আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার গত হায়েজের অভ্যাস ছিল ৭ দিন।গত হায়েজের ১৭ দিন পর ১২ মার্চ দুপুর ২.৩০ এর দিকে টিস্যু তে হালকা লালচে দেখা যায় এরপর মাগরিবের সময় হাল্কা দেখতে পাই কিন্তু এরপর আর দেখা যায়নি তাই ফরজ গোসল করে ১৩ তারিখ রোজা রেখেছি এবং বারবার চেক করেছি কিন্তু টিস্যু স্বচ্ছ ছিল।১৩ তারিখ রাতে আবার রক্ত দেখা যায়।এরপর ২১ তারিখ পর্যন্ত ছিল।২১ তারিখ রাতে টিস্যু দিয়ে কয়েকবার চেক করে স্বচ্ছ দেখতে পাওয়ায় ফরজ গোসল করে সালাত আদায় করেছি এবং ২২ তারিখ রোজা রেখেছি।এখন আবার ২২ তারিখ দুপুর ২ টার দিকে আবার টিস্যু তে হাল্কা হলুদ দেখতে পেয়েছি। যেহেতু ১০ দিন অতিক্রম হয়েছে তাই ৩ টা বাজে ফরজ গোসল করে সালাত আদায় করেছি।
১২ তারিখ দুপুর ২.৩০ থেকে কখন পর্যন্ত ১০ দিন হিসেব করতে হবে?২২ তারিখ এর আমার রোজা টা কি হবে?যেহেতু রোজা রেখেছি ফরজ গোসলের সময় আমি গড়গড়া ছাড়া কুলি করেছি এমতাবস্থায় আমার ফরজ গোসল কি হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (606,540 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 

উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আজ ২২ শে মার্চ দুপুর ২.২৯ টায় আপনার হায়েজের ১০ দিন ১০ রাত পূর্ণ হবে।

এক্ষেত্রে যদি এরপরেও আপনার হায়েজ আসে, অর্থাৎ ১০ দিন অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও যদি ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে আপনার গত হায়েজের অভ্যাস যেহেতু ৭ দিন ছিলো,এই মাসের হায়েজও আপনি ৭ দিন ধরবেন।
বাকি দিন গুলি ইস্তেহাজা ধরবেন।

এমতাবস্থায় আপনার ২২ তারিখের রোযা হবে।

আর যদি আপনার ব্লিডিং না হয়,অর্থাৎ ১০ দিন অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও যদি আর ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে এই ১০ দিন পুরোটাই হায়েজ হিসেবে গন্য হবে,এমতাবস্থায় আপনার আজকের (২২ শে মার্চ এর) রোযা হবেনা।
ফরজ গোসল করে আজকে জোহর থেকে নামাজ আদায় করতে হবে।
২৩ শে মার্চ থেকে রোযা আদায় করবেন।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...