আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in সাওম (Fasting) by (26 points)
আস সালামু আলাইকুম,
মসজিদের সীনানা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম।  
কেউ যদি পুরা জায়গা মসজিদের জন্য ওয়াকফ করে, পরবর্তীতে কমিটি  সুবিধামত সে জায়গার অব্যাহত অংশে ই ওযুখানা, সিড়ি ইত্যাদি বানায়, তাহলে কি সেটা মসজিদের সীমানা হিসাবে পরিগনিত হবে?  ইতিকাফ রত ব্যাক্তি কি সেসব জায়গায় যেতে পারবে?

দ্রুত জানালে উপকার হত।

জাঝাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (604,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ


ওয়াহব  ইবন  বাকীয়্যা ......... আয়েশা  (রাঃ)  হতে  বর্ণিত।  তিনি বলেন,  ই‘তিকাফের  জন্য  সুন্নাত  এই  যে,  সে  যেন  কোন  রোগীর  পরিচর্যার  জন্য  গমন  না  করে,  জানাযার  নামাযে  শরীক  না  হয়,  স্ত্রীকে  স্পর্শ  না  করে  এবং  তার  সাথে  সহবাস  না  করে।  আর  সে  যেন  বিশেষ  প্রয়োজন  ব্যতীত  মসজিদ  হতে  বের  না  হয়।  রোযা  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  নেই  এবং  জামে  মসজিদ  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  শুদ্ধ  নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)

ইতিকাফ যে সকল কারণে ভঙ্গ হয়ে যায় তা হলো :
১. স্বেচ্ছায় বিনা প্রয়োজনে মাসজিদ থেকে বের হলে।
২. কোন শিরক বা কুফরী কাজ করলে।
৩. পাগল বা বেঁহুশ হয়ে গেলে।
৪. নারীদের হায়েয-নিফাস শুরু হয়ে গেলে।
৫. স্ত্রীসহবাস বা যে কোন প্রকার যৌনসম্ভোগ করলে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
“মসজিদের সীমানা হলো ওই জায়গা যা নামাজের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অজুর জায়গা সাধারণত মসজিদের বাইরে হয়ে থাকে। 
.
সাধারণত মসজিদের পুরো বাউন্ডারিকেই মসজিদ বলা হয়। কিন্তু মসজিদের পুরো বাউন্ডারি মসজিদের শরয়ি সীমানা হওয়া আবশ্যক নয়। বরং শরিয়তের দৃষ্টিতে মসজিদের সীমানা ওইটুকুই, যেটুকু স্থানকে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা ওয়াকফ করার সময় মসজিদ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। 

জমিনের কোনো অংশ শরয়ি মসজিদ হওয়া এক জিনিস এবং মসজিদের প্রয়োজনে ওয়াকফ করা আরেক জিনিস। 

কারণ, প্রতিটি মসজিদেই এমন কিছু জায়গা থাকে, যা মসজিদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ওয়াকফ করা হয়। যেমন অজুখানা, ইস্তিঞ্জাখানা, গোসলখানা, ইমাম সাহেবের হুজরা ইত্যাদি। এসব জায়গা শরয়ি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত নয়।”

★সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত ওযুখানা, সিড়ি মসজিদের শরয়ি সীমানার অন্তর্ভুক্ত নয়।
হ্যাঁ যদি সিড়ির স্থানকে স্থানকে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা ওয়াকফ করার সময় মসজিদ হিসেবে সাব্যস্ত করে থাকেন,সেক্ষেত্রে সেই স্থান মসজিদের শরয়ি সীমানার অন্তর্ভুক্ত হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
আমি যেখানে ইতিকাফে আছি সেটা মসজিদের দোতলা। সন্দেহমুক্ত থাকার জন্য ফজরের নামাজ যদি নিচতলার ইমামের ইত্তিদা করে দোতলায় একা একা পড়ি তাহলে নামাজ কি ফাসিদ হবে? উল্লেখ্য যে, ফজরের সময়ে উপরে আর মুসল্লী থাকে না। আর সিড়ি মসজিদের সীমানার মধ্যে কিনা এ ব্যাপারে আমি ইমাম সাহেবের উত্তরে স্পষ্ট ধারনা পাচ্ছি না। আর ওয়াকফ কারী কে পাওয়া সম্ভব না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...