন ১২ বছর হয় তখন আমার ফুপু তার ছেলের কাছে আমাকে বিয়ে দিতে চায়।ওনার ওই ছেলের চরিত্র ভালো না এটা সবাই ই জানে এরপরেও দিতে চেয়েছিলো।কারন, তারা চেয়েছিলো আমার সাথে ওর বিয়ে হলে সম্পত্তি গুলা ঘরেই থাকবে।মূলত তাদের খেয়াল আমার চাচা তার সম্পত্তি আমাকে দিবে। আর আমার দাদী,ফুপু এটা চায়না।তো,আমার চাচী এই বিয়েতে রাজি হয়না।এরপরে অনেক ঝামেলা হয়।তখন থেকেই আস্তে আস্তে তারা জাদুর দিকে আগায় এবং আমার চাচী আর আমার উপরে মানসিক,শারীরিক নির্যাতন চালাইতে থাকে।তারা আবার এক ভন্ড পীরের মুরিদ।ওই মুফতি সব ভুল ভাল ফাতওয়া দেয় যেমন- ওনার মাদ্রাসায় ফিদিয়া না দিলে ফিদিয়া আদায় হবেনা। কারো কোনো রোগ হলে খালি ছাগল চায়। ওনার কাছে জ্বীন ও আছে। উনি মানুষকে জাদু করে। তো, ওই ভন্ড মুফতি আমার জন্য একের পর এক ছেলে আনতে থাকে।সেই ছেলে গুলাও তার মুরিদ।এদেরকে যতই বুঝানো হয় ওই মুফতি ভন্ড তারা বিশ্বাস করেনা।তার অনুসারীকে কিভাবে বিয়ে করা যায়? আর আমি একজন দ্বীনদার ছেলেকে চাই।তারা সেটাও আনেনা যার দরুন আমি বিয়ে করতে রাজি হইনা।আমার চাচী আমার পক্ষে সেকারনে আমার চাচীকেও তারা অনেক নির্যাতন করে। খাবার-কাপড়ের কষ্ট,কথা,খোটা, বিনা কারনে গালি,মারধোর সব করে তারা। এবং তখন থেকেই আমাদের দুজনের উপরে একের পর এক কালোজাদু করতেই থাকে তারা।বলে বুঝাইতে পারবোনা কি পরিমানে নির্যাতন টা করে।আমাকে আমার চাচা প্রায়ই বলে তোকে আমি দয়া দেখাইছি।কই থাকতি আমি দয়া না দেখাইলে এখন কই আছিস।তুই আমার বড় শত্রু। আমি শত্রুকে ছাড়িনা তুই খালি দেখবি আমি কি করি।এরপরেও পড়ে আছি।যাবার পথ আপাতত নেই।ভরনপোষণে কষ্ট দেয় বলে আমি অনাইনে বিজনেস করি এটাও তারা দেখতে পারেনা।এখানেও তারা বাধা দেয়।আমার অনেক ভালো জায়গা থেকে ঘর আসলে আমার বাবা-চাচা রা ভেংগে ফেলে।তাদেরকে অনেকবার বলেছি আমি একফোটা জমিও নিতে চাইনা কিন্তু তারা এটা বিশ্বাস করেনা। তারা চায় খারাপ ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিয়ে তাদের গ্রামে নিতে আর আমার হাসবেন্ড যেনো তাদের পুতুল হয়ে থাকে আর সব সম্পত্তি তাদের হয়। আমি তাদের সম্পত্তি নিতে চাইনা হাজার বার বলেছি তারা বিশ্বাস ই করেনা।সব কথা বললে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে তাই বলছিনা।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে-
১/ আমার করনীয় কি?
২/ আমি আগে জানতাম তারাই আমার মা-বাবা। কিন্তু তারা এগুলো কাহিনী করে আমাকে অনেক টর্চার করার পর্যায়ে বলে ফেলে আমি তাদের সন্তান না।এবং আমার জন্মদাতা বাবা আমাকে বলেন আমি তোর পরিচয় কখনই দিবোনা।তোর জন্য কখনই আমি কান্না করিনাই।ওদের কে দিয়ে দিয়েছি তাই তুই তাদের। আমার সার্টিফিকেটে আমার আসল মা-বাবার নাম দেয়া নেই।কি করব?
সমাজের কিছু মানুষ জানে আমি তাদের পালিত সন্তান কিছু মানুষ জানেনা।কিন্তু যারা জানে তারাও সত্যটা আমাকে বলেনি।আমি যতটুকু সম্ভব আমার বন্ধুবান্ধবদের বলেছি এটা আর চাচী কিন্তু সবাইকে বলতে পারিনা বললেই তারা বিশাল ঝামেলা করবে।তারা কেমন তা তো বর্ননা দিলামই।এখন কি করবো আমি? আমার কি গুনাহ হচ্ছে? তারা আমার মা-বাবা না কিন্তু সমাজের কিছু সংখ্যক মানুষ জানে তারা আমার মা-বাবা।
৩/ তাদের সাথে কি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ হবে? আমাদেরকে তারা তিলে তিলে মারতেছে।এত কষ্ট পাচ্ছি একমাত্র আল্লাহ জানেন।আমার বয়স বেশিনা।অনেক কষ্ট সহ্য করে আছি। সান্তনা হিসেবে এই কথাটা মানি যে যত কষ্ট হচ্ছে তত পাপ মুছে যাচ্ছে যা জান্নাত পাওয়ার জন্য সহজ।কিন্তু,, আমাদের ইচ্ছে আছে সুযোগ পেলে চলে যাবো এখান থেকে।এটা কি জায়েজ হবে? উপায় পাচ্ছিনা। একজন জন্ম দিয়ে বলে মানিনা তোকে।কিন্তু জন্ম দিয়ে দয়া দেখাইছি এখন আমার কথামত বিয়ে করতে হবে।আরেকজন বলে আমার খাইতেছিস আমি দয়া দেখায় বড় করছি তাই আমার টা শুনবি।না শুনলে তোরা দেখবি আমি কতদূর যাইতে পারি।যে তোদেরকে বাচাইতে আসবে আমি তাদেরকেও দেখে নিবো।কি করবো!!

