আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।আমি এবং আমার স্বামী উমরাহ এর জন্য টাকা জমানো শুরু করেছি।আমাদের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা টার্গেট  আর এই টাকাটা বাসায় বা একাউন্টে রেখেই জমা করবো ইন শা আল্লাহ আর তা করতে ১ বছরের উপরে বা তার বেশিও হতে পারে। যখন ১ লক্ষ বা আরও বেশি টাকা ক্রস করবে তখন কি আমাদের যাকাত দিতে হবে?  হলে কত টাকা দিতে হবে?

জাযাকুমুল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
 إذا أمسكه لينفق منه كل ما يحتاجه فحال الحول، وقد بقي معه منه نصاب فإنه يزكي ذلك الباقي، وإن كان قصده الإنفاق منه أيضا في المستقبل لعدم استحقاق صرفه إلى حوائجه الأصلية وقت حولان الحول، بخلاف ما إذا حال الحول وهو مستحق الصرف إليها، لكن يحتاج إلى الفرق بين هذا، وبين ما حال الحول عليه،وهو محتاج منه إلى أداء دين كفارة أو نذر أو حج، فإنه محتاج إليها أيضا لبراءة ذمته
কেউ মালকে এজন্য সংরক্ষণ করল যে,সে এখান থেকে প্রয়োজনানুরূপ খরছ করবে।ইতিমধ্যে একটি বৎসর চলে যায়।এবং সেই সংরক্ষিত মালে নেসাব পরিমাণ মাল অবশিষ্ট থাকে।তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দিতে হবে।যদিও ভবিষ্যতে সেই মালকে খরছ করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু বৎসর পূর্ণ হওয়ার সময়ে তো এই টাকা কাজে লাগেনি বরং এখনও নেসাব পরিমাণ মাল রয়েছে ।সেজন্যই তাতে যাকাত আসবে।
তবে যদি কোনো সম্পত্তিতে এক বৎসর অতিবাহিত হয়,এবং সেই মালে অন্যকারো হক্ব নির্ধারিত  হয়ে যায়।যদিও সেই মালকে এখন পর্যন্ত অন্য মাল(অর্থাৎ যে মালে বৎসর অতিবাহিত হয়ে যাকাত ওয়াজিব হয়ে গেছে)থেকে পৃথক করা হয়নি তার পরও তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে না।(কেননা তাতে অন্যর হক্ব নির্ধারিত হয়ে গেছে)
কেননা নিজের যিম্মা থেকে ওয়াজিব আদায় করার সবাই মুখাপেক্ষী। যেমন কাফফারা, মান্নত,হজ্ব ইত্যাদি।সুতরাং এগুলো খরছ না করলেও শরীয়ত তাকে খরছের মতই মনে করে। (রদ্দুল মুহতার-2/262)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1261


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যখন ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ টাকা প্রত্যেকের মালিকানায় জমা হবে, সেদিন থেকে এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর আপনার উপর এবং আপনার স্বামীর উপর যাকাত ফরয হবে। যদি টাকা স্বামীর মালিকানা হিসেবে জমা করা হয়, তাহলে শুধুমাত্র স্বামীকেই যাকাত আদায় করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...