আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
edited by
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

উস্তায আমি আজকে ফজরের পরে ইস্তিখারার দুয়া পড়ে ঘুমিয়ে যাই। এরপর স্বপ্নে দেখি একজন ব্যক্তির সাথে আমার কথা হচ্ছে, খুব হেসে খেলে কথা বলছি। খুব সম্ভবত উনার সাথে বাইতুল্লাহর আশেপাশে ঘুরছিলাম, এরপর উনাকে নিয়ে আরও দেখেছি কিন্তু মনে নেই।

এরপর দেখি আমাদের বাসা পুরোটা এলোমেলো, অন্ধকার টাইপ। আমার ভাবি কোনো একটা কারণে খুব রেগে গেছে। রেগে গিয়ে ফ্লোরে শুয়ে ছিল। মা ভাত নিয়ে তার রুমে গেছে কিন্তু না খেয়ে আবার বেড এ উঠে শুয়ে পড়ছে। এর কিছুক্ষণ পরে নিজেই এসে খাবার নিয়ে বাবুদের খাওয়াচ্ছে আর সম্ভবত বড়োছেলেকে মাইর দিয়েছে।
আমি সেখানে না যেয়ে বাসার এক কর্ণারে আলু গাছ লাগিয়েছি পূর্বে, সেটা তুলেছি। একটা অংশ আলু এনে মাকে দেখাই যে মা দেখেন আমার গাছে কতো বড়ো আলু হয়েছে। এরপর মা খুব খুশি হয়ে বলে যে দেখ আরও আলু আছে এটা শেষ দিয়ে ভেঙে চলে আসছে। এরপর আমি আবার যাই,আলু উঠাই দেখি অনেকগুলো আলু হইছে,আমি খুবই খুশি এবং কৃতঙ্গতা প্রকাশ করছিলাম, ইয়া আল্লহ এই ছোট চিকন লতাটায় এতো আলু দিতে পারো সুবহানআল্লহ। এরপর সে আলু আমার একজন দ্বীনী বোনকেও হাদিয়া দিয়েছি।

এরপর দেখি আমার ভাবি শান্ত হয়েছে উনিও আলু দেখতেছে খুব প্রশংসা করেছে তখন। এরপর দেখি আমি, ভাবি, আমার ভাইয়ের ছেলে মেয়ে কাবা চত্বরে পড়তে গিয়েছি। সেখানে প্রতিদন আমরা আরবি পড়ি (তাজউ্বইদ)। সেদিন আমরা লিখেছি এবং পড়েছি।
সেখানে হাজার হাজার মেয়েরা পড়ে। এরকম আমরা প্রতিদিনই যাই। সেখানে পড়ি খুব আনন্দের সাথে। লিখি সে লিখা আবার জমা দিয়ে আসি। সেখানের একজন শায়েখ আমাদের পড়ান। এরপর আরএকদিনও যাই আমরা সবাই সাথে আমার মা ও গিয়েছেন। সবাই লিখতে ও বসতে পারলেও আমি জায়গা পাচ্ছিলাম না। এরপর একজন হুজুর এসে আমাকে সামনে নিয়ে আসে এবং বসার জায়গা করে দেয়। এরপর খাতা পাচ্ছি না তাই অন্যদের খাতা খুজতেছিলাম লিখার জন্য।  যারা ইরেগুলার তাদের খাতা পেলে লিখবো। খুজতে খুজতে খুব পুরোনো কিছু খাতা পেলাম সেখানে এক বোন উনার হাসব্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখেছে,লিখাটা পড়ে দুয়া করে দিয়েছি। এরপর খাতা খুজতে খুজতেই আমার ঘুম ভেঙে যায়। বাইতুল্লাহর চত্বরে লাস্ট দিনে আমাদের পড়া নিয়েছেন, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি ছিলেন আমাদের পরিচিত আর একজন দ্বীনি বোন। বাস্তবে উনার সাথে কখনও কথা+দেখা হয়নি, তবে ফেসবুক পেস্টের কমেন্টে কথা হয়েছে।
যেখানে পড়েছি সেটা বাইতুল্লাহ মনে হয়েছে কিন্তু কাবা দেখিনি। মনে হয়েছে কাবার থেকে খানিকটা দূরে মক্তবে পড়তেছি কাবা চত্বরেই।
এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি হবে উস্তায?

جزاك الله خيرا في الدنيا والأخرة

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বপ্নে নিজেকে হজ্জ কিংবা ওমরার সফরে দেখা,অথবা দেখা যে সে হজ্জ অথবা ওমরার কার্যক্রম আদায় করতেছে,কিংবা হজ্জ ওমরার প্রস্তুতি নিচ্ছে,ইত্যাদি ইত্যাদি। 
এগুলো সবই বাইতুল্লাহ শরীফের প্রতি মুহাব্বতের আলামত।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এরকম ব্যাক্তি সাধারণত হজ্জ ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের কারনে আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।  
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্রুত হজ্জ/উমরাহ করার সৌভাগ্য অর্জন করার তওফিক দান করুন।
এবং বাইতুল্লাহ শরীফ,হারামাইন শরীফের বরকত লাফের তওফিক দান করুন।
আমিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...