আমাদের করনীয় টা কি? লেখাটা পড়ে ইসলামের আলোকে জানাবেন।<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250324_140344_125.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (604,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

সন্তান দত্তক নেওয়া মানে কোনো সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করা, অভিবাবকত্ব গ্রহণ করা ও জিম্মাদারি নেওয়া।তা ইসলামে সমর্থিত একটি বিষয়।

ইসলামে অন্য কারো সন্তান লালন-পালন ও তার অভিভাবকত্ব নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। যদি কোনো এতিম, গৃহহীন বা অবহেলিত শিশুকে নিজের সন্তানের ন্যায় অন্ন-বস্ত্র ও সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে লালন-পালন করে অথবা নিঃসন্তান দম্পতি কোনো শিশুকে স্নেহ করে লালন-পালন করে তাকে স্বেচ্ছায় কিছু দান করে, তাহলে শরিয়তে তা নিষিদ্ধ নয়। এতিম-অনাথ ও গরিব শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তার দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে ইসলাম উত্সাহিত করে। ইসলাম এ ধরনের কাজকে অনেক বেশি সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছে। 

হাদীস শরীফে এসেছে
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমি ও এতিমের অভিভাবক জান্নাতে দুই আঙুলের ন্যায় অতি কাছাকাছি থাকব।’ (বুখারি : ৬০০৫)
নবী করিম (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের খোরপোশ ও লালন-পালনের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি : ১৯১৭)

পালিত সন্তান কখনো নিজ সন্তান হবে না, পালিত সন্তান ওরাছতের মালিক ও হবে না।
সুতরাং পালিত মেয়ে সন্তান উক্ত ব্যক্তির গায়রে মাহরাম থাকবে।যাকে উক্ত ব্যক্তি প্রয়োজনে বিবাহ ও করতে পারবে।ঠিকতেমনিভাবে পালিত পুত্র সন্তান উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী বা মেয়ের গায়রে মাহরাম।যাদের মধ্যকার বিবাহ বৈধ।সুতরাংতাদের মধ্যকার শরয়ী পর্দার বিধান আপতিত হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

