আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)

https://ifatwa.info/115611/,হুজুর পরিচিত কাস্টমার এর ব্যাপারেই বিক্রেতা জানতে পারে বাকি দের ক্ষেত্রে না তো এমতাবস্থায় যদি অনলাইন থেকে কোন কিছু কিনা হয় আর ক্রয় টাকা টার মধ্যে কিছুটা নাজায়েজ টাকা আছে যেমন মনে করেন বাসার কোন একটা জায়গা থেকে টাকা চুরি করে ক্রয় করে থাকে এই ক্ষেত্রে কি এইটা কে মানে ক্রয় করা বস্তু কে নাজায়েজ বা ব্যবহার করা যাবে না এমন বলা হবে এবং বিক্রেতা ও জানবে কিভাবে যে তার কাস্টমার এর টাকা কোন ভাবে আসছে বা কোন ভাবে ইনকাম করা কোন source থেকে আসছে জায়েজ বা নাজায়েজ থেকে কিনা তাহলে বিক্রেতার জন্য তো জন্য তো সেইটা নেওয়া সম্পুর্ন বৈধ হবে ⁉️এবং যদি বিক্রেতা জানে যে কিভাবে আসছে তাও বিক্রি করে এইটা বিক্রেতার জন্য জায়েজ না যেমন কাস্টমার এর জন্য তো কাস্টমার যদি সেই টাকার পরিমাণ টাকা সদকাহ করে তাহলে তো তার জন্য সেইটা জায়েজ হবে মানে কাস্টমার এর জন্য কি ঠিক হুজুর⁉️

আর উস্তাদ কাস্টমার যদি যেই বস্তটা বা পন্যটা ক্রয় করেছে প্রায় ১ বছর  হবে বা আগের বছর ক্রয় করেছে কিন্ত যিনি (কাস্টমার) ক্রয় করেছে সেই পন্য টার টাকা পুরোটাই জায়েজ বা কিছু অংশ জায়েজ বাকিটা জায়েজ না তো এমতাবস্থায় সেই ব্যক্তি মানে কাস্টমার টা কিভাবে এইটা কে জায়েজ করবেন মানে তিনি কি সদকাহ বা দান করবেন পুরো টাকা টা নাকি কিছু অংশ দান করলেই হবে তাহলেই কাস্টমার এর জন্য জায়েজ হয়ে যাবে  ⁉️আমি আগের প্রশ্নে সদকাহ বা দান নিয়ে কিছুটা বলেছি কিছু বলেন নাই। 

1 Answer

0 votes
by (604,290 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/25495/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
বিক্রিত পন্য স্পষ্ট হারাম হলে তাহা বিক্রয় জায়েজ হবেনা। 
ক্রেতার টাকা হারাম হলেও হালাল পন্য বিক্রেতার জন্য তাহা গ্রহন জায়েজ আছে।
,
ইবনে রজব (রহঃ) বলেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ মুশরিকদের ও ইহুদী-খ্রিস্টানদের সাথে লেনদেন করতেন; এটা জানা সত্ত্বেও যে, তারা সকল হারাম থেকে বেঁচে থাকে না।"[জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম (পৃষ্ঠা-১৭৯)]
,
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: "মুসলমান, ইহুদী ও খ্রিস্টানদের হাতে যে সব সম্পদ রয়েছে, যার ব্যাপারে প্রমাণের ভিত্তিতে কিংবা আলামতের ভিত্তিতে জানা যায় না যে, এগুলো আত্মসাৎকৃত সম্পদ কিংবা নাজায়েয পদ্ধতিতে হস্তগত সম্পদ—কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের সাথে সে সব সম্পদে লেনদেন করা জায়েয। ইমামদের মাঝে এ নিয়ে আমি কোন মতভেদ জানি না।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (২৯/৩২৭)]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু বিক্রেতা জানেইনা যে ক্রেতার টাকার মধ্যে হারাম আছে, সুতরাং এক্ষেত্রে সেই পণ্য তার কাছে বিক্রয় করতে বিক্রেতার কোন সমস্যা হবে না। বিক্রেতা তাহা বিক্রয় করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...