বাচ্চা দত্তক নেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু মাসয়ালা লক্ষ্য রাখতে হবে,তাহা হলোঃ-
 
★পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা অবৈধ।
দত্তক নেওয়ার সময় স্মরণ রাখতে হবে, চুক্তিপত্রে সই করে সন্তানের পিতৃপরিচয়স্বত্ব ত্যাগ করে এমনভাবে দেওয়া যাবে না যে মা-বাবা আর কখনো ওই শিশুর মা-বাবা হিসেবে পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না। ইসলাম এ কাজ কখনো সমর্থন করে না। কেননা ইসলাম সওয়াবের নিয়তে অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে বলেছে, কিন্তু সন্তান দখল করা কিংবা তার প্রকৃত পরিচয় বিলুপ্ত করার অনুমতি দেয়নি। অনেক সময় দেখা যায়, টাকার বিনিময়ে গরিব মা-বাবা সন্তান দত্তক দেন। এটাকে এক ধরনের সন্তান বেচাকেনাও বলা যেতে পারে। এটি কেবল অমানবিকই নয়, ঘৃণ্যও বটে। ইসলামে এ ধরনের স্বাধীন মানুষ ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ হারাম। 
,
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব—এক. ওই ব্যক্তি, যে কোনো কাজে আমার নামে কারো সঙ্গে কসম করার পর তা ভঙ্গ করেছে। দুই. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে সম্পদ অর্জন করেছে। তিন. আর যে ব্যক্তি কোনো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তার বিনিময় দেয়নি।’ (বুখারি : ২২২৭)

★লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তান পর্দার ক্ষেত্রেও পুরোপুরি ইসলামের বিধান রক্ষা করে চলতে হবে। নিজ হাতে লালন-পালন করেছি বলে পর্দার বিধান লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। অর্থাত্ পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক নেওয়া মায়ের সঙ্গে পর্দা করতে হবে। অন্যদিকে পালক নেওয়া শিশুটি মেয়ে হলে তাকে পালক নেওয়া বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। কেননা ইসলামী শরিয়ত মতে, দত্তকসংক্রান্ত সম্পর্ক কখনো বংশীয় সম্পর্কে পরিণত হয় না। এমনকি তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও অন্য সাধারণ মানুষের ন্যায়ই বৈধ। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। (তুহফাতুল ফুকাহা : ২/১২৩)

বিস্তারিত জানুনঃ   

কোনো ব্যাক্তি শরীয়তের নিয়ম কানুন মেনে কাউকে দত্তক নিতে চাইলে নিতে পারে।

তবে সমাজে,জন্ম সনদে,ভোটার আইডি কার্ড সহ যাবতীয় কার্যক্রমে বাচ্চার পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা যাবেনা।
তার আসল পিতৃপরিচয় দিতে হবে।
তার আসল পিতৃপরিচয় দিয়েই সমাজে তাকে পরিচিত করে তুলতে হবে।

তার সামনে পর্দার ক্ষেত্রেও পুরোপুরি ইসলামের বিধান রক্ষা করে চলতে হবে।
সে আপনাদের গায়রে মাহরাম, তাই সে বালেগ হয়ে গেলে তার সামনে পূর্ণ পর্দার বিধান রক্ষা করে চলতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি আস্তে-ধীরে নিজের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন নিজের আসল বাবা-মার পরিচয় জানার জন্য। এরপর আস্তে-ধীরে সময় সুযোগ মোতাবেক জন্ম সনদ,ভোটার আইডি কার্ড সহ যাবতীয় কাগজপত্র ঠিক করে নিবেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে আপনার সামনে দুটি পথ খোলাঃ

একটি হলো আপনার চাচার কথা মোতাবেক ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বিবাহ বসা।

অপরটি হল তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদেরকে ত্যাগ করে অন্যত্রে চলে যাওয়া এবং নিজের জীবন নিজের মত করে বেছে নেয়া, পূর্ণভাবে নিজের পায়ের উপর দাঁড়ানো।

এ দ্বিতীয় পথটি এ ফিতনার যুগে আপনার উপর অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে, খুবই কষ্টসাধ্য বিষয় এটি।

তাই আপনার প্রতি পরামর্শ হলোঃ- 
কারো সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আস্তে ধীরে সবকিছু মোকাবেলা করা।

চাচাকে শরীয়তের বিষয় বুঝানো, দ্বীনদার ছেলের সাথে বিবাহের ক্ষেত্রে রাসূলের যে নির্দেশনা সে বিষয়টি বুঝাবেন, দ্বীনদার পরিবারে বিবাহ হলে সেক্ষেত্রে নিজের ইহকালীন জীবন ও পরকালীন জীবনে কি ধরনের উপকার হবে, সেটি বুঝাবেন, পাশাপাশি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চালিয়ে যাবেন, যাতে আপনার চাচা রাজি হয় আপনার কথার উপর।

এক্ষেত্রে আপনার চাচা আপনার কথা কোনোভাবেই না মানলে এবং ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বিবাহের জন্য সর্বোচ্চ জোড় দিলে এবং আপনার বাবা মা কেহই পাশে না দাড়ালে আপনি এমনটি করতে পারেন যে সেই ফুফাতো ভাইকে বুঝিয়ে তার পরিবারের গিয়ে পরিপূর্ণ পর্দার পরিবেশ করা ও সেখানে আপনার জন্য পূর্ণ দ্বীন মানার স্বাধীনতার ওয়াদা নিয়ে সেখানে বিবাহ বসতে পারেন।

বিবাহের পর তাকে তাবলীগে পাঠিয়ে হোক হক্কানী আলেমদের কাছে পাঠিয়ে হোক তাকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন।

তারপর তার মাধ্যমে আস্তে-ধীরে আপনি মূলত আপনার আসল বাবা আপনার আসল মা এদের সাথে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া চালিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।

দোয়া করি,আল্লাহ তায়ালা আপনার সহায় হোন,আমিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (63 points)
১/ আমার ওই ফুপাতো ভাইয়ের বিয়ে দিয়েছে আমার ফুপু পরে অন্য জায়গায় অনেক কাহিনী করে।এরপরে একটা বাচ্চা হওয়ার পরে সে আবার আরেক জায়গায় বিয়ে করেছে।কিন্তু তার ১ বউ চালানোর সামর্থটাই নেই।সে আর কিছুদিন পড়লে দাওরাহ দিত। সে সবই জানে।তাকে আর কি বুঝাবো।

২/ আমার বাবা-মায়ের আসল পরিচয় তো আমি জানি ই। আমার নিজের বাবার বড় ভাই আমার দত্তক নিয়েছেন।তার কোনো সন্তান নেই সেকারনে পর্দা নিয়ে সমস্যা হয়না।কিন্তু সার্টিফিকেটে তাদেএ নাম দেয়া।

৩/ তারা ইসলামের সবই বুঝে। হুজুর ফ্যামিলি বলা চলে। তারপরেও এরা জাদু করে। আমার প্রতি এদের বিন্দু পরিমাণ দয়া নেই।থাকলে এত অত্যাচার আমাকে করত না। নিজেই বলেছে আমি ওনার শত্রু। উনি এমন মানুষ ও না যে ওনাকে বসে সুন্দর করে বুঝাবো।কিছু বলতে গেলে অনেক জোরে চিল্লায় মারতে আসে বঠি দা নিয়ে। জাদুকরদের কি বলব জানিনা!! কি বুঝাবো তাও বুঝিনা।এরা সবই জানে।ইন্ডিরেক্টলি অনেক কিছুই বলি হাদিস সম্পর্কে কিন্তু তাও জাদু করে আমাকে।কি করবো? 
by (604,290 points)
আপনার ফুফাতো ভাই যেহেতু অলরেডি দুইটি বিবাহ করেছে, সুতরাং আপনাকে তার সাথে বিবাহ দেওয়ার তো আর কোন কথা উঠবেনা। 

তাই আশা করি উপরোক্ত সমস্যাগুলো আস্তে ধীরে সব কেটে যাবে।
by (63 points)
তারা আমার ফুপাতো ভাইয়ের কথা আর বলেনা কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আমার উপরে জাদু করে। তাদের সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন করা বৈধ